v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-01-28 19:29:57    
পাকিস্তানে চীনা শিল্প-প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তা বাড়ানো হবে

cri

**পাকিস্তানে চীনা শিল্প-প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তা বাড়ানো হবে

    ২৪ জানুয়ারী পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পাকিস্তানে চীনা শিল্প-প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনা সভায় পাক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এসব শিল্প-প্রতিষ্ঠানের কাছে চীনা নাগরিকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কিভাবে আরো জোরদার করা যায় সে বিষয়ে তাদের মতামত জানতে চায় এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানানো হয়।

    পাকিস্তানে কিছু কিছু চীনা শিল্প-প্রতিষ্ঠান এবং স্বরাষ্ট্র, বাণিজ্য, পানি ও বিদ্যুত্ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা এ আলোচনা সভায় অংশ নেন।

    সভায় চীনা শিল্প-প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবসা, ভিসা ও নিরাপত্তা বিষয়ক সমস্যার কথা তুলে ধরে। পাকিস্তানের অংশগ্রহণকারীরা এসব সমস্যার ব্যাপারে তাদের মতামত জানান এবং ভবিষ্যতে অব্যাহতভাবে এগুলো নিরসন করা হবে বলে আশ্বাস দেন। যাতে চীনা শিল্প-প্রতিষ্ঠানগুলোকে পাকিস্তানের উন্নয়নের জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি ও দ্বিপক্ষিক আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতা এগিয়ে নেয়া যায়।

** পাকিস্তানের পুলিশ নেওয়াজের ওপর বোমা হামলার ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দিয়েছে

    ২৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমে পেশওয়ারের পুলিশ তথ্য মাধ্যমকে জানিয়েছে, এ দিন পুলিশ সফলভাবে পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নেওয়াজ শরিফ)-এর নেতা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী নেওয়াজ শরিফের ওপর একটি বোমা হামলার ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দিয়েছে।

    এ দিন পেশওয়ারের সুপ্রিম কোর্টের যাত্রা পথে শরীফের গাড়ি বহর থামিয়ে রেখে ৪শ' গ্রাম ওজনের একটি সড়ক বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। বোমাটি নিষ্ক্রিয় করে দেওয়ার পর শরিফের গাড়ী বহরটিকে আবার যেতে দেওয়া হয়। পরে সুপ্রিম কোর্টে ভাষণ দেয়ার সময় নেওয়াজ শরিফ এ কথা জানিয়েছেন।

    পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নেওয়াজ শরিফ) হচ্ছেন পাকিস্তানের অন্যতম প্রধান বিরোধী দল। অন্য বিরোধি দলের নেতা বেনজির ভূট্টো ২০০৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর হত্যাকান্ডের শিকার।

**গোয়াদার বন্দর সম্পর্কিত ভারতের বক্তব্য নাকচ করেছে পাকিস্তান

    পাকিস্তানের গোয়াদার বন্দর নির্মাণ ভারতের ওপর গুরুতর কৌশলগত হুমকি সৃষ্টি করবে বলে ভারত সরকার যে ভাষ্য দিয়েছে পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের তথ্য ও বেতার মন্ত্রী নিসার মেমোন ২৪ জানুয়ারী এক সংবাদ সম্মেলনে তা নাকচ করে দিয়েছেন।

    তিনি বলেন, ভারত সরকারের এ ধরণের ভাষ্য দু'দেশের দ্বিপক্ষীয় সংলাপের মূল চেতনার পরিপন্থী। এ ভাষ্য দু'দেশের সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং সংলাপের পরিবেশ নষ্ট করবে। তিনি আরো বলেন, গোয়াদার বন্দর পাকিস্তানের অর্থনীতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এটি এ অঞ্চলের একটি বড় বাণিজ্যিক বন্দর হবে। ভারতের নৌবাহিনী প্রধান সুরেশ মেহতা ২১ জানুয়ারী বলেন, হোরমুজ প্রণালীর কাছাকাছি এলাকায় গোয়াদার বন্দর স্থাপন করে পাকিস্তান বিশ্ব জ্বালানী পরিবহণ নিয়ন্ত্রণ করবে এবং ভারতের তেল ট্যাংকার চলাচলে বাধা হয়ে দাড়াবে।

** ভারত ও ফ্রান্সের বহুমুখী সহযোগিতা

     ভারত সফররত ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজি ২৫ জানুয়ারী নয়া দিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংএর সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকের পর প্রকাশিত একটি যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দু'দেশের সম্পর্ক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে দু'দেশের সহযোগিতা ভবিষ্যতে আরও জোরদার হবে। বিবৃতিতে বলা হয়, ভারতের জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য হওয়ার উদ্যোগকে ফ্রান্স সমর্থন করে। তা ছাড়া, বিবৃতিতে জি ৮ -এ ভারতের অংশ গ্রহণে ১৩টি গোষ্ঠিতে সম্প্রসারিত করার ব্যাপারে সম্মতি প্রকাশ করা হয়েছে। দু'দেশের কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্কে নতুন চালিকাশক্তি সৃষ্টির জন্য দু'দেশ পরমাণু শক্তিকে শান্তিপূর্ণভাবে কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে সহযোগিতা চালাতে প্রস্তুত। দু' দেশ বিশ্বজুড়ে চরমপন্থী ও সন্ত্রাসবাদীদের হুমকিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিশ্ব শান্তি রক্ষা করা ও পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার রোধ এবং সন্ত্রাসবাদের ওপর আঘাত হানার ব্যাপারে দু'দেশ সহযোগিতা জোরদার করতেও রাজি হয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে । দু'দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষামূলক তথ্য গোপন রাখা , কারাবন্দী বিনিময় করা ও পরমাণু শক্তি সহ পাঁচটি সহযোগিতামূলক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

**স্থায়ী সন্ত্রাস দমনে কারজাইয়ের আহ্বান

    ২৩ জানুয়ারি আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্বব্যাপী কঠোর ও স্থায়ী সন্ত্রাস দমন সংক্রান্ত অংশীদারিত্বের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা, সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি ও অবকাঠামো নির্মূল করা এবং সন্ত্রাসবাদের অর্থনৈতিক উত্স ও তালিকাভূক্ত নেটওয়ার্ক উচ্ছেদের আহ্বান জানিয়েছেন।

    বিশ্ব অর্থনীতি ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৯১১ হামলার পর, সারা বিশ্বে সন্ত্রাসী হামলার ওপর আঘাত হানার মাত্রা বাড়লেও সন্ত্রাসী ঘটনা কমেনি। তিনি বিশেষ করে আফগানিস্তানে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলা এবং পাকিস্তানের বেনজির ভূট্টো হত্যাকান্ডের কথা উল্লেখ করেন।