v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-01-28 17:24:43    
গাজা সমস্যা নিরসনে ইসরাইল , মিসর ও ফিলিস্তিনের ইতিবাচক প্রচেষ্টা

cri
    সাম্প্রতিক দিনগুলোতে গাজা অঞ্চল ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের মধ্যে সংঘাতের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। ২৭ জানুয়ারী গাজার সীমান্ত দেয়াল ভেংগে ফেলার ঘটনায় ইসরাইল , ফিলিস্তিন ও মিসরের সরকার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ২৭ জানুয়ারী বিভিন্ন বৈঠকে যে সব কথা বলা হয়েছে তাতে গাজা অঞ্চলের সমস্যা নিয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর অবস্থান প্রতিফলিত হয়েছে। এক দিকে , গাজা অঞ্চলে মানবিক ত্রাণ সামগ্রী ও জ্বালানী সরবরাহের ব্যাপারে ইসরাইল কিছুটা আপোষ করেছে। ২৭ জানুয়ারী ইসরাইলের " জারুজালেম পৌস্ট পত্রিকার" একটি খবরে বলা হয়েছে, মানবিক সংস্থা ও ইসরাইলের সুপ্রীম কোটের চাপে ইসরাইল শেষ পযর্ন্ত২৭ জানুয়ারী থেকে গাজা অঞ্চলে জ্বালানী সরবরাহ আবার শুরু হবে বলে জানিয়েছে । ২৭ জানুয়ারী ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বসের সঙ্গে বৈঠকে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী ওলমার্ট বলেছেন, গাজা অঞ্চলের নাগরিকদের ওপর আঘাত না হানার জন্য ফিলিস্তিন যে দাবি জানিয়েছে ইসরাইল তা বিবেচনা করবে। তা ছাড়া, ইসরাইল এই অঞ্চলের অবরোধ শিথিল করবে এবং এই অঞ্চলে মানবিক ত্রাণসামগ্রী ও জ্বালানীর সরবরাহ আবার শুরু করবে। অন্য দিকে মিসর জানিয়েছে, গাজা অঞ্চলের পরিস্থিতি সামলানোর জন্য তারা যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ আবুল ঘেইট ২৭ জানুয়ারী ফিলিস্তিনের অন্তবর্তীকালীণ সরকারের প্রধানমন্ত্রী সালাম ফায়াদের সঙ্গে বৈঠক করার পর বলেছেন, সীমান্তের পরিস্থিতি স্বাভবিক রাখার জন্য মিসর উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু এর পাশাপাশি তিনি বলেন, ফিলিস্তিনীদের রাষ্ট্র গঠনের না হওয়া পর্যন্ত মিসর অব্যাহতভাবে গাজা অঞ্চলের অধিবাসিদেরকে সাহায্য দিয়ে যাবে। এ ছাড়া, আহমেদ আবুল ধেইট সালাম ফায়াদের সঙ্গে আব্বাসের সংশ্লিষ্ট প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করেছেন। আব্বাসের প্রস্তাব হল, ফিলিস্তিনের নিরাপত্তা বাহিনী লাফা স্থল বন্দর আবার নিয়ন্ত্রণ করবে । প্রচার মাধ্যমগুলোতে ফিলিস্তিনের অন্তর্বতীকালীন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিআদ আলমালকির কথা উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ২০০৫ সালের সংশ্লিষ্ট চুক্তি অনুযায়ী, মিসর ও ফিলিস্তিন আব্বাসের এই প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে। এ থেকে বোঝা যায় যে, মিসর হামাসের অনুরোধ অস্বীকার করেছে। এর আগে হামাস এই স্থল বন্দর মিসর ও হামাসের যৌথ নিয়ন্ত্রণের জন্য অনুরোধ করেছেন। আপাতদৃষ্টিতে গাজা অঞ্চলের সংর্ঘষের নিষ্পত্তি কেবল সময়ের ব্যাপার মাত্র। কিন্তু বিশ্লেষকরা মনে করেন, বাস্তবে এই সমস্যার সমাধানে অনেক অনির্দিষ্ট উপাদান বিরাজ করছে।এই অঞ্চলের অবরোধ শিথিল করার পাশাপাশি ইসরাইল সরকার হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, যদি এই অঞ্চলের ফিলিস্তিনী সশস্ত্র ব্যক্তিরা অব্যাহতভাবে রকেট হামলা চালায় তাহলে ইসরাইল আবার জ্বালানীর সরবরাহ সীমাবদ্ধ করার কথা বিবেচনা করবে। সুতরাং মানবিক সংস্থাগুলোর চাপের কারণে ইসরাইলের আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আবার সার্বিকভাবে গাজায় অবরোধ আরোপের সম্ভাবনা প্রায় নেই , তবু ফিলিস্তিনীরা হামলা চালাতে থাকলে নিজস্ব নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ইসরাইল হয়তো তার নীতি পরিবর্তন করবে।

    আসলে ফালা স্থল বন্দরের সীমালা ভেংগে দেওয়ার পর , ইসরাইল সব সময় উদ্বেগ বোধ করছে যে, ফিলিস্তিনের শসস্ত্র বাহিনী আরও সহজেই অস্ত্র ও তহবিল পেতে পারে। সন্ত্রাসবাদীরা আরও সহজেই গাজার অধিবাসীদের মধ্যে লুকিয়ে ইসরাইলের ওপর আঘাত হানার সুযোগ পাবে। সুতরাং, ইসরাইল ২৪ জানুয়ারী মিসর সংলগ্ন সীমান্তে প্রহর বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে।

    আগামী ৩০ জানুয়ারী মাহম্মুদ আব্বাস ও মিসরের প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের মধ্যে এ বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। বতর্মানে এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, ইসরাইল ফিলিস্তিনের নিরাপত্তা বাহিনীকে ফালা সীমান্তের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করাকে সমর্থন করবে না। জনমত অনুযায়ী, সম্প্রতি ইসরাইল, মিসর ও ফিলিস্তিনের মধ্যে আলাপ আলোচনা গাজা অঞ্চলের সমস্যার সমাধানের অনুকূল। (চিন ছেন)