v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-02-05 17:56:00    
শাদ আপাতত শান্ত

cri
    দু'দিন ব্যাপী তুমুল সংঘর্ষের পর ৪ ফেব্রুয়ারী শাদের রাজধানী এনজামেনার পরিস্থিতি এখন কিছুটা শান্ত। সরকার বিরোধী সশস্ত্র বিদ্রোহীরা ৩ ফেব্রুয়ারী বিকাল থেকে আর বড় ধরণের গণবিধ্বংসী হামলা চালায় নি। ৩ ফেব্রুয়ারী রাতে শাদ সরকার সাফল্যের সঙ্গে বিদ্রোহ দমন করেছে বলে ঘোষণা করেছে। তবে বিদ্রোহীরা বলেছে, বর্তমানে তারা এন জামেনার বাইরে অবস্থান করছে। তাড়াতাড়িই আবার যুদ্ধ শুরু হবে।

    ৪ ফেব্রুয়ারী এনজামেনার পথে পথে বিপুল পরিমাণে সরকারী সৈন্যকে টহল দিতে দেখা গেছে। রাজপথে মৃতদেহ পড়ে থাকতেও দেখা গেছে। জাতীয় টেলিভিশন ও বড় বড় বাজারসহ বিভিন্ন স্থাপনা বিধ্বস্ত হয়েছে। স্থানীয় সাধারণ নাগরিকরা ঘন ঘন সরকারী বাহিনীর হেলিকপ্টার উড়তে দেখেছে এবং কিছু বোমা বিস্ফোরণের শব্দও শুনতে পাচ্ছে। সরকার বিরোধী সশস্ত্র বিদ্রোহীদের নতুন দফা হামলার আশংকায় এনজামেনার সাত লাখ অধিবাসি এবং নিকটবর্তী এলাকার সাধারণ মানুষ ক্যামেরুনের সীমান্ত এলাকার দিকে পালিয়ে যাচ্ছে। ক্যামেরুনের সরকারী পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, শুধু ক্যামেরুনের সীমান্ত এলাকার ছোট জেলা কুসেরিতে ১৫ হাজার শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে।

    ৪ ফেব্রুয়ারী জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ শাদ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার পর পরিষদ চেয়ারম্যানের দেওয়া বিবৃতিতে শাদের সশস্ত্র বিদ্রোহী গ্রুপের সন্ত্রাসী তত্পরতার তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশগুলোর প্রতি শাদ সরকারের দাবি অনুযায়ী জাতিসংঘ সনদের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ উপায়ে তাদেরকে সাহায্য করার আহ্বান জানানো হয়েছে। ৩ ফেব্রুয়ারী জাতিসংঘে শাদ সরকারের প্রতিনিধি মাহামত আদুম নিরাপত্তা পরিষদে সাহায্য চেয়ে আবেদন পত্র দাখিল করেছেন।

    বিশ্লেষকরা মনে করেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এ বিবৃতি প্রকাশের পর ফ্রান্সসহ যেসব দেশের শাদের সঙ্গে স্বার্থ জড়িত রয়েছে তারা এই সংকট নিরসনে উদ্যোগী হতে পারে। ফ্রান্স সরকার বারবার জোর দিয়ে বলেছে, ফ্রান্স আফ্রিকায় জাতিসংঘ বা আফ্রিকান ইউনিয়নের অর্ধীনে শান্তি রক্ষার দায়িত্ব পালন করছে। ফ্রান্স কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ সংকটে জড়াতে চায় না। তবে শাদে ফ্রান্সের ব্যাপক স্বার্থ ও প্রভাব থাকায় শেষ পর্যন্ত তারা শাদ সংকট নিরসনে মধ্যস্থতা করতে পারে। এর আগে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজি বলেছিলেন, নিরাপত্তা পরিষদ অনুমোদন করলে ফ্রান্সের বাহিনী শাদে সরাসরি হস্তক্ষেপ করবে। বর্তমানে ফ্রান্সের জঙ্গী বিমান শাদ ও সুদানের সীমান্ত এলাকায় টহল দিচ্ছে, যাতে তথাকথিত বিদেশী অনুপ্রবেশ প্রতিরোধ করা যায়। এর পাশাপাশি বেশির ফরাসী সৈন্য নিয়ে গঠিত ইউরোপীয় ইউনিয়নের শান্তি রক্ষী বাহিনীর তিন হাজার সাত শো সদস্য প্রস্তুত রয়েছেন। তাঁরা যে কোনো সময়ে শাদে গিয়ে শান্তি রক্ষার দায়িত্ব তুলে নিতে পারে।

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও ফ্রান্স সরকারের প্রতি হস্তক্ষেপের ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেছে। জাতিসংঘে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেছেন, ফ্রান্স ছাদ সমস্যায় প্রভাব বিস্তার করতে পারে। তারা কিছু ব্যবস্থা নিলে নিরাপত্তা পরিষদ তাদেরকে সমর্থন দেবে।

    বর্তমানে আফ্রিকান ইউনিয়ন ও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, লিবিয়া ও কঙ্গো বিশেষ দূত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাঁরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে শাদের সংকট নিরসনের উপায় খুঁজে বের করবেন। এর পাশাপাশি শিগগিরই বিদেশী বাহিনী ছাদে মোতায়েন করার সম্ভাবনা রয়েছে। যেন শাদ সরকারকে সহায়তার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।