সম্প্রতি ভারত সরকার সংশোধিত সরাসরি দিবেশী পুঁজিবিনিয়োগ নীতি প্রকাশ করেছে। তেলের প্রক্রিয়াকরণ, কয়লা উত্তোলন , বিমান পরিবহন সহ কয়েকটি ক্ষেত্রে বিদেশী পুঁজির ওপর নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল করা হয়েছে।
স্থানীয় প্রচার মাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, এক মাসের সমীক্ষার পর , যে সব ক্ষেত্রে স্বদেশের প্রযুক্তি দুর্বল সে সব ক্ষেত্রে বিদেশের পুঁজিবিনিয়োগ নীতিগতভাবে উত্সাহিত করা হয়েছে। কিন্তু ওয়ালমাট, ক্যারিফোর সহ কয়েকটি বিদেশী চেইন শপের ওপর নিষধাজ্ঞা এখনও শিথিল করা হয়নি।
এবার ভারত সরকার যে নতুন নীতি ঘোষণা করেছে তার বিষয়বস্তু হল: টাইটেনিক খনির উত্তোলন , বিমান মেরামত শিল্প-প্রতিষ্ঠানে ১০০ শতাংশ বিদেশী পুঁজির অনুপাত অনুমোদন। মালবাহী ও বিশেষ অনুমতিপ্রাপ্ত এয়ার লাইনে বিদেশী পুঁজির অনুপাত ৪৯ শতাংশ থেকে ৭৪ শতাংশ বাড়বে। রাষ্ট্রয়াত্ত তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস পরিশোধন শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিদেশী পুঁজির অনুপাত ২৬ শতাংশ থেকে ৪৯ শতাংশ বাড়বে। তা ছাড়া, আর্থিক ক্ষেত্রের তথ্য ও পণ্য বিনিময় বিভাগে বিদেশী পুঁজির অনুপাত ৪৯ শতাংশ হবে ।
ধারণা করা হচ্ছে যে, ভারত সরকার নীতি সংশোধনের মাধ্যমে বিদেশী পুঁজির প্রবেশ আরও উত্সাহিত করছে। ২০০৬ অর্থ বছরে ভারত মোট ১৬০০ কোটি মার্কিন ডলারের বিদেশী পুঁজিবিনিয়োগ আকর্ষণ করেছে। চলতি বছর মাচ মাস পযর্ন্ত চলমান ২০০৭ অর্থ বছরে পুঁজিবিনিয়োগের পরিমাণ ২৬০০ কোটি মার্কিন ডলার পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে।
|