চীন হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল দেশ। চীনে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীর সংখ্যাও পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি। নিত্য নতুন সমস্যার ভেতর দিয়ে তাদের দিন কাটাতে হয়। অন্ধের সবচেয়ে ভালো সহায় হচ্ছে অন্ধ সহায়ক কুকুর। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের অন্ধ সহায়ক কুকুর প্রশিক্ষণের কাজ ধাপে ধাপে এগিয়ে হচ্ছে। ৭ জানুয়ারী বিজ্ঞান বিচিত্রা আসরে শুনুন এ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন।
২০০৭ সালে চীনাদের জীবন ও কাজকর্মে সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত শব্দটির নাম অলিম্পিক। ২০০৮ সালের পেইচিং অলিম্পিক গেমস যতই ঘনিয়ে আসছে ততই চীনাদের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে যাচ্ছে অলিম্পিকের বিভিন্ন উপাদান। কেউ অলিম্পিকের মশালধারী হতে চান। কেউবা পেইচিং অলিম্পিক গেমসের স্বেচ্ছাসেবক হতে চান। বিশ্বের কাছে একটি সেরা অলিম্পিক গেমস উপস্থাপনের জন্যে বহু সংখ্যক চীনা নিজ নিজ পদ্ধতিতে আসন্ন অলিম্পিককে সমর্থন দিচ্ছেন এবং নিজেদের সাধ্যমত অবদান রাখছেন। ৯ জানুয়ারী সমাজ দর্পণ আসরে শি চিং উ আসন্ন অলিম্পিক গেমস চীনাদের জীবনে কি কি পরিবর্তন বয়ে এনেছে সে সম্পর্কে কিছু বলবেন।
শাও শান হচ্ছে মধ্য চীনের হুনান প্রদেশের একটি জেলা পর্যায়ের নগর এবং চীনের প্রতিষ্ঠাতা মাও সে তুংয়ের জন্মস্থান। পরিবহনের অসুবিধা ও কম লোকসংখ্যাসহ নানা কারণে সেখানে স্থানীয় অর্থনীতির বিকাশ অপেক্ষাকৃত মন্থর ছিল। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শাও শান স্থানীয় বৈশিষ্ট্যকে কাজে লাগিয়ে কিভাবে অর্থনীতির উন্নয়ন করা যায় তা নিয়ে ব্যাপক অন্বেষণ করেছে। তারা পর্যটনের মাধ্যমে অর্থনীতি উন্নয়নের পথ বের করেছে। ১০ জানুয়ারী অর্থনীতি অগ্রযাত্রা আসরে শাও শানের লাল পর্যটন সম্পর্কে আপনাদের কিছু তথ্য দেয়া হবে।
পেইচিং শহরে হুতোং নামে অনেক গলি রয়েছে। এটা হচ্ছে পেইচিং শহরের একেবারেই নিজস্ব বৈশিষ্ট্য। পেইচিংয়ের তুংচেন অঞ্চলে নান রো গু নামে একটি গলি আছে। এর ইতিহাস ৭০০ বছরের বেশি। হাজার মিটার লম্বা গলিতে বার, কফি শপ, দোকান ও রেস্তঁরা ভরা। নাম করা শিল্পীরা প্রায় এখানে সমবেত হন। ফলে নান রো গু গলি এখন পেইচিংয়ের অন্যতম ফ্যাশনেবল রাস্তায় পরিণত হয়েছে। ১০ জানুয়ারী চলুন বেড়িয়ে আসি অনুষ্ঠানে খোং চিয়া চিয়া ও আবাম ছালাউদ্দিন আপনাদের নান রো গু গলিতে নিয়ে যাবেন। অনুষ্ঠানটি শুনতে ভুলবেনা না কিন্তু।
বন্ধুরা, তালিয়ান শহরে বড় হয়ে ওঠা এমন একজন মেয়ে আছেন চীনে। যিনি ইচ্ছা করে শহরের বিলাসী জীবন ছেড়ে গ্রামে এসে সাধারণ শিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন। কেউ কেউ তাকে বোকা বলেন। কিন্তু অধিকাংশ লোকের চোখে তিনি একজন মহত্ মানুষ। তার আচরণ সকলের কাছে শিক্ষণীয়। তিনি হলেন গ্রামীণ শিক্ষিকা সুই হোং মেই। ২০০৭ সালে তিনি "আশা প্রকল্পের শিক্ষক পুরস্কার" পেয়েছেন। ১১ জানুয়ারী চুং শাও লি "আমি সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ হয়েছি" শিরোনামে গ্রামীন শিক্ষিকা সুই হোংমেইয়ের কাহিনী পরিবেশন করবেন।
গত এক বছর চীনের পপ সংগীত মহল অভুতপূর্ব সমৃদ্ধি এসেছে। অনেক শিল্পী ভালো সাফল্য পেয়েছেন। ১২ জানুয়ারী সুরের ভুবন অনুষ্ঠানে আমি ২০০৭ সালে চীনের মূল ভূভাগের পপ সংগীত মহলের সুফল সারসংকলন করবো। আশা করি, আপনারা সময় মতো অনুষ্ঠানটি শুনবেন।
বন্ধুরা, তা ছাড়া প্রতি দিন আরো রয়েছে খবর এবং অন্যান্য নিয়মিত অনুষ্ঠান। সময় মত সি আর আই এর বাংলা অনুষ্ঠানগুলো শোনার জন্য আগে থেকেই আপনাদের সবাইকে সাদর আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখছি।
|