জাপান প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম দিকে অবস্থিত। দেশটি চীন , উত্তর কোরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া এবং রাশিয়ার সঙ্গে সংলগ্ন। দেশটি হোক্কাইদোসহ চারটি বড় উপদ্বীপ এবং অন্যান্য ৬ হাজার ৮ শো'রও বেশি ছোট উপদ্বীপ নিয়ে গঠিত। সুতরাং , জাপানের একটি অন্যতম পরিচয় হচ্ছে " হাজার উপদ্বীপের দেশ"।
জাপানের স্থলভাগের আয়তন ৩.৮ লাখ বর্গকিলোমিটার। দেশটিতে বসন্ত,গ্রীষ্ম,শরত্ এবং শীত এই চারটি ঋতু রয়েছে। জাতীয় ফুল সাকুরা। বসন্তকালে সুন্দর সাকুরা ফুলে ছেয়ে যায় জাপান। পাহাড়ের সংখ্যাও সেখানে কম নয়। মোট আয়তনের ৭০ শতাংশ জুড়েই পাহাড়। এ জন্য জাপান একটি ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ। প্রতিবছর ১হাজার বারেরও বেশি ছোট ও বড় ধরণের ভূমিকম্প হয় জাপানে। যা বিশ্বে সর্বাধিক। বিশ্বের ১০শতাংশ ভূমিকম্প কেবল মাত্র জাপান ও তার কাছাকাছি অঞ্চলে হয়।
জাপানের প্রধান জাতি তা হে । সরকারী ভাষা জাপানী। অধিবাসীরা তাও ধর্ম এবং বৌদ্ধ ধর্মে বিশ্বাস করেন। রাজধানী টোকিও। এর লোকসংখ্যা ১.২৫৪ কোটি।
দেশটিতে খনিজ সম্পদের খুবই অভাব। কয়লা ছাড়া অধিকাংশ খনিজ সম্পদই আমদানি করতে হয়। এর মধ্যে প্রাকৃতিক গ্যাস এবং তেলের আমদানি ৯৬.৪ ও ৯৯.৭ শতাংশ। বনাঞ্চলের আয়তন মোট ২.৫২৬ কোটি হেকটর , যা সারা দেশের মোট আয়তনের ৬৬.৬শতাংশ দাঁড়ায়।
চীন হচ্ছে জাপানের অন্যতম প্রতিবেশী দেশ। ১৯৭২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর চীন জাপানের সঙ্গে " যৌথ প্রস্তাব" সাক্ষর করে। এ থেকে দু'দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে শুরু করে । ১৯৭৮ সালের ১২ আগস্ট দু'দেশের " চীন - জাপান মৈত্রী চুক্তিব" স্বাক্ষরিত হয়। ২০০৬ সালের ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর জাপানের প্রধানমন্ত্রী আবে শিনজো চীনে আনুষ্ঠানিক সফর করেন।২০০৭ সালের এপ্রিল মাসে চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়া পাও জাপানের রাষ্ট্রীয় সফর করেন। ২০০৭ সালের আগস্ট মাসের শেষ দিকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ছাও কাং ছুয়ান জাপান সফর করেন।
জাপান হচ্ছে চীনের তৃতীয় বাণিজ্য অংশীদার। চীন হচ্ছে জাপানের দ্বিতীয় বাণিজ্য অংশীদার। দু'দেশের বাণিজ্যের মোট মূল্য ২০৭.৩৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।--ওয়াং হাইমান
|