কেনিয়ার রেড ক্রস সোসাইটির একজন কর্মকর্তা ৩ জানুয়ারী বলেন, একটানা কয়েক দিন ধরে সংঘটিত সহিