v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-02-04 18:58:52    
চীন জনজীবনের মান উন্নত করতে অব্যাহত চেষ্টা

cri
    গত কয়েক বছরে চীন সরকার জন জীবন ও স্বার্থসম্পর্কিত সবচেয়ে বাস্তব সমস্যা নিরসনের চেষ্টা চালাচ্ছে । শহর ও গ্রামের অধিবাসীদের চিকিত্সা ব্যবস্থা উন্নত করা , প্রবীণ অবসরভাতা বাড়ানো , প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের বাধ্যতামূলক অবৈতনিক শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করা এবং নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোর আবাসন সমস্যা সমাধানের জন্য সরকার বেশ কিছু নীতি প্রণয়ন করেছে ।

    চীনে কিছু কিছু স্থানে এখনও হাসপাতালের সংখ্যা কম এবং ওষুধের দাম বেশী । এ সমস্যা সমাধানের জন্য শহরে প্রচুর কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করা পারছেন । এতে নাগরিকরা ধারে কাছের কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিত্সা করতে পারে । মধ্য চীনের চিয়ান সি প্রদেশের নান ছান শহরে ২০০৭ সালে প্রায় তিন শ'টি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠিত হয় । ফলে স্থানীয় মানুষেরা বড় জোর ১৫ মিনিট হেঁটে কমিউনিটির ক্লিনিকে পৌঁছতে পারছেন। ৫৪ বছর বয়স্ক ফান ওয়েন বলেন , কমিউনিটি ক্লিনিকের ডাক্তাররা আমাদের খুব যত্ন নাঢর দেখেন । ফোন পেলেই ক্লিনিকের ডাক্তাররা রোগীর বাসায় যান । ক্লিনিকের চিকিত্সা খরচ বড় হাসপাতালের চেয়ে অনেক কম । তিনি আরো বলেন , কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠার পর আমরা আর চিকিত্সার জন্য চিন্তা করি না । আমার বাসার নীচেই ক্লিনিক, ওখানে যেতে মাত্র দু -তিন মিনিট লাগে । কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীদের ব্যবহার ভালো । রোগী ক্লিনিকে যেতে না পারলে তারা রোগীর বাসায় যান ।

    প্রত্যেকের মৌলিক চিকিত্সা নিশ্চিত করার লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য চীন গত বছর থেকে প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে কিছু শহরে নাগরিকদের মৌলিক চিকিত্সা বীমা ব্যবস্থা চালু করতে শুরু করেছে । শহরাঞ্চলে ২৪ কোটিরও বেশি বেকার নাগরিক রয়েছে । ছাত্র , শিশু ও শহরের বেকার নাগরিক স্বেচ্ছায় এ চিকিত্সা বীমায় অংশ নিতে পারেন । গত বছরের শেষ নাগাদ চীনের শহরে মোট চার কোটি লোক চিকিত্সা বীমায় অংশ নিয়েছে । এ বছর চিকিত্সা বীমা ব্যবস্থা দেশের অর্ধেক শহরে চালূ হবে । গ্রামাঞ্চলের সহযোগিতামূলক নতুন চিকিত্সা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং এ ব্যবস্থায় অংশ নেয়া কৃষকদের চিকিত্সা ভর্তুকি ক্রমেই বাড়ছে । গত বছরের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত চীনের মোট ৭২.৬ কোটি কৃষক নতুন সহযোগিতামূলক চিকিত্সা ব্যবস্থায় অংশ নিয়েছে ।

    প্রবীণদের জীবনের মান উন্নত করার উপরও সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে । চীনে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোরঅবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক ও কর্মীর সংখ্যা চার কোটির বেশি । সরকারী সংস্থাগুলোর অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের তুলনায় তাদের অবসরভাতা অপেক্ষাকৃত কম । শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকদের জীবনের মান উন্নত করার জন্য সরকার টানা কয়েক বছর তাদের অবসরভাতা বাড়িয়েছে । চীনের শ্রম ও সামাজিক নিশ্চয়তা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইং ছেন চি বলেন , গত বছর চীনের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর গড় অবসরভাতা ছিল ৯৬৩ ইউয়ান । চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদ আগামী তিন বছর ধরে ফি বছরের পয়লা জানুয়ারী শ্রমিকদের অবসরভাতা বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে । ২০১০ সালে শ্রমিকদের গড়পড়তা অবসরভাতা একহাজার দুই শ' ইউয়ান হবে ।

    গ্রামাঞ্চলের বাধ্যতামূলক শিক্ষা ব্যবস্থা এবং গরীব পরিবারের ছেলেমেয়েদের পড়াশুনার ভর্তুকি দেয়ার কার্যক্রম ঠিকমত চলছে । গত বছর গ্রামাঞ্চলের সব ছাত্রছাত্রীর বাধ্যতামূলক অবৈতনিক শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত হয়েছে । গরীব পরিবারের ছাত্রছাত্রীরা বিনা পয়সায় বই খাতা পাচ্ছেন । গ্রামাঞ্চলের ১৫ কোটি ছাত্র এতে উপকৃত হয়েছে । ১৫ বছর বয়সের ছাত্রী ফু ছিন বলেন , আমি গ্রামের মেয়ে । আমার বাবা মা ছেন তু শহরের কৃষি শ্রমিক । ফু ছিন ছেনতুয়ের একটি মাধ্যমিক স্কুলে পড়ছে । সেখানে শিক্ষার ফি , বই খাতা ও থাকার খরচ সব মওকুফ করা ছাড়াও প্রতি মাস ফু ছিন এক শ' ইউয়ান ভর্তুকি পায় । ফু ছিন বলেন , সোনালী ফিনিক্স প্রকল্পের কল্যাণে আমি শহরে পড়াশুনার সুযোগ পেয়েছি । এতে আমি নিজেকে ধন্য মনে করি ।