সম্প্রতি বিভিন্ন পক্ষের যৌথ প্রচেষ্টায় শাদের উদ্বেগজনক পরিস্থিতির উপশম হয়েছে । ৫ ফেব্রুয়ারী শাদের রাজধানী এন জামিনার রাস্তা শান্ত দেখা যায় । সরকার ও বিরোধী বাহিনীর নতুন হামলার ভয়ে হাজার হাজার লোক এন জামিনা থেকে দেশটির দক্ষিণে অবস্থিত প্রতিবেশী দেশ ক্যামেরুনে চলে গেছে ।কয়েকটি অঞ্চলে খাদ্য, ওষুধ এবং বিশুদ্ধ পানির অভাব দেখা দিয়েছে । আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় শাদের শরনার্থীদের জন্য ত্রাণ সাহায্য দিচ্ছে । জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন ৫ ফেব্রুয়ারী নিউইয়র্কে বলেন, নিরাপত্তার জন্য শাদে জাতিসংঘের অধিকাংশ কর্মীকেই প্রত্যাহার করা হয়েছে । বর্তমানে শাদে শুধু জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী এবং কয়েকটি সংস্থার কয়েক জন প্রয়োজনীয় কর্মী রয়েছে । যাতে মানবিক সাহায্যসহ বিভিন্ন জরুরী কাজ সম্পাদন করা যায় । বান কি মুন আরও বলেন, জাতিসংঘ শাদের সংকট সমাধানের জন্য নিরলস চেষ্টা চালাবে । জাতিসংঘের শরণার্থী বিভাগের মুখপাত্র রন রেডমন্ড বলেন, শাদের প্রায় ৩০ হাজার শরণার্থী যুদ্ধের ভয়াবহতা এড়ানোর জন্য ক্যামেরুনের সীমান্ত শহর কৌসেরিতে প্রবেশ করেছে । সেখানে বিশুদ্ধ পানি, খাদ্য ও ওষুধের গুরুতর অভাব এবং শরণার্থীদের স্বাস্থ্যের অবস্থার অবনতির কারণে উদ্বেগজনক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে । জাতিসংঘের শরণার্থী বিভাগ কর্মী প্রেরণ করে ত্রাণ সামগ্রী প্রদানে শরনার্থীদের সাহায্য করছে ।
একইদিনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কমিটি শাদকে ২০ লাখ ইউরো মানবিক সাহায্য দেয়ার কথা ঘোষণা করেছে । যাতে শরনার্থীদের জীবনযাত্রার প্রয়োজনী মোলীক চাহিদা মেটানো যায় । ই.ইউ'র উন্নয়ন ও মানবিক সাহায্য বিষয়ক কমিটির সদস্য লুইস মাইকেল বলেন, যদিও বর্তমানে স্থানীয় পরিস্থিতির বিস্তারিত পর্যালোচনা করা সম্ভব হচ্ছে না, তবুও তারা জানতে পেরেছেন, সংঘর্ষের ফলে অনেক নিরীহ লোকের জীবনযাত্রা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং যত দ্রুত সম্ভব তাদের সাহায্য করা উচিত ।
(ছাও ইয়ান হুয়া)
|