v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-02-04 16:26:20    
পরবর্তী অনুষ্ঠানমালা --- ২০০৮/২/৪

cri

    বন্ধুরা, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারী আমাদের বসন্ত উত্সব। বসন্ত উত্সব চীনের ৫৬টি জাতির একটি অভিন্ন উত্সব। হান জাতি ছাড়া, চীনের অনেক সংখ্যালঘু জাতি নিজস্ব রীতিতে এই ঐতিহ্যিক উত্সব উদযাপন করেন। ৫ ফেব্রুয়ারী সংস্কৃতির সম্ভার আসরে ফাং সিউ ছিয়েন আপনাদের চীনের লি জাতি, ই জাতি, মিয়াও জাতি, মান জাতি, তুং জাতি, চুয়াং জাতি, ছিয়াং জাতি, সুই জাতি, পাই জাতি, কোরিয় জাতি, মঙ্গলীয় জাতিসহ মোট ১৬টি সংখ্যালঘু জাতি বসন্ত উত্সব উদযাপনের বিশেষ রীতিনীতি ব্যাখ্যা করবেন।

    পশ্চিম চীনের ছুং ছিং শহর হচ্ছে চীনের সবচেয়ে নতুন কেন্দ্র শাসিত মহানগর। বর্তমানে ছুং ছিং ধাপে ধাপে ইয়াং সি নদীর উচ্চ অববাহিকার একটি অর্থনৈতিক কেন্দ্রে পরিণত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও ছুং ছিংয়ের প্রভাব ক্রমেই বাড়ছে। এখন ক্যানাডা, জাপান, বৃটেন, কাম্পুচিয়া ও ডেনমার্ক ছুং ছিংয়ে তাদের কনস্যুলেট খুলেছে। এভাবে পশ্চিম চীনের এ শহরে বিদেশী কনস্যুলেটের সংখ্যা এখন অপেক্ষাকৃত বেশি। বিদেশী কূটনীতিকদের চোখে ছুং ছিং শহর কী রকম? তারা কেমন করে সেখানে জীবন-যাপন করছেন? এ সম্পর্কে জানার জন্যে আমাদের সংবাদদাতা সম্প্রতি ছুং ছিংয়ে জাপানী ও বৃটিশ কনস্যুলেটে গিয়েছেন। ৬ ফেব্রুয়ারী সমাজ দর্পন আসরে শি চিং উ এ সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন শোনাবেন।

    ভারতের যুবক চৌধুরী দীলিপ গিরিধার ২০০২ সালে চীনের শান সি প্রদেশের থাই ইয়ান শহরের নর্মাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে ইংরেজী ভাষা শিক্ষাদান করেন। কয়েক বছর ধরে তিনি ইংরেজী ভাষা শিক্ষাদানের পাশাপাশি নিজেই চীনের কুংফুও ভালো করে শিখে নিয়েছেন। তিনি চীনের অনেক জায়গায় গিয়েছেন। অনেক চীনা বন্ধুর সঙ্গে তার পরিচয় হয়েছে। তিনি বলেন, তাঁর চীনের অভিজ্ঞতা তাঁর জীবনে অতুলনীয় রঙিন স্বপ্নের মত। বন্ধুরা, ৬ ফেব্রুয়ারী ভীন দেশির চোখে অনুষ্ঠানে শুনুন ভারতীয় যুবকের সেই কাহিনী।

    তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের তুইলুংতেছিং জেলার নাইছুং থানায় বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ফুল ও সব্জি চাষের জন্য তিব্বতী কৃষকদের প্রশিক্ষণের একটি সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ সমিতি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরবর্তী তিন বছর ধরে ফসলের রকমারি রদবদলের জন্য স্থানীয় কৃষকদের সাহায্য করা হয়েছে এবং ফুল ও সব্জি চাষের ওপর নির্ভর করে দারিদ্র দূরীকরণ কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ৬ ফেব্রুয়ারী ওরা অনন্য অনুষ্ঠানে থান ইয়াও খাং এ সম্পর্কে আপনাদের জানাবেন।

    সবার ধারণা, চীনে চা-য়ের ইতিহাসে শুধু দক্ষিণ চীনেই চা উত্পাদিত হয়। কিন্তু সেনসি প্রদেশের সাংনান জেলার সিনিয়র কৃষি প্রকৌশলী মাদাম চাং সুচেন ৩০-৪০ বছর ধরে গবেষণা চালানোর পর সাফল্যের সঙ্গে দক্ষিণ চীনের চা'কে ৩০০ কিলোমিটার উত্তরে স্থানান্তর করেছেন। যার ফলে উত্তর চীনের সেনসি প্রদেশের পাহাড়ী এলাকাভূক্ত সাংনান জেলার কৃষকরা চা উত্পাদনের মাধ্যমে ধনী হতে পেরেছেন এবং গত দু'হাজার বছরেরও বেশি সময়ের উত্তর চীনের চা উত্পাদন না হওয়ার ইতিহাস পরিবর্তিত হয়ে গেছে। ৭ ফেব্রুয়ারী কন্যা জায়া জননী অনুষ্ঠানে চুং শাও লি 'বুড়ি মা চাং সুচেন ও তাঁর চা' নামে একটি প্রতিবেদন শোনাবেন।

    ৮ ফেব্রুয়ারী সেই গ্রাম এই জীবন আসরে চীনের দু'জন বিজ্ঞানীকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হবে। তারা হচ্ছেন কৃষি ভাইরাস প্রতিষেধক বিজ্ঞানী ছেন চিয়ান পিং ও চেন পাও শেন। ছেন চিয়ান পিং ও চেন পাও শেন কৃষি গবেষণার ক্ষেত্রে সফল হয়েছেন। তারা দু'জনেই গবেষণার সাফল্যকে কৃষি উত্পাদনে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছেন। চীনের আবাদী জমির আয়তন বিশ্বের মাত্র ৭ শতাংশ। কিন্তু চীন বিশ্বের ২২ শতাংশ জনসংখ্যাকে পালন করতে সক্ষম। এর মূলে রয়েছে চীনের বিজ্ঞানীদের পরিশ্রম ও নিরলস প্রচেষ্টা।

    বন্ধুরা, তা ছাড়া প্রতি দিন আরো রয়েছে খবর এবং অন্যান্য নিয়মিত অনুষ্ঠান। সময় মত সি আর আই এর বাংলা অনুষ্ঠানগুলো শোনার জন্য আগে থেকেই আপনাদের সবাইকে সাদর আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখছি।