v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-01-17 20:14:35    
চীন নেটের কপিরাইট লংঘনের আচরণ দমনকে জোরদার করছে

cri
    চীনে ইন্টারনেটের দ্রুত বিকাশ লাভের সঙ্গেসঙ্গে নেটের কপিরাইট লংঘণের আচরণও প্রায়ই ঘটছে । ১৭ জানুয়ারী পেইচিংয়ে চীনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেছেন , বিগত কয়েক বছরে নেটের কপিরাইট লংঘণের আচরণের ওপর চীন বেশ কয়েকবার দমনমূলক ব্যবস্থা নেয়ায় উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জিত হয়েছে । পরবর্তীকালে নেটের কপিরাইট সংরক্ষণ পরিবেশ উন্নত করার জন্য চীন সরকার আরও বেশি শক্তি নিয়োগ করবে ।

    চীনে ইন্টারনেট যুগের ইতিহাস দীর্ঘ নয় কিন্তু এর গতি অতি দ্রুত । ১৯৯৭ সালের শেষ দিকে চীনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সংখ্যা ছিল মাত্র ৬ লাখ ২০ হাজার এবং ওয়েবসাইটের সংখ্যা ছিল মাত্র৪০০০ । ১০ বছর পর চীনের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সংখ্যা ১৭ কোটিতে দাঁড়িয়েছে এবং ওয়েবসাইটের সংখ্যা ১৩ লাখ ১০ হাজার ছাড়িয়েছে । ইন্টারনেট যখন চীনা জনগনের জীবনযাপনের নানা ক্ষেত্রে ছড়িয়ে যাচ্ছে তখন নেটের কপিরাইট লংঘণ করার আচরণও প্রায়ই ঘটছে । যেমন নেটের মাধ্যমে চলচ্চিত্র, সঙ্গীত, সফ্টওয়্যার, বইপুস্তক এবং নেটগেমের কপিরাইট লংঘন হচ্ছে ।

    চীনের কপিরাইট ব্যুরোর উপ মহাপরিচালক ইয়েন সিয়াওহোং জানিয়েছেন , এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে চীনের সংশ্লিষ্ট বিভাগ একটানা তিন বছর ধরে বিশেষভাবে এ ধরণের আচরণ দমন করার ব্যবস্থা নিয়েছে । তিনি বলেন , ২০০৭ সালে ইন্টারনেটের কপিরাইট লংঘনের ১০০১টি মামলার নিষ্পত্তিতে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে । ২০০৫ ও ২০০৬ সালে এধরণের যে মামলার সমাধান করা হয়েছে তার চেয়ে ১.৬গুণ বেশি । এর সার্ভার বাজেয়াপ্ত করা, ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেয়া এবং আদালতে পাঠানোর মামলার সংখ্যা সবই ২০০৫ ও ২০০৬ সালের মোট সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ।

    জানা গেছে , ২০০৭ সালে বিশেষভাবে দমন ব্যবস্থা নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায়ও দেয়া হয়েছে । ইয়েন সিয়াওহোং বলেন , গত তিন বছর নেয়া বিশেষ দমন কার্যক্রমে নির্দিষ্ট লক্ষ্য বাস্তবায়িত হলেও চীনে নেটের কপিরাইট রক্ষার পরিবেশ এখনো তেমন উন্নত হয়নি । এ জন্য চীনের সংশ্লিষ্ট বিভাগ আরও কঠোর ব্যবস্থা নেবে ।

    মিঃ ইয়েন জানান , চীন এক দিকে কপিরাইটের আইন বিভাগের ক্ষমতা জোরদার করবে যাতে কপিরাইট সম্পর্কে তারা সচেতন হতে পারে । অন্য দিকে বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগতশক্তির ব্যবহার জোরদার করতে হবে । তিনি বলেন , আমরা ইন্টারনেটের কপিরাইট তত্ত্বাবধান ব্যবস্থা গড়ে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছি এবং কৌশলগত পদ্ধতি ব্যবহার করে সঠিক ও দ্রুতভাবে নেটের কপিরাইট লংঘনের মামলার নিষ্পত্তিকরছি ।

    জানা গেছে , নির্মিয়মান ইন্টারনেটের কপিরাইট তত্ত্বাবধান ব্যবস্থা এ বছরের মে মাসে চালু হবে বলে অনুমাণ করা হচ্ছে । এই ব্যবস্থা বিভিন্ন বড়বড় ওয়েবসাইটের সঙ্গীত , চলচ্চিত্র ও টিভিনাটক পরিদর্শন করবে ।

    মিঃ ইয়েন আরও বলেন , বর্তমানেচীনের আইন অনুযায়ী নেটের কপিরাইট লংঘনের আচরণের ওপর এক লাখ রেনমিনপির চেয়ে কম জরিমানা নেয়া হচ্ছে এবং এর সার্ভার বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে।

    নেটের কপিরাইট লংঘন দমন করার গুরুত্বপূর্ণআইন পালনকারী সংস্থা হিসেবে চীনের গণ নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তাবলেন , নেটের কপিরাইট লংঘন দমন করার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার করা দরকার । এ সম্পর্কে গণ নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক অপরাধ তদন্ত ব্যুরোর উপপ্রধান কাও ফোং বলেন , নেটের কপিরাইট লংঘন ও অবিকল নকল দমনে চীনের পুলিশকে বিরাট সমস্যার মোকাবিলা করতে হচ্ছে । আইন পালন করার ক্ষেত্রে সীমারেখার সীমাবদ্ধতা অনেক সময় সমস্যা হয়ে দাড়ায় । ইন্টারনেট এমন একটি কল্পনার রূপায়নে কার্যকলাপের সীমারেখা, সময় এবং অবকাশ রয়েছে । গুরুত্বপূর্ন মামলার তদন্ত চালানোর সময় একটি অভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয় যে , এক দেশের শাস্তিএড়ানোর জন্য অপরাধীরা ভিন্ন দেশে ও ভিন্ন অঞ্চলে সার্ভারের মাধ্যমে অপরাধ সাধন করে থাকে । এটা পুলিশের দমন কার্যক্রমের জন্য দারুন অসুবিধার সৃষ্টি করে ।

    মিঃ কাওফোং বলেন , প্রকৃতভাবেবলতে গেলে মেধাস্বত্ত লংঘণ করার অপরাধমূলক তত্পরতা একটি অপরাধমূলক আন্তর্জাতিকসমস্যা । কার্যকরভাবে এ ধরণের আন্তর্জাতিক অপরাধ দমন করতে চাইলে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার করা অত্যাবশ্যক।--চুং শাওলি