v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-01-14 17:32:14    
ইরানের পরমাণু সমস্যা কোন দিকে মোড় নিচ্ছে?

cri
    ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সেদেশের পরমাণু শক্তি সংস্থার চেয়ারম্যান গোলাম রাজা আগাজাদেহ ১৩ জানুয়ারি তেহরানে বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে ইরান তার পরমাণু কর্মসূচীর ওপরে সন্দেহমূলক সকল প্রশ্নের উত্তর দেবে।

    আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার মহাসচিব মোহামেদ আলবারাদেইয়ের ইরান সফর শেষ হওয়ার পর আগাজাদেহ এই ঘোষণা দেন। বারাদেই ১১ ও ১২ জানুয়ারি ইরানে দু'দিনব্যাপী সফর করেছেন। ২০০৬ সালের এপ্রিল মাসের পর এটিই তাঁর প্রথম ইরান সফর। সফরকালে তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি এবং প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। সাক্ষাত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী একজন কূটনীতিক জানান, আলোচনা "ইতিবাচক, গঠনমূলক এবং সারগর্ভ"। ১৩ জানুয়ারি ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হোসেনি বলেন ইরান মার্চ মাসের আগে সকল সন্দেহমূলক প্রশ্নের উত্তর দেবে। একই দিন বারাদেই'র মুখপাত্র মেলিসা ফ্লেইমিং ঘোষণা করেন, ইরান ও আই.এ.ই.এ. গত বছরে স্বাক্ষরিত কার্যক্রম চার সপ্তাহের মধ্যে সম্পন্ন করার ব্যাপারে একমত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ইরান বারাদেইর কাছে নতুন উদ্ভাবিত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ সেন্ট্রিফিউজের তথ্য জানিয়েছে।

    ইরানের নতুন উদ্ভাবিত সেন্ট্রিফিউজ পি.টু-এর তথ্য আই.এ.ই.এ. জানতে খুব আগ্রহী। কারণ এই তথ্য পেলে বোঝা যাবে যে ইরানের পারমাণবিক গবেষণার মান কি পর্যায়ে পৌঁছেছে। কিন্তু পশ্চিমা কূটনীতিবিদরা আই.এ.ই.এ-র ঘোষণা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। তারা মনে করেন বারাদেই ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ তত্পরতা বন্ধ করতে পারবেন কিনা তা এখনো নিশ্চিত নয়। বিশ্লেষকরা মনে করেন অবিলম্বে ইরানের পরমাণু সমস্যার সমাধান করা অসম্ভব।

    প্রথমত, কয়েক বছর ধরে তদন্ত চালানোর পরও ইরানের পারমাণবিক তত্পরতার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটি আই.এ.ই.এ এখনো হাতে পায়নি। গত বছরের আগস্ট মাসে ইরান ২০০৭ সালের শেষ দিকে পরমাণু সমস্যা সংক্রান্ত তথ্য জানাতে এবং এ সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি হয়। কিন্তু এই প্রতিশ্রুতি তারা পূরণ করেনি।

    দ্বিতীয়ত, বারাদেইয়ের এবারের সফরের প্রধান লক্ষ্য হলো ইরান ও আই.এ.ই.এ-এর মধ্যে সহযোগিতা ত্বরান্বিত করা। কিন্তু ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ তত্পরতা বন্ধ করার দাবি স্পষ্টভাবে জানানো হয়নি। যা পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে অগ্রহণযোগ্য। কারণ ইউরেনিয়ামের বিষয়টি স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত সমস্যার সার্বিক সমাধান সম্ভব হবে না।

    তৃতীয়ত, বারাদেইয়ের এবারের সফরের ফলাফল সরাসরি মার্চ মাসে প্রকাশিতব্য ইরানের পরমাণু সমস্যা সংক্রান্ত রিপোর্টে অন্তর্ভূক্ত হবে এবং এ রিপোর্টের ভিত্তিতে ইরানের ওপরে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে কিনা সে সিদ্ধান্ত নেবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। ঠিক এমন একটি সময়ে ইরান বারাদেই'র কাছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে যার লক্ষ্য সম্ভবত বারাদেই'র মতামত পরিবর্তনের জন্য চেষ্টা করা।

    চতুর্থত, বারাদেইয়ের আগে দেয়া সকল রিপোর্টে ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র উন্নয়নের ব্যাপারে কোনো স্পষ্ট মতামত প্রকাশ করা হয় নি। এবার মাত্র দুই মাসের মধ্যে তাকে আরেকটি রিপোর্ট দিতে হবে। এই সময়ের মধ্যে আই.এ.ই.এ ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরীর চেষ্টা সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারবে কিনা সেটাও সন্দেহজনক। বারাদেইয়ের এবারের ইরান সফর সম্ভবত ইরানের আই.এ.ই.এ-র সঙ্গে সহযোগিতা চালানোর ব্যাপারে সহায়ক হবে, কিন্তু মাত্র চার সপ্তাহের মধ্যে ইরানের সব পরমাণু সমস্যার সমাধান করা যাবে কিনা তা বলা মুশকিল। (ইয়াং ওয়েই মিং)