v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-01-14 20:20:35    
চীন ও থাইল্যান্ডের সম্পর্ক আরো জোরদার করার জন্য চীনা ভাষার অনুবাদক হবোঃওয়াং ইউ পিং

cri
    ওয়াং ইউ পিং থাইল্যান্ডের ছিয়াংমাইয়ে জন্ম গ্রহণ করেন। ছোট বেলা থেকে তাঁর বাবা ও মা তাকে বলে আসছেন, চীনের দীর্ঘকালীন ইতিহাস এবং সংস্কৃতি রয়েছে। এর পাশাপাশি চীনে পর্যটনের অতুলনীয় সম্পদ রয়েছে। তাই ছোট বেলা থেকেই আমি চীনের প্রতি খুব আগ্রহী হয়ে উঠি। আমি আশা করেছিলাম যে, একদিন আমি চীনে লেখাপড়া করতে যাবো এবং চীনাদের সঙ্গে থাকতে পারবো। থাইল্যান্ডের ছিয়াংমাই বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন বছর চীনা ভাষা শেখার পর চীনের কুয়াং সি চুয়াং জাতি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন বিদেশী ছাত্রী হিসেবে আমি ভর্তি হই।

    চীনে লেখাপড়ার প্রথম বছরের প্রথমার্ধেই ওয়াং ইউ পিং কুয়াংসিয়ের বহু জায়গায় যান। তিনি বাইসে শহরের চিংসি জেলার সুন্দর নিসর্গ দেখার পাশাপাশি চুয়াং জাতির বিশেষ প্রথা ও সংস্কৃতিও জেনেছেন এবং চুয়াং জাতির অতিথিপরায়ন তা অনুভব করেছেন। আরো আনন্দদায়ক ব্যাপার হচ্ছে, তাঁর সঙ্গে স্থানীয় জনগণ চুয়াং জাতির ভাষা বলার সময় তিনি তা বুঝতে পারেন। চীনের সংখ্যালঘু জাতির ভাষাগুলোর মধ্যে এ জাতির ভাষা কিছুটা থাই ভাষার মত। তাঁর চুয়াং জাতির বন্ধুরা তাঁকে কয়েকটি রেশমী বল উপহার হিসেবে দিয়েছে। এ রকম বল কুয়াংসি চুয়াং জাতি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের পর্যটনের হস্তশিল্পজাত পণ্য এবং চুয়াং জাতির কল্যাণের প্রতীক। সুতরাং তিনি তা খুব পছন্দ করেন।

    সম্প্রতি চীনা বন্ধুদের আমন্ত্রণে তিনি তেথিয়ান জলপ্রপাত ও কুই লিনের নিসর্গ দেখতে যান। গত বছরের এপ্রিল মাসে তিনি অন্যান্য বিদেশী ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে পেইচিংয়ে গিয়ে সামার প্যালেস ,মহা প্রাচীর ও নিষিদ্ধনগরসহ বিভিন্ন সুবিখ্যাত ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শন করেন ও প্রাকৃতিক দৃশ্য বলী দেখেন। ভ্রমণের মাধ্যমে তিনি চীনের প্রশন্ত ও প্রগাঢ় সংস্কৃতিকে গভীরভাবে অনুভব করেছেন। তিনি আশা করেন, চীনে লেখাপড়ার সময় আরো বেশি স্থান ভ্রমণ করার সুযোগ পাবেন।

    ওয়াং ইউ পিং ক্লাসের বাইরে বন্ধুদের সঙ্গে সুপারমার্কেট ও পার্কে বেড়াতে যাওয়া খুব পছন্দ করেন। বিশেষ করে, সপ্তাহিক ছুটির সময় চীনা বন্ধুদের সঙ্গে নাননিং শহরের চুংশান রাস্তার নাইট মার্কিটে বেড়াতে তিনি পছন্দ করেন। কারণ এখানে বেশ কিছু সুস্বাদু খাবার খাওয়া যায়। বিশেষ করে, নাননিংয়ের বিশেষ বাবিকিউ। থাইল্যান্ডে বার্বিকিউর রকমারি খুব কম। তবে নাননিংয়ে অনেক রকম রয়েছে। যেমন ভুট্টা,বেগুন ও সীফুড ইত্যাদি। তবে ওয়াং ইউ পিং দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, থাইল্যান্ডে সকালে বার্বিকিউ পাওয়া যায় আর নাননিংয়ে শুধু সন্ধ্যায় বার্বিকিউ খাওয়া যায়।

    ওয়াং ইউ পিং মনে করে, চীনারা খুবই অতিথিপরায়ন। যদিও তিনি নাংনিংয়ে বেশি সময় আসেন নি, তবুও স্বল্প কালের মধ্যেই তিনি স্থানীয় জীবনে মিশে যাওয়ার পাশাপাশি অনেক চীনা বন্ধুও পেয়েছেন। ওয়াং ইউ পিং বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করতে আগ্রহী। থাইল্যান্ডেও তার বেশি চীনা ছাত্রছাত্রীর সঙ্গে পরিচিত থাকায় তাদের সঙ্গে তার গভীর মৈত্রী রয়েছে । এসব চীনা বন্ধু তাঁর চীনে লেখাপড়ার জীবনে অনেক সুবিধা দিয়েছে। তিনি বলেছেন, চীনের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা খুব বন্ধুত্ব প্রতীম। তারা সব সময় আমাদের সঙ্গে গল্প করেন এবং আমাদেরকে সাহায্য করেন। চীনা বন্ধুরা খুবই অতিথিপরায়ন, প্রায়শঃই আমি তাঁদের বাড়িতে সুস্বাদু খাবার খাই। আমি নিজের বাড়িতে থাকার মত বোধ করি। চীনে লেখাপড়ার সময়ে বিদেশী হিসেবে আমার কোনো অসুবিধা হয় নি। কারণ লেখাপড়া ও জীবনে চীনারা বিদেশী ছাত্রছাত্রীদেরকে বেশি সুবিধা দেয়। তাঁরা খুব ভালো।

    প্রথমদিকে ওয়াং ইউ পিং মনে করতো, চীনা ভাষা খুব কঠিন। বিশেষ করে মৌখিক ভাষা । তবে চীনা শিক্ষক ও বন্ধুদের সঙ্গে মেলামেশার মাধ্যমে আমি নিজের ভুল উচ্চারণ শুদ্ধ করতাম। এর পাশপাশি আমার পড়ার সামর্থ্যও বেড়েছে। বর্তমানে ওয়াং ইউ পিং জিনিস কেনার সময় অনায়াসে দামাদামি করতে পারেন। চীনা বন্ধুরাও তাঁর সুন্দর চীনা ভাষার প্রশংসা করেছে।

    ক্লাসের বাইরে ওয়াং ইউ পিং চীনা টিভি প্লেই সিরিজ দেখা খুব পছন্দ করেন। তিনি মনে করেন, এটি কেবল চীনা ভাষা শেখার ভালো পদ্ধতি তাই নয়, বরং তা থেকে তিনি চীনের সংস্কৃতিও আরো ভালোভাবে জেনেনেন এবং ভালভাবে চীনা ভাষা শিখতে পারেন। ওয়াং ইউ পিং বলেছেন, তাঁর একমাত্র ইচ্ছা হচ্ছে স্নাতক হবার পর একজন চীনা ভাষার অনুবাদকে পরিণত হওয়া। যাতে চীন ও থাইল্যান্ডের অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিনিময় ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে নিজের অবদান রাখা যায়।