v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-01-15 20:37:26    
ফিলিস্তিন ও ইসরাইল প্রধান সমস্যা সম্পর্কিত বৈঠক শুরু করে

cri
    ১৪ জানুয়ারী জেরুজালেমে ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিপি লিভনি ও ফিলিস্তিনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী আহমেদ কুরেইয়া বৈঠকে মিলিত হয়েছেন । তারা জেরুজালেমের অবস্থান, ফিলিস্তিন শরনার্থীদের প্রত্যাবর্তন এবং ভবিষ্যতের ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের সীমানাসহ ফিলিস্তিন-ইসরাইলের প্রধান প্রধান সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন । গত ডিসেম্বর মাসে পুনরায় শান্তি-আলোচনা শুরু হওয়ার পর দুপক্ষ এই প্রথমবার ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘর্ষের প্রধান প্রধান সমস্যা নিয়ে আলোচনা করল ।

    বৈঠকটি দু ঘন্টারও বেশি সময় ধরে চলেছে । দুপক্ষ দুটি সমস্যায় এক মত হয়েছে । তা হল একঃ পরবর্তীতেপ্রতি সপ্তাহে একবার করে বৈঠকে মিলিত হওয়ার চেষ্টা করা । দুইঃ বৈঠক যাতে বাধাগ্রস্তনা হয় তার জন্য সংবাদমাধ্যমের কাছে বৈঠকের বিস্তারিত কোনো কিছু না বলা । তা ছাড়া দুপক্ষের মধ্যে কোনো চুক্তি সম্পাদিত হয়নি ।

    বিশ্লেষকরা মনে করেন , প্রধান সমস্যা সম্পর্কিত বৈঠকে যে কোনো অগ্রগতি হইনি তা স্বাভাবিক বটে ।

    মৌলিক স্বার্থ সম্পর্কিত প্রধান সমস্যার দ্বন্দ্বের ইতিহাস অনেক দিনের পুরনোবলে এর সমাধান করা খুবই কঠিন । মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশ দুপক্ষের শান্তি আলোচনার অচলাবস্থা নিরসনের জন্য সবেমাত্রফিলিস্তিন ও ইসরাইল সফর করেছেন । সফরকালে তিনি পুনরায় দুপক্ষকে প্রধান সমস্যা নিয়ে আলোচনা করার তাগিদ দিয়েছেন এবং তার কার্যমেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই চুক্তি সম্পদনের চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। কিন্তু প্রধান সমস্যা সম্পর্কে তিনি যে মন্তব্য করেছেন তা ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের মতভেদ দূর করতে পারেনি । যেমন অ্যানাপোলিসে আয়োজিত মধ্য প্রাচ্য শান্তি আলোচনার আগে বৈঠকের লক্ষ্য সম্পর্কে দুপক্ষের মতভেদের বিষয়টি আবারও তুলে ধরা হয়েছে । ইসরাইলের একজন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি অনুযায়ী ওলমার্ট যে পদ্ধতিখুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন তা হল , ফিলিস্তিন পক্ষের সঙ্গে তার রাষ্ট্র গড়ে তোলা সম্পর্কে কাঠামোগত চুক্তি সম্পাদন করা । কিন্তু ফিলিস্তিন যখন ইসরাইলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে ঠিক তখনই চুক্তিটি সার্বিকভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে । পক্ষান্তরে আব্বাস আশা করেন , দুপক্ষ একটি চূড়ান্ত শান্তিপূর্ণ চুক্তি সম্পাদন করবে । যাতে বুশের নির্ধারিত ২০০৮ সালের শেষ দিকে তিনি ফিলিস্তিনকে সার্বভৌমরাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করতে পারেন । লক্ষ্য এবং নিয়মবিধির ব্যাপারে দুপক্ষ ভিন্ন মত পোষণ করার ফলে তাদের প্রথম বৈঠকে যে কোনো ইতিবাচক ফলাফল হয়নি তা আশ্চর্যেরকিছু নয় ।

    দুইঃ ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের নেতারা খুবই চিন্তিত আছেন । ওলমার্ট দু দিকের চাপের মোকাবিলাকরছেন । এক দিকে ক্ষমতাসীন ইউনিয়নের " ইসরাইল বেইতেইনু" ভয় দেখিয়ে বলেছে , ইসরাইল ও ফিলিস্তিন যদি প্রধান সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে তাহলে তারা যৌথ সরকার থেকে বের হয়ে যাবে । অন্য দিকে ২০০৬ সালে ইসরাইল ও লেবাননী হেজবুল্লাহের মধ্যেকার সংঘর্ষ তদন্ত বিষয়ক বিশেষ কমিটি ৩০ জানুয়ারী চূড়ান্ত রিপোর্ট পেশ করবে । এই সব বিষয় সরাসরি ওলমার্ট সরকারের অস্তিত্বের ওপর প্রভাব ফেলবে । গাজা অঞ্চলের ওপর আব্বাসের নিয়ন্ত্রণ এখনো দুর্বল । বিরোধী দলগুলোর অনুষ্ঠেয় সম্মেলন এই পরিস্থিতির এক পরিচায়ক । সম্প্রতি সিরিয়া ফিলিস্তিনের হামাস , জিহাদ এবং ফিলিস্তিনের গণ মুক্তি ফ্রন্টসহ কিছু দলকে এ মাসের শেষ দিকে দামাস্কাসে ফিলিস্তিনের অভ্যন্তরীন রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে এবং ফিলিস্তিন মুক্তি আন্দোলনের রদবদলের ব্যাপারে অনুমোদন করেছে । আব্বাস সরকারের কিছু উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ভয় যে , হামাসসহ বিরোধী দলগুলো সম্মেলনের মাধ্যমে ফিলিস্তিন মুক্তি আন্দোলনের মতো একটি সংস্থা এবং তার সমর্থনে বর্তমানের অন্তর্বর্তিকালিন সরকারের বদলে একটি নতুন নেতৃত্ব গ্রুপ গড়ে তোলার অপচেষ্টা করবে । যাতে আব্বাস ও ফিলিস্তিন মুক্তি আন্দোলনের নেতৃত্বের অবস্থানগত পরিবর্তন হয় ।

    যার ফলে যুক্তরাষ্ট্রের চাপে ফিলিস্তিন-ইসরাইল সমস্যা সম্পর্কিত বৈঠক শুরু হলেও এতে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হতে পারবে না বলে মনে করা হচ্ছে। --চুং শাওলি