২০০০ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে সেন্ট ম্যাসিক ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বচন হন। ২০০৫ সালের জানুয়ারী তিনি প্রেসিডেন্ট পদে পুনঃনির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের জানুয়ারী মাসে আইভো সানাডার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।
দেশটির আয়তন ৫৬ হাজার ৫৩৮ বর্গকিলোমিটার। ইউরোপের মধ্য-দক্ষিণাঞ্চল এবং বল্কান উপ-দ্বীপের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। তার পশ্চিম-উত্তর দিকে স্লোভানিয়া, উত্তর দিকে হাংগেরি , পূর্ব দিকে সার্বিয়া ও মন্টিনেগ্রো এবং দক্ষিণ দিকে আড্রিয়াটিক সাগর। দেশটির তটরেখা মোট ১ হাজার ৭৭৭.৭ কিলোমিটার।
লোকসংখ্যা ৪৫.৭ লাখ। সরকারী ভাষা ক্রোয়েশিয়া। অধিকাংশ অধিবাসী ক্যাথলিক ধর্মে বিশ্বাসী।
রাজধানি জাগ্রেব, ক্রোয়েশিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। এর আয়তন ২৮৪ বর্গকিলোমিটার। লোকসংখ্যা ৭.৭ লাখ।
১৯৯১ সালের ২৫ জুন মাসে ক্রোয়েশিয়া স্বাধিনতা ঘোষণা করে। ১৯৯২ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ একটি প্রস্তাব গৃহীত হয় যে, ক্রোয়েশিয়ার সার্বিয়া অধ্যূষিত এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষী বাহিনী পাঠায়। ১৯৯২ সালের ২২ মে ক্রোয়েশিয়া জাতিসংঘে যোগ দেয়।
দেশটির বন এবং পানি সম্পদ প্রচুর। বনাঞ্চলের আয়তন ২০.৭৯ লাখ হেকটর। বনাঞ্চল মোট আয়তনের ৪৩.৫ শতাংশ । এছাড়াও , দেশটির তেল ,প্রাকৃতিক তেল এবং এলুমিনিয়াম সম্পদ প্রচুর।
এইচ টি ভি ছাড়া, দেশটির মোট সাতটি প্রদেশ ও শহরে বাণিজ্য টেলিভিশন কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়া ক্রোয়েশিয়ায় বার্তা সংস্থার সংখ্যা ৪টি এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের বেতারের সংখ্যা ১০৮টি ।
ক্রোয়েশিয়া বিশ্বের বড় দেশগুলোর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা সম্পর্ক স্থাপনের ওপর গুরুত্ব দেয়। রাষ্ট্রীয় স্বার্থ সুরক্ষা এবং পারস্পরিক উপকারিতামূলক ভিত্তিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে রাজনৈতিক , অর্থনৈতিক এবং সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের সার্বিক উন্নয়ন এগিয়ে নেয়ার জন্য ক্রোয়েশিয়া চেষ্টা চালাতে ইচ্ছুক।
১৯৯২ সালের ১৩ মে ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। --ওয়াং হাইমান
|