v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-02-13 20:53:22    
মোন্টপিল্লিয়ার পরিবার : চীন ও ফ্রান্সের মৈত্রী বাড়ানোর সেঁতু

cri

    দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের সি ছুয়ান প্রদেশের রাজধানী ছেং তু শহরে একটি "মোন্টপিল্লিয়ার পরিবার" আছে । ২০০৬ সালে ছেং তু শহর ও ফ্রান্সের মোন্টপিল্লিয়ার শহর যৌথভাবে এ পরিবার গঠন করেছে । মোন্টপিল্লিয়ার পরিবারকে ছেং তু ও মোন্টপিল্লিয়ারের অর্থনীতি , সংস্কৃতি ও ইতিহাসসহ বিভিন্ন তথ্য বিনিময়ের এক সেতু হিসেবে মনে করা হয় । তা এ দুটি শহর এবং দু'দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিনিময় ও সহযোগিতাকে ত্বরান্বিত করেছে । আজকের ভিন দেশির চোখে অনুষ্ঠানে আমি শুয়েই ফেই ফেই , আপনাদেরকে সঙ্গে নিয়ে এ পরিবারে যাবো ।

    এখন মোন্টপিল্লিয়ার অনেক নাগরিক ছেং তু শহরে কাজ করেন , লেখাপড়া করেন অথবা সেখানে বাস করেন । তারা সময় পেলে মোন্টপিল্লিয়ার পরিবারে গিয়ে চীনা ভাষা ও অপেরায় অভিনয়সহ বিভিন্ন বিষয় শেখেন । আমাদের সংবাদদাতার এ পরিবারের কয়েকজন ফরাসী বন্ধুর সঙ্গে পরিচিত হয়েছে ।

    ক:ফ্রান্সে চীনা খাবারের কথা আমার মনে পড়ে , তবে চীনে আমি ফ্রান্সের খাবার খেতে চাই না ।

    খ: ছেংতু একটি আধুনিক শহর । এখানকার লোকজন জীবনকে উপভোগ করতে পারেন । ছেংতু একটি আরামদায়ক এবং রোমান্টিক শহর ।

    গ:আমি এখানে শুধু নাচ , কুংফু ও পেইচিং অপেরায় অভিনয়সহ অনেক কিছু শিখেছি তাই নয় , বরং এখানে আমি আনন্দময় জীবনও কাটাচ্ছি ।

    মোন্টপিল্লিয়ার ও ছেংতুর মধ্যে ১৯৮১ সালে মৈত্রী শহরের সম্পর্ক স্থাপিত হয় । সংস্কৃতি , বিজ্ঞান , শিক্ষা , অর্থনীতি , চিকিত্সা ও ওষুধ এবং পর্যটনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দু'শহরের মধ্যে বিনিময় ও সহযোগিতা চলছে ।

    মোন্টপিল্লিয়ার পরিবার ছেংতু শহরের কেন্দ্র স্থলে অবস্থিত । পরামর্শ দেয়া , কর্মসভা আয়োজন করা এবং চীন ও ফ্রান্সের ভাষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক কোর্স আয়োজন করা হল এ কেন্দ্রের প্রধান কাজ । এ কেন্দ্রের পরিচালক লিউ চিং হুং বলেন , চীন ও ফ্রান্সের শহরগুলোর মধ্যে ছেংতুং ও মোন্টপিল্লিয়ার প্রথম মৈত্রী শহরের সম্পর্ক স্থাপন করেছে । তিনি বলেন :

    এভাবে বলতে হয় , যদিও আমাদের এ কেন্দ্রের নাম হল "মোন্টপিল্লিয়ার পরিবার" এবং তা হল ছেংতুকে মোন্টপিল্লিয়ারের সঙ্গে পরিচয় করার একটি সেঁতু । তবে মোন্টপিল্লিয়ার আমাদের কেন্দ্রের মাধ্যমে ছেংতু শহর সম্পর্কেও জানতে পারবে । মোন্টপিল্লিয়ারের নাগরিকসহ অনেক ফরাসী নাগরিক আমাদের এই কেন্দ্রের মাধ্যমে ছেংতু সম্পর্কে জেনেছেন ।

