v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-01-21 19:06:12    
পরবর্তী অনুষ্ঠানমালা --- ২০০৮/২/২১

cri

    গত শতাব্দীর আশির দশক থেকে তাইওয়ানের তৈরী টেলিভিশন নাটকগুলো মূলভূভাগে দেখানো হচ্ছে এবং এসব টিভি নাটক দর্শকদের প্রশংসা পেয়েছে। তখন থেকে দু'পারের টেলিভিশন বিভাগ যৌথভাবে অনেক টিভি নাটক তৈরি করেছে। সম্প্রতি চীনের জাতীয় বেতার, চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ব্যুরো ঘোষণা করেছে, আগামী বছরের পয়লা জানুয়ারী থেকে চীনের মুলভূভাগ ও তাইওয়ানের যৌথ উদ্যোগে তৈরী টেলিভিশন নাটক মুলভূভাগের সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুমোদন ক্রমে মূলভূভাগে প্রকাশ ও পরিবেশন করা হবে। এই নতুন সিদ্ধান্ত প্রণালীর দু'পারের সাংস্কৃতিক বিনিময়কে আরো সমৃদ্ধ করে তুলেছে। ২২ জানুয়ারী সংস্কৃতির সম্ভার আসরে শুনুন এই সম্পর্কে বিস্তারিত একটি প্রতিবেদন।

    চীনের ইয়ুন নান প্রদেশে অবস্থিত তিয়ান ছি হ্রদ হচ্ছে চীনের ষষ্ঠ বড় মিঠাপানির হ্রদ। এর আয়তন ৩০০ বর্গ কিলোমিটারেরও বেশি। তিয়ান ছি হ্রদ চীনের ইয়ুন নান-কুই চৌ মালভূমির 'মুক্তা' বলে পরিচিত। তিয়ান ছি হ্রদের তীরে ফুশান নামে একটি গ্রাম আছে। এ ছোট্ট গ্রামের কৃষক চাং চেং সিয়াং বিশ বছর ধরে সচেতনভাবে মালভূমির হ্রদ – তিয়ান ছি হ্রদ সংরক্ষণের চেষ্টা করে আসছেন। তিনি ইতোমধ্যেই একজন প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণ বিশেষজ্ঞে পরিণত হয়েছেন। তার প্রভাবে আশেপাশের গ্রামবাসীরাও পরিবেশ সংরক্ষণ অভিযানে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। ২৩ জানুয়ারী সমাজ দর্পন অনুষ্ঠানে শি চিং উ তিয়ান ছি হ্রদের সংরক্ষণকারী চাং চেং সিয়াং এর সেই কাহিনী আপনাদের শোনাবেন।

    উ সি চীনের একটি প্রাচীন নগর। সেখানে ভালোভাবে সংরক্ষিত পুরোনো ঐতিহ্যের প্রাচীন ছোট্ট নগর রয়েছে। যেমন রোং সিয়াং প্রাচীন নগরের ইতিহাস ৬০০ বছরের। এ স্থানটি হচ্ছে চীনের আধুনিককালের বহু জাতীয় শিল্পপতির দোলনা। রো সিয়াং-এ এখনো প্রায় ৩৮০ মিটার দৈর্ঘ্য একটি পুরোনো রাস্তা সংরক্ষিত রয়েছে। এই রাস্তার দু'পাশে ১৫৭টি আধুনিককালের স্থাপত্য রয়েছে। তাদের একটি অভিন্ন বৈশিষ্ট্য হচ্ছে অধিকাংশই রো নামে পরিবারের সম্পত্তি। ২৪ জানুয়ারী চলুন বেড়িয়ে আসি অনুষ্ঠানে এই প্রাচীন নগরের সঙ্গে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেয়া হবে।

    চীনের তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের মধ্যাংশে অবস্থিত নামুছু হ্রদ। তিব্বত মালভূমির বৃহত্তম লবণাক্ত হ্রদ। এ হ্রদ বিশ্বের এমন একটি লবণাক্ত হ্রদ, যার উচ্চতা সমুদ্র-সমতলের তুলনায় অনেক উঁচুতে। তিব্বতীদের জন্য নামুছু হ্রদ হচ্ছে পবিত্র হ্রদ। তীর্থ স্থান হিসেবে এ হ্রদটি একবার ঘুরে বেড়ালে মানুষের জীবন দুর্যোগের কবল থেকে মুক্তি পাবে। সুতরাং তিব্বতীদের সারা জীবনে এখানে কমপক্ষে একবার হলেও ঘুরে যেতে হয়। পর্যটন শিল্প দ্রুত বিকাশ লাভ করেছে। সুতরাং বেশ কিছু পশুপালক পর্যটন ব্যবসার জন্য পশুপালন ত্যাগ করেছেন। তিব্বতী তরুণ কংচুছিথা তাদের মধ্যে একজন। ২৫ জানুয়ারী সেই গ্রাম এই জীবন আসরে থান ইয়াও খাং কংচুছিতার সুখী জীবন সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন শোনাবেন।

    ২০০৭ সালের অক্টোবর মাসে বিশ্ব বিশেষ অলিম্পিক গেমস চীনের বৃহত্তম বানিজ্যিক শহর সাংহাই-এ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশেষ অলিম্পিক গেমস সম্পর্কিত এক টিভি বিজ্ঞাপন ছবিতে আমরা দৌঁড়াতে পছন্দ করে এমন একজন মানসিক প্রতিবন্ধী মেয়ে চাও চেনচেনের পরিচয় পাই। এখন এই ১৯ বছর বয়সী মেয়ে চীনের বাস্কেটবল ইয়াও মিং ও দৌঁড়বিদ লিউ সিয়াংয়ের মতোই সাংহাই শহরের বাড়িতে বাড়িতে বিখ্যাত তারকায় পরিণত হয়েছেন। তার বোধশক্তির মাত্রা ৬ বছর বয়সী শিশুর মতো। কিন্তু সে তার আত্মবিশ্বাস ও নির্মল হাসি দিয়ে সবার মন জয় করেছে। ২৫ জানুয়ারী কন্যা জায়া জননী অনুষ্ঠানে চুং শাও লি "আমি জানি, আমি পারি" শিরোনামে চাও চেনচেনের আবেগপূর্ণ গল্পটি শোনাবেন।

    বন্ধুরা, তা ছাড়া প্রতি দিন আরো রয়েছে খবর এবং অন্যান্য নিয়মিত অনুষ্ঠান। সময় মত সি আর আই এর বাংলা অনুষ্ঠানগুলো শোনার জন্য আগে থেকেই আপনাদের সবাইকে সাদর আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখছি। (ইয়ু কুয়াং ইউয়ে)