v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-02-11 17:58:44    
৪৪তম মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন শেষ

cri

    ৪৪তম মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন ৮ থেকে ১০ ফেব্রুয়ারী জার্মানীর মিউনিখে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনে আফগানিস্তানে ন্যাটোর দায়িত্ব, পূর্ব ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা স্থাপনের পরিকল্পনা, পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ, কসোভোর মর্যাদা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটোর সম্প্রসারণসহ বিভিন্ন বিষয়ে উত্তপ্ত আলোচনা হয়েছে। বিশ্লেষকরা উল্লেখ করেন, অসংগতি ও মতভেদ এবং সহযোগিতা ও প্রশমন একসাথে বিদ্যমান আছে। এটা হচ্ছে এবারের সম্মেলনের সর্বোচ্চ বৈশিষ্ট্য।

    বছরে একবার অনুষ্ঠিত মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন হচ্ছে বিশ্বব্যাপী প্রতিরক্ষা নীতি সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলন। একে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের "দাভোস বার্ষিক সম্মেলন" বলে অভিহিত হয়। বিশ্বের ৫০টি দেশের ৩০০ জনেরও বেশি সরকারী কর্মকর্তা, গবেষণা সংস্থার প্রতিনিধি ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা এবারের সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানীসহ ন্যাটোর দেশের আফগানিস্তান সমস্যায় বিদ্যমান বিরাট মতভেদ ছিল বিভিন্ন পক্ষের দৃষ্টির কেন্দ্রবিন্দু। জার্মানীর প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ফ্রান্জ জোসেফ জুং জার্মান সরকারের আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলে সেনাবাহিনী না পাঠানোর কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, আফগান সমস্যা কেবল সামরিক উপায় সমাধান হবে না, আফগানিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি উন্নয়ন করা, এই দেশের পুনর্গঠনে সহায়তা প্রদান ও স্থানীয় জনগণের আস্থা অর্জন করাসহ সব মিলিয়ে "সার্বিক নিরাপত্তা নেট" প্রতিষ্ঠার কৌশল নেয়া উচিত। ফ্রান্সের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হার্ভে মোরিন বলেন, আফগানিস্তানে ইউরোপের আরো বেশি সামরিক দায়িত্ব নেয়া উচিত। ন্যাটোর মহাসচিব জাপ দ্যা হুপ শেফার মনে করেন, বিভিন্ন দেশের আফগানিস্তানে মোতায়েন ন্যাটোর আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনীতে আরো সৈন্য পাঠানোর ব্যাপারে সর্বাধিক নমনীয়তা প্রদর্শন করা উচিত। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রবার্ট গেটস সরাসরি হুঁশিয়ার করে বলেন, আফগান সমস্যায় ন্যাটোর বিচ্ছিন্ন থাকা উচিত হবে না। তিনি ন্যাটোর কয়েকটি সদস্য দেশের আফগানিস্তানে সামরিক ও বেসামরিক কাজ ভাগাভাগি করার কার্যকলাপে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। জার্মান তথ্য মাধ্যম জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের চাপে জার্মান সরকার ভবিষ্যতে আফগানিস্তানের হিন্দুখুশ অঞ্চলে অতিরিক্ত এক হাজার সৈন্য পাঠানোর কথা বিবেচনা করছে।

    এবারের সম্মেলনে পূর্ব ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা স্থাপনের সমস্যায় কিছুটা গঠনমূলক ও সহনশীল প্রবণতা দেখা দিয়েছে। পোল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রী রাদোস্লাভ সিকোরস্কি রাশিয়াকে ন্যাটোর ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা পরিকল্পনায় অংশ নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন এবং এই সমস্যা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার গঠনমূলক আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন। রাশিয়ার সংশয় দূর করার জন্য শেফার এই সমস্যায় যুক্তরাষ্ট্রকে 'সর্বাধিক স্বচ্ছতা' বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। ই.ইউর পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা নীতি বিষয়ক উচ্চপদস্থ প্রতিনিধি হ্যাভিয়ের সোলানাও জোর দিয়ে বলেন, এই সমস্যায় রাশিয়ার সঙ্গে মতৈক্যে পৌঁছাতে হবে, যাতে পারস্পরিক সংশয় এড়ানো যায়।

    পারমাণবিক বিস্তার নিয়ন্ত্রণ সমস্যায় এবারের সম্মেলনে অপেক্ষাকৃত বেশি ঐকমত্য প্রকাশিত হয়েছে। বহু অংশগ্রহণকারী মনে করেন, পারমাণবিক বিস্তারের হুমকি মোকাবিলায় পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী দেশগুলোর সংশ্লিষ্ট দায়িত্ব পালন করা উচিত। জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রী ফ্রান্ক ওয়াল্টার স্টেইনমেয়ার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে ইরানের ওপর চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের পথে বাধার সৃষ্টি করা যায়।

    কসোভোর মর্যাদা সমস্যা নিয়ে রাশিয়া ও ন্যাটোর প্রতিনিধিদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। জার্মান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জুং বলেন, জার্মানী আশা করে, কসোভোর রাজনৈতিক প্রক্রিয়া থেমে যাবে না। আসলে তারা কসোভোর স্বাধীনতার পক্ষপাতী। রাশিয়ার প্রথম উপ-প্রধানমন্ত্রী সার্গেই ইভানোভ হুঁশিয়ার করে বলেন, ই.ইউ এককভাবে কসোভোর স্বাধীনতাকে স্বীকার করবে না। এই সমস্যা আন্তর্জাতিক আইনের কাঠামোতেই সমাধান করা উচিত। (ইউ কুয়াং ইউয়ে)