তুরস্কের লোকসংখ্যা ৬ কোটি ৭ লাখ ৩১ হাজার । এর মধ্যে তুর্কির সংখ্যা ৮০ শতাংশ । কুর্দীর সংখ্যা প্রায় ১৫ শতাংশ । তুর্কী হলো তার জাতীয় ভাষা । দেশের ৮০ শতাংশেরও বেশি লোক তুর্কী জাতির । তা ছাড়া এ দেশে কুর্দি , আরব ও আর্মেনিয়ার বংশোদ্ভুত রাজ আছে । জনগণের ৯৯ শতাংশই মুসলমান ।
তুরস্কের রাজধানী আনকারা । সমুদ্রপৃষ্ট থেকে এ শহরের উচ্চতা প্রায় ৯ শো মিটার । আনকারার লোকসংখ্যা ৩৯ লাখ ।
তুরস্ক প্রধানত একটি কৃষি ও পশু পালন দেশ । তার কৃষি সম্পদ বেশ ভালো । খাদ্য , সবুজি , ফল ও মাংস এসব এদেশেই উত্পাদিত হয় । কৃষির উত্পান মূল্য দেশের জি ডি পির ২০ শতাংশ । কৃষকদের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৪৬ শতাংশ । কৃষি পণ্যদ্রব্যের মধ্যে রয়েছে : গম , ভুট্টা , কার্পাস তুলা ইত্যাদি । শস্য ও ফল রপ্তানীও হয় । আনকারার পশম বিশ্ববিখ্যাত । দেশটির খনিজ সম্পদ অনকে বেশি । তুরস্কের খনিজ সম্পদের মধ্যে কয়লা , লোহা ও তামার পরিমাণ অনেক বেশি । তুরস্কের কয়লার মজুদ প্রায় ৬.৫ বিলিয়ন টন । বনের আয়তন প্রায় ২ কোটি হেকটর । তবে তুরস্কে তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের অভাব রয়েছে , এ ক্ষেত্রে প্রধানত তারা আমদানীর ওপর নির্ভর করে । শিল্প ক্ষেত্রে খাদ্য শিল্প বেশ উন্নত । এ দেশের প্রধান শিল্প বিভাগের মধ্যে রয়েছে : লোহা , সিমেন্ট ও গাড়ি শিল্প । পশ্চিমাঞ্চলের সমুদ্রতীরবর্তী অঞ্চলের শিল্প বেশ উন্নত । এখন পর্যটন শিল্প ইতোমধ্যেই তুরস্কের অর্থনীতির প্রধান অংশে পরিণত হয়েছে ।
১৯৫২ সালে তুরস্ক ন্যাটোর সদস্য হয়েছে। তুরস্ক অর্থনৈতিক কূটনীতি ও নিজের স্বার্থ রক্ষার ওপর বেশি গুরুত্ব দেয় । তুরস্ক প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে এবং বিশ্বের প্রধান প্রধান দেশগুলোর সঙ্গে তার সম্পর্ক জোরদার করতে ইচ্ছুক । এখন তুরস্ক যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঐতিহ্যিক অংশীদারী সম্পর্ক বজায় রাখার পাশাপাশি ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গেও সম্পর্ক জোরদার করছে । তার লক্ষ্য হল শেষ পর্যন্ত ইইউর সদস্য হওয়া ।
১৯৭১ সালের ৪ আগস্ট চীন ও তুরস্কের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয় ।
|