৭ ফেব্রুয়ারী ছিল চীনের ঐতিহ্যিক চান্দ্র পঞ্জিকা অনুযায়ী বসন্ত উত্সবের প্রথম দিন । চীনের বিভিন্ন অঞ্চলের জনগণ নানা ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ উত্সব উদযাপন করে । ২০০৮ সালের অলিম্পিক গেমসের স্বাগতিক শহর পেইচিংয়ে ২০টিরও বেশি মন্দির মেলা শুরু হয়েছে । তরুণ-তরুণীরা মোবাইল ফোনের মেসেজ ও ইমেলের মাধ্যমে পরস্পরের মধ্যে নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছে । এ বছরের কর্মসূচী ছিল আগের বছরের চেয়ে ভিন্নতর। এর মধ্যে অধিকাংশই অলিম্পিক গেমসের সঙ্গে সম্পর্কিত । চীনের শতাব্দী স্মৃতিসৌধ ও বিশ্ব পুল পার্কে নানা ধরনের অলিম্পিক সংস্কৃতি মন্দির মেলা এবং অলিম্পিক গেমস সম্পর্কিত কাপড় -চোপড়ের প্রদর্শনীসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে ।
সম্প্রতি দক্ষিণ চীনের অধিকাংশ অঞ্চলে প্রবলবৃষ্টি ও অতিরিক্ত তুষারপাত হয়েছে । দুর্যোগ প্রতিরোধসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নেয়ায় পরিস্থিতির উন্নতির পাশাপাশি এসব অঞ্চলের পরিবহন ব্যবস্থা ও বিদ্যুত্ সরবরাহ ধীরে ধীরে পুনরুদ্ধার হচ্ছে । চীন ধারাবাহিক ব্যবস্থা নিয়ে দুর্যোগকবলিত অঞ্চলের বাজারে চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে । এসব অঞ্চলের জনগণ আনন্দদায়ক পটকা ফাটানো এবং মন্দির মেলায় বেড়ানোর মাধ্যমে বসন্ত উত্সব উদযাপন করে । বিভিন্ন জাতি অধ্যুষিত চীনের সিনচিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের সাংস্কৃতিক বিভাগ বসন্ত উত্সবের জন্য তাদের রীতিনীতি অনুযায়ী ধারাবাহিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে । বসন্ত উত্সবের শুভকামনায় ৭ ফেব্রুয়ারী তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের ২৮ লাখেরও বেশি নানা জাতির অধিবাসীরা বসন্ত উত্সব ও তিব্বতের পঞ্জিকা অনুযায়ী নববর্ষ উদযাপন করে ।
সম্প্রতি দক্ষিণ চীনের আবহাওয়া অতিরিক্ত ঠাণ্ডা হলেও হংকং-এর অধিবাসীদের ফুলের বাজার পরিদর্শনের ক্ষেত্রে নেতিবাচক কোন প্রভাব ফেলে নি । ৭ ফেব্রুয়ারী হংকং-এর অনেক অধিবাসী মন্দিরে গিয়ে নববর্ষের শুভকামনা শ্রদ্ধা নিবেদন করে । তাইওয়ানের সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, ৭ ফেব্রুয়ারী ভোরে তাইওয়ানের সর্বোচ্চ পাহাড় ইউশান এবং হোহুয়ান পাহাড়ে তুষার পড়েছে, তুষার ভালো ফসলের প্রতীক । এবারের তুষার তাইওয়ান দ্বীপের জন্য খুবই উপকারী । এদিন সকাল থেকেই বহু তাইওয়ান প্রবাসী ইউশান পাহাড় এবং হোহুয়ান পাহাড়ে গিয়ে তুষারের আনন্দ উপভোগ করে ।
(ছাও ইয়ান হুয়া)
|