    স্টিফেন ভালিট এসব ফরাসী বন্ধুদের মধ্যে অন্যতম । তিনি ছেংতুতে দু'বছর ধরে আছেন । এখন তিনি মোন্টপিল্লিয়ার পরিবারের চীনা ভাষা প্রশিক্ষণ ক্লাসে লেখাপড়া করছেন । প্যারিস ও ছেংতু'র পার্থক্য সম্পর্কে তিনি বলেন :

    যদিও অনেকের কাছে প্যারিস খুব রোমান্টিক একটি শহর । তবুও আমার মনে হয় , এখন সেখানকার জীবনে চাপ অনেক বেশি । তবে ছেংতু'র পরিবেশ খুব আরামদায়ক । ছেংতু নাগরিকদের জীবন যাপন ও তাদের চিন্তাধারার পদ্ধতির সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করেছে । এখানকার লোকজনের শিষ্টাচার উল্লেখ করার মত । তাই হয়তো ফ্রান্সের চেয়ে ছেংতু শহর আরো বেশি রোমান্টিক ।

    ফ্রান্সের খাবার বিশ্ব বিখ্যাত । ফরাসীদেরকে ভোজনরসিকও বলা যায় । স্টিফেনও তাই । তিনি ছেংতু'র ঝাঁল খাবার খুব পছন্দ করেন এবং তিনি চীনা খাবার রান্নার পদ্ধতিও শিখছেন । তিনি বলেন :

    এখানকার তৌফু খুব সুস্বাদ্যু , আমি চীনের তৌফু তৈরির পদ্ধতি শিখবো।

    মোন্টপিল্লিয়ার পরিবার ছেংতু ও মোন্টপিল্লিয়ার এবং চীন ও ফ্রান্সের মধ্যে উপলব্ধি বাড়ানোর সেতুতে পরিণত হয়েছে । এ কেন্দ্রের পরিচালক লিউ চিং হুং এমন একজন সাংস্কৃতিক দূত । তিনি ছেংতুর নাগরিক , সিছুয়ান বিদেশী ভাষা ইন্সটিটিউট থেকে স্নাতক ডিগ্রী নেয়ার পর ২০০২ সালে চীন ও ফ্রান্সের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত বিনিময় প্রশিক্ষণ প্রকল্পে অংশ নিয়েছেন এবং মোন্টপিল্লিয়ারে গিয়ে লেখাপড়া করেছেন । সেখানে তিনি আন্তর্জাতিক প্রকল্প পরিচালনা ও আলোচনা বিষয়ে মাস্টার ডিগ্রী নিয়েছেন । মোন্টপিল্লিয়ার পরিবার স্থাপনের সময় মোন্টপিল্লিয়ার ও ছেংতু শহর কর্তৃপক্ষ তাকে এ কেন্দ্রের পরিচালকের পদে নিযুক্ত করেছে । তিনি বলেন :

    ছেংতু ও মোন্টপিল্লিয়ার সম্পর্কে আমি ভালোভাবে জানি । তাই ছেংতু ও মোন্টপিল্লিয়ারের স্থানীয় সরকার মনে করেছে এ কেন্দ্রে কাজ করার জন্য আমি উপযোগী ।

    মোন্টপিল্লিয়ার পরিবার এক দিকে ছেংতুর নাগরিকদের পরিসেবা দেয় , অন্য দিকে মোন্টপিল্লিয়ার থেকে আসা শিল্প প্রতিষ্ঠান ও ফরাসী বন্ধুদের পরিসেবাও করে । যেমন একটি এজেন্সী করে থাকে । লিউ চিং হুং বলেন :

    ছেংতুর কিছু কিছু নাগরিক ফোরাসী সংস্কৃতি ও মোন্টপিল্লিয়ার সম্পর্কে জানতে আগ্রহী । তারা আমাদের কেন্দ্রে গিয়ে বিশেষ করে সংস্কৃতি, পর্যটন ও আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন । আমরাও তাদের জন্য সংশ্লিষ্ট পরামর্শ দেই । এর পাশাপাশি , মোন্টপিল্লিয়ারের নাগরিক বা বেশ কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠান ছেংতুর উন্নয়ন করতে চাইলে অথবা তারা এ স্থান ভ্রমণ করতে চাইলে ইমেল বা টেলিফোনের মাধ্যমে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন । আমরা তাদের জন্য সংশ্লিষ্ট তথ্য বা পরামর্শ দেবো ।