v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-02-14 17:16:44    
পাঁচ আফ্রিকান দেশে বুশের বিলম্বিত সফর

cri

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাবলিউ বুশ ১৫ থেকে ২১ ফেব্রুয়ারী বেনিন, তানজানিয়া, রুয়ান্ডা, ঘানা ও লাইবেরিয়া এই পাঁচটি আফ্রিকান দেশ সফর করবেন।

    সফরকালে বুশ পাঁচ দেশের নেতাদের সঙ্গে গণতান্ত্রিক সংস্কার, অবাধ বাণিজ্য এবং আফ্রিকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করাসহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। মার্কিন তথ্য মাধ্যমের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, এবার বুশের আফ্রিকা সফরের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে আফ্রিকার দারিদ্র্য বিমোচন ও রোগ প্রতিরোধ। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে এইডস ও ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে অর্থ সাহায্য বাড়ানোর আহ্বান জানাবেন এবং তানজানিয়াকে প্রায় ৭০ কোটি মার্কিন ডলার প্রকল্প সহায়তা দেয়ার কথা ঘোষণা করবেন। এর পাশাপাশি বুশ বর্তমানে আফ্রিকায় সংঘটিত সহিংস ঘটনা নিয়েও কথা বলবেন। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকবে সম্প্রতি শাদের ব্যর্থ অভ্যুত্থান ও কেনিয়ার সাধারণ নির্বাচনের পর সহিংস পরিস্থিতি।

    বুশ প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর দ্বিতীয় বারের মতো আফ্রিকা সফর করতে যাচ্ছেন এবং আগামী বছরের জানুয়ারী মাসে তাঁর কার্য মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে এটিই সম্ভবত তাঁর শেষ বার আফ্রিকা সফর। বিশ্লেষকরা মনে করেন, বুশ ও আফ্রিকান দেশগুলোর নেতাদের আলোচনা দু'পক্ষের সহযোগিতার জন্য সহায়ক হবে। এখন বিশ্বের প্রধান প্রধান দেশগুলো নিবিড়ভাবে আফ্রিকান বাজারের ওপর মনোযোগ দিচ্ছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোও আফ্রিকার বাজারের সুফল পেতে আগ্রহী।

    আফ্রিকা বিষয়ক সাবেক মার্কিন সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি রোসা হুইটেকার উল্লেখ করেছেন, বুশের আসন্ন আফ্রিকা সফর প্রমাণ করছে যে, মার্কিন সরকার তার চিরাচরিত প্রতীকী আফ্রিকা নীতি এবং আফ্রিকার বাস্তব অবস্থা থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকার 'আকাশচারী কূটনীতি' পরিত্যাগ করেছে। এর পরিবর্তে তারা ধারাবাহিক ও টেকসই আফ্রিকা নীতি বেছে নিয়েছে। তিনি মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রে বহু নাগরিক এখন আফ্রিকার উন্নয়নের সমর্থক। একজন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট হিসেবে বুশের পক্ষ থেকে আফ্রিকা নীতির বড় পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। এটা আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের জন্য উন্নয়নের অনুকূল সুযোগ বয়ে আনবে। সুতরাং বুশের এবারের সফর তার রাজনৈতিক উত্তরসূরীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পরিণত হবে এবং তাঁর আফ্রিকা নীতির ওপর প্রভাব ফেলবে।

    এরপরও কিছু কিছু আফ্রিকা বিশেষজ্ঞ বুশের সফর নিয়ে ভিন্নধর্মী মন্তব্য করেছেন। যেমন আফ্রিকার বিখ্যাত ওয়েবসাইট 'প্যান-আফ্রিকা অনলাইন' প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, বুশ এইডসসহ নানা সমস্যা মোকাবিলায় আফ্রিকার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ রেখে যুদ্ধ করার ভান করতে চাইছেন। নিবন্ধে বলা হয়েছে, আফ্রিকাকে দেয়া বুশ সরকারের সাহায্য তার পূর্বসূরীর চেয়ে বেশি হলেও ঐ সাহায্য সার্বিকভাবে সকল গোষ্ঠীর স্বার্থ বিবেচনা করে না। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রপন্থী গোষ্ঠীগুলোকে বেশি সাহায্য দেয়া হয়ে থাকে। নিবন্ধে আরো বলা হয়েছে, বুশ সরকারের 'কিছু দেশকে তথাকথিত গণতান্ত্রিক দেশে রূপান্তর করার তত্ত্ব এখনো পরিবর্তন হয় নি'। বিশ্ব উষ্ণায়ন সমস্যা মোকাবিলায় ইতিবাচক অবদান রাখার বিপক্ষে বুশ সরকারের যে কঠোর অবস্থান তাতে তার এবারের সফর বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের ভাবমূর্তি উন্নয়নে খুব সামান্যই সহায়ক হবে।

    তা ছাড়া, বিভিন্ন ওয়েবসাইটে এই সফর নিয়ে যেসব মন্তব্য এসেছে, তার অধিকাংশই নেতিবাচক। যেমন একজন বলেছেন, বিল ক্লিনটন বহুবার আফ্রিকা সফর করেছেন। তার তুলনায় বুশের এবারের সফর স্পষ্টতই বিলম্বিত। বুশ প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই সন্ত্রাস দমন যুদ্ধ নিয়ে ব্যস্ত। তাঁর আফ্রিকা বিষয়ক পররাষ্ট্র নীতি অত্যন্ত শীতল। এ রকম একটি মিশ্র প্রেক্ষাপটে বুশের আফ্রিকা সফর কতটুকু সফল হয় সেটাই এখন দেখার বিষয়। (ইয়ু কুয়াং ইউয়ে)