v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-01-15 18:43:15    
মনমোহন সিংয়ের চীন সফর

cri

     ১৪ জানুয়ারী বিকালে পেইচিংএ চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়া পাও ও চীন সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। দু'পক্ষের মধ্যে নতুন পরিস্থিতিতে দু'দেশের কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বের সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত করার ব্যাপারে মতৈক্য হয়েছে। দুই প্রধানমন্ত্রী এক মত হয়েছেন যে, দু'দেশের কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বের সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে দু'দেশ স্থায়ী শান্তি ও সমৃদ্ধ সুষম বিশ্ব গড়ে তুলতে চেষ্টা করবে। এখন চীন আন্তর্জাতিক বেতারের নিজস্ব সংবাদদাতার লেখা একটি রিপোট শুনবেন। চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়া পাওয়ের আমন্ত্রণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ১৩ জানুয়ারী থেকে তাঁর তিন দিনের চীন সফর শুরু করেন। পাঁচ বছরের মধ্যে এটা হল ভারতের কোন প্রধানমন্ত্রীর প্রথম চীন সফর। ২০০৮ সালে চীন সফরকারী প্রথম বিদেশী নেতা হলেন মনমোহন সিং। ১৪ জানুয়ারী বিকালে পেইচিংএর মহা গণ ভবনে মনমোহন সিংয়ের সম্মানে প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়া পাও একটি আড়ম্বরপূর্ণ অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। মনমোহন সিংয়ের এবারকার চীন সফর হল তাঁর ২০০৮ সালে প্রথম বিদেশ সফর। এর আগে বিশেষজ্ঞরা বলেন, এতে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, মনমোহন সিং ভারত-চীন সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন।

    চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়া পাওয়ের সঙ্গে বৈঠকেও এই বিশেষজ্ঞ মতামতের প্রতিফলন ঘটেছে। বৈঠকে মনমোহন সিং বলেন, আমরা চীনের সঙ্গে পারস্পরিক কল্যাণমূলক সহোযগিতার সম্পর্কের ওপর অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে আসছি। আমাদের শীর্ষ নেতাদের নিয়মিত সফর বিনিময় দু'দেশের সম্পর্কের বিকাশ ব্যাপকভাবে তরান্বিত করেছে। এসব বিনিময় সফর বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছেও আমরা দু'দেশের মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতা ও আস্থার সম্পর্ক জোরদার করার দৃঢ় সংকল্পের কথা তুলে ধরেছে।

     মনমোহন সিং বলেন, চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করা হচ্ছে ভারতের মৌলিক নীতি। দু'দেশের সম্মিলিতভাবে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে ঘোষণা করা উচিত , ভারত ও চীন শুধু যে প্রতিবেশী ও বন্ধু তা নয় সহযোগিতার অংশীদারও। প্রায় দুই ঘন্টার এই বৈঠকে দু'পক্ষের মধ্যে অভিন্ন স্বার্থ ও আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে গভীরভাবে মত বিনিময় হয়েছে। বৈঠকের পর চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়া পাও দেশী-বিদেশী সাংবাদিকদেরকে বৈঠক সম্পর্কে ব্যাখ্যা করে বলেন, আমরা মনে করি, চীন ও ভারত সহযোগিতার অংশীদার, প্রতিদ্বন্দ্বী নয়। দু'দেশের উচিত পরস্পরকে সম্মান দেওয়া, পরস্পরের ওপর আস্থা রাখা। দু'দেশের সার্বিক শক্তির দ্রুত উন্নতি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গভীরভাবে বিকশিত করার জন্য সুযোগ এনে দিয়েছে।

চীন ও ভারত পারষ্পারিক সহযোগিতা জোরদার করলে এশিয়া তথা বিশ্ব শান্তি ও উন্নয়নের জন্য কল্যাণকর। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বের দুটো বৃহত্তম উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে চীন ও ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের দ্রুত উন্নতি হয়েছে। পরিসংখ্যাণ অনুযায়ী, ২০০৭ সালে দু'দেশের বাণিজ্য পরিমাণ প্রায় ৩৮.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিল, যা ১৯৯৫ সালের ৩৩ গুণ।

মনমোহন সিং তথ্য উপাত্ত তুলে ধরে ভারতের ইতিবাচক অবস্থান ব্যক্ত করেছেন, তিনি বলেন, আমরা পুরোপুরি উপলদ্ধি করেছি , একটি শক্তিশালী ও বহুমুখী পারস্পরিক কল্যাণ ও আর্থ-বাণিজ্যিক সম্পর্কের ভিত্তির ওপর আমাদের কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বের সম্পর্ক স্থাপন করা উচিত। আমরা সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, ২০১০ সালে দু'দেশের বাণিজ্য পরিমাণ ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলা থেকে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে বাড়ানো।

      দু'দেশের মধ্যে " একবাংশ শতাব্দীতে চীন ও ভারতের অভিন্ন পূর্বাভাস" শিরোনামে একটি স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই দলিল প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়া পাও বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিষয়ে সহযোগিতা জোরদার করতে রাজি হয়েছি। এই স্মারকে গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিষয়ে দু'দেশের মতৈক্য ব্যক্ত করা হয়েছে। এটি দু'দেশের সম্পর্কের উন্নতির দিকনির্দেশনায় পরিণত হবে। এতক্ষণ আজকের প্রতিবেদন শুনলেন। শোনার জন্য ধন্যবাদ।