v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-01-16 19:28:38    
কম সময়ের মধ্যে পেটের অতিরিক্ত মেদ জমে থাকা শরীরের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ভুমিকা

cri

    আমি বিশ্বাস করি, সব নারীরই সুখী মন বজায় রাখার পাশাপাশি স্লিম ফিগার বজায় রাখার ইচ্ছা আরও বেশি । কিন্তু সন্তান জন্ম দেয়া , বয়স বেড়ে যাওয়া এবং নানা ধরনের সুস্বাদু খাবার বেশি খাওয়ার কারণে নারীদের ফিগার সহজেই মোটা হয়ে যায় । বিশেষ করে পেটে অতিরিক্ত মেদ জমা নারীদের জন্য খুবই দৃষ্টিকটু এবং মানসিক জটিল সমস্যা । আপনারা মনে করুন, যদি কম সময় পেটে অনেক অতিরিক্ত মেদ জমে থাকে তা খুব সম্ভবত স্বাস্থ্য সংকটের চিহ্ন । এ সময় অবশ্যই নিজেদের ফিগারকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে । আজকের অনুষ্ঠানে আমি আপনাদেরকে পেটে অতিরিক্ত মেদ জমে থাকা শরীরের জন্য ক্ষতিকর ভুমিকা পালন করে । এ বিষয়টি জানাবো ।

    অধিকাংশ নারী তরুণী থাকার সময় পেটের আকার থাকে নিতম্বের ব্যপ্তির চেয়ে অনেক কম । কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পেটে অতিরিক্ত মেদ জমে থাকার কারণে সহজেই পেটের সাইজ নিতম্বের চেয়েও অনেক বেশি ঝুলে যায় । বিশেষজ্ঞরা গবেষণার মাধ্যমে জেনেছেন যে, পেট ও কোমরের মেদ সেল শরীরের অন্য প্রতঙ্গের মেদ সেলের চেয়ে বড় থাকার সহজেই পেট ও কোমরে মেদ জমে যায়। যদি তরুণী নারীদের কোমরের আকার ১ মিটারেরও বেশি হয় তাহলে তারা সহজেই ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হবে । এছাড়া ৩৫ থেকে ৫০ বছর বয়স্ক নারীদের যদি কম সময়ের মধ্যে পেটের আকার অনেক বেড়ে যায়, তাহলে খুব সম্ভবত তাদের গর্ভাশয়ের রোগে আক্রান্ত হওয়ার চিহ্ন । এ বয়সের নারীদের বিয়ে এবং সন্তান জন্ম দেয়ার পর ফিগার তরুণীকালীন সময়ের চেয়ে অবশ্যই কিছু মোটা হয়ে যায়এবং জীবনযাত্রার পদ্ধতির পরিবর্তনের কারণে শরীরের মোটা হয়ে যাওয়াকে গুরুত্ব দিয়ে দেখেন না । এ কারণে নানা রোগে আক্রান্ত হলেও তা প্রথম দিকে সহজেই জানা যায় না । কিন্তু পরে অসুস্থতা লাগার জন্য হাসপাতালে গেলে সহজেই চিকিত্সার সোনালী সময় আর থাকবে না । এ জন্য নারী বন্ধুরা, যদি আপনাদের পেটের আকার কম সময়ের মধ্যে অনেক বেড়ে যায়, তাহলে অবশ্যই হাসপাতালে গিয়ে গর্ভাশয়সহ বিভিন্ন প্রতঙ্গের স্বাস্থ্যের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নেবেন । যদি গর্ভাশয়ে কোনো সমস্যা না থাকে, তাহলে হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যও পরীক্ষা করাতে হবে ।

    তাহলে নারীরা কীভাবে পেটের অতিরিক্ত মেদ জমে থাকা প্রতিরোধ করবে ? এখন আমি আপনাদেরকে সে কথাই জানাচ্ছি এর কয়েকটি পদ্ধতিহলো ।

    তরুণী থাকাকালে ফিগারের পরিবর্তনকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত । বিশেষ করে গর্ভবতী থাকার সময় অতিরিক্ত খাবার খাওয়া ভালো নয় । অতিরিক্ত খাবার খেলে বাচ্চার শরীর গঠনের জন্য অসহায়ক এবং অনেক মেদ আপনাদের পেটে জমে দ্রুত যাবে । পরে বাচ্চা জন্ম দেয়ার পর হঠাত্ করে স্লিম হয়ে যাবেন । যা ক্ষতিকর।

    প্রতিদিন ভোরে এক গ্লাস উষ্ণ বিশুদ্ধ পানি খান । তখন সারারাত শরীরে জমে থাকা বিষাক্ত উপাদান সহজেই প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে যাবে এবং রক্তনালীর রূপান্তরেও সহায়তা করবে । অবশ্যই নাস্তা খাবেন । তবে দূধ, ডিম , যৈব পাউরুটি খাবেন ,তৈলযুক্ত খাবার কম খাওয়া বা না খাওয়া হলে ভালো । মিষ্টি ও চকলেট কম খাওয়া ভালো । প্রতিদিন দু'টি ফল খাওয়া উচিত , যেমন কমলা ও আপেল এবং প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ গ্লাস বিশুদ্ধ পানি খাবেন । ডিনার খাওয়ার পর বাইরে গিয়ে কমপক্ষে ৪০ মিনিট হাঁটা ভালো । রাতে ঘুমের আগে দোয়ালে হেলান দিয়ে পায়ের পাতার ওপর ভড় করে দাঁড়ান ,দীর্ঘকাল ধরে করলে কোমরের আকার স্লিম হয়ে যাবে । ছুটির সময় পরিবারের সদস্যের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে পরিস্কার বায়ু উপভোগ করার পাশাপাশি শরীর চর্চাও করতে হবে ।তা দীর্ঘদিন ধরে সুখী মন বজা রাখার ক্ষেত্রে সাহায্য সহায়তা দেবে ।