v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-01-31 19:12:37    
হোশুন প্রাচীন নগর

cri
    প্রাকৃতিক দৃশ্য ছাড়াও থেংছোংয়ের সাংস্কৃতিক ইতিহাসও সুদীর্ঘকালের । সাম্প্রতিক বছরগুলোতে থেংছেংয়ের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত হোশুন প্রাচীন নগর নতুন পর্যটন স্থানে পরিণত হয়েছে । ২০০৫ সালে এ প্রাচীন নগর চীনের সবচেয়ে মনোরম নগরের অন্যতম হওয়ার পর আরও বেশি দেশী বিদেশী পর্যটকরা এখানে আসতে শুরু করেন ।

    চীনের মিং রাজবংশে হোশুন প্রাচীন নগর থেংছোং জেলার গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন এলাকায় অবস্থিত । কয়েক শো বছর ধরে, হোশুনের অনেক ব্যবসায়ী বিদেশে ব্যবসা করে সুনাম ও বিরাট সাফল্য অর্জন করেন । দীর্ঘকাল ধরে হোশুন প্রাচীন নগর চীনের বিখ্যাত প্রবাসীদের নগরে পরিণত হয় । বর্তমানে এ নগর প্রাচীনকালের সহজ , শান্ত ও স্নাগ্ধ পরিবেশ বজায় রেখেছে এবং পাহাড়ের আকার অনুযায়ী নির্মিত পাথর স্থাপত্য ও শ্লোকদর্পন পাহাড় এবং গাছপালার মধ্যে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে । পাহাড়ের নিচে হোশুনের লোকজনের নির্মিত বড় হ্রদ রয়েছে । হ্রদের মধ্যে প্রচুর বাতাস চক্রাকারে ঘুরতে থাকে । সবুজ পাহাড় ও গাছের সমন্বয়ে একটি সুন্দর ছবি তৈরি হয়েছে ।

    ইউয়ুন্নানের সুবিখ্যাত ঐতিহ্যিক ও সাংস্কৃতিক প্রবাসীদের নগর হিসেবে হোশুনে চীনের গ্রামাঞ্চলের সবচেয়ে বড় লাইব্রেরী --হোশুন লাইব্রেরী নির্মিত হয়েছে । সেখানে প্রাচীনকালের অনেক বই ও মূল্যবান পান্ডুলিপ সংগৃহীত রয়েছে । এছাড়াও অনেক বিখ্যাত চিন্তাবিদ, শিক্ষাবিদ ও ব্যবসায়ীর জন্মস্থান এই হোশুন । স্থানীয় অঞ্চলের প্রত্যেক অধিবাসী নিজের জন্মস্থানের জন্য গর্ব অনুভব করে । ম্যাডাম ওয়াং থিয়েন ইউয়ুন স্থানীয় অঞ্চলে একটি পারিবারিক হোটেল স্থাপন করেন । প্রতিদিন তিনি বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা পর্যটকদের স্বাগত জানান । নিজের জন্মস্থান সম্পর্কে ম্যাডাম ওয়াং অনেক কথা বলেন, তিনি বলেছেন,  আমাদের হোশুনের ইতিহাস ৬০০ বছরের । এখানকার লোকজন নিজেদের অধিবাসীদের ও জন্মস্থানকে গভীরভাবে ভালোবাসে । চীনের মনোরম শহরে পরিণত হওয়ায় আমরা অনেক খুশি । এখন বিদেশে থাকা হোশুনেরপ্রবাসীরা স্বদেশে ফিরে আসছেন এবং নিজেদের জন্মস্থান উন্নয়নের জন্য অবদান রাখছেন । আমরা নিজেদের পরিবারের উন্নয়নের মধ্য দিয়ে পর্যটন শিল্পের জন্য পরিসেবা দেই । আমাদের জীবন-যাপনের মানও উন্নত হয়েছে । আমি মনে করি, আমাদের এতো দূর গ্রামাঞ্চলে উন্নয়ন না করলে এতো সুন্দর ও ঐতিহ্যসম্পন্ন জায়গা কখনো পরিচিত হবে না ।

    সাম্প্রতিক বছরগুলোতে থেংছোং জেলা পর্যটন সম্পদের উন্নয়ন জোরদার করেছে । হোশুন প্রাচীন নগরে এখন নতুন পরিবর্তন ঘটেছে । স্থানীয় লোকজনের জীবনযাপনের মান আগের চেয়ে অনেক উন্নত হয়েছে । ম্যাডাম ওয়াংয়ের মত পারিবারিক হোটেল স্থাপন করা লোকজনের আয়ও অনেক বেড়েছে । প্রতি বছর ২ বা ৩ হাজার ইউয়ানের বেশি লাভ হয় । থেংছোং জেলার প্রশাসক চাং ওয়েই চিয়ান বলেন, থেংছোং জেলায় হোশুন প্রাচীন নগরসহ অনেক বিখ্যাত পর্যটন স্থান রয়েছে এবং পর্যটন সম্পদও প্রচুর । ভবিষ্যতে তারা পর্যটন শিল্প ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের পরিসেবা শিল্পের উন্নয়ন জোরদার করবে এবং স্থানীয় অঞ্চলের অর্থনীতির উন্নয়ন ত্বরান্বিত করবে । তিনি বলেন,  আমাদের থেংছোংয়ের পর্যটন সম্পদ বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন এবং পর্যটন শিল্প উন্নয়নের সম্ভাবনা প্রচুর । ভবিষ্যতে আমরা থেংছোংক একটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ের পর্যটন স্থান হিসেবে উন্নয়ন করবো এবং একটি বাণিজ্য, পর্যটন, সংস্কৃতি , বিদেশে চীনা প্রবাসীর জন্মস্থান ও বন্দরসহ বহুমুখী প্রাকৃতিক পার্কের মতো সুন্দর শহর সৃষ্টি করবো ।

     সুর্য পশ্চিমে হেলে পড়ে প্রাচীন জেলার দৃশ্যে সোনালী আলোর ছায়া ফেলেছে ।বহুদুর সবুজ পাহাড় ও গাছগুলোর ওপর সাদা মেঘ ভেসে রয়েছে । আমাদের কানে ভেসে আসছে স্থানীয় অঞ্চলের লোকজনের আন্তরিক গানের সুর । থেংছোং এবং হোশুনে আপনারা স্বর্গের মতো জীবনযাপন উপভোগ করতে পারবেন ।

    প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, থেংছোং এবং হোশুনের তথ্য জানার পর আপনাদের কেমন লাগছে । পছন্দ হয়েছে কি ? যদি পছন্দ হয়ে থাকে তাহলে সময় করে অবশ্যই ইউয়ুন্নান প্রদেশে এসে বেড়িয়ে যান। আমি বিশ্বাস করি, আপনারা অবশ্যই এ সুন্দর স্থানটিকে ভালবাসবেন ।