২৩ জানুয়ারি ছিল জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের গাজা অঞ্চলের মানবিক সংকট নিয়ে আলোচনার দ্বিতীয় দিন। আরব লীগের চেয়ারম্যানের পেশ করা বিবৃতি নিয়ে আলোচনায় একমত হয়নি। এ দিকে ইসরাইলী সরকার গাজা অঞ্চলের অবরোধ অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরব লীগের চেয়ারম্যানের বিবৃতিতে ইসরাইলকে গাজা অঞ্চলের অবরোধ তুলে নিয়ে সেখানে মানবিক ত্রাণ সাহায্য ঢুকতে দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। পাশা পাশি গাজা অঞ্চলের বেসামরিক মানুষের ওপরে অনাচার বন্ধ করারও আহ্বান জানানো হয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদের ১৫টি সদস্য দেশের মধ্যে বিবৃতিতে জানানো আহ্বানের প্রতিসাড়া দিতে বেকলমাত্র যুক্তরাষ্ট্র রাজি হয়নি।
ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ২৩ জানুয়ারি রাতে একটি সম্মেলনে গাজা অঞ্চলের অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পরে সে অঞ্চলে শুধু বিদ্যুত উত্পাদন কেন্দ্রের তেল, হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সের তেল, গৃহস্থানী কাজে ব্যবহার্য প্রাকৃতিক গ্যাস এবং অন্যান্য মানবিক ত্রাণ সাহায্য প্রবেশ করতে পারবে।
একই দিন রাতে সশস্ত্র ফিলিস্তিনীরা গাজা অঞ্চলের সীমান্ত বন্দর রাফাহ'র বিভক্তকারী প্রাচীরে বোমা মেরে দশ বারোটি গর্ত সৃষ্টি করেছে। কয়েক হাজার ফিলিস্তিনী এই গর্ত পার হয়ে মিশরে ঢুকে খাবার ও জ্বালানি কিনেছেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী মুখপাত্র টম ক্যাসি বলেন, ফিলিস্তিনীদের মিশরে প্রবেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এখন মিশর সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছে। (ইয়াং ওয়েই মিং)
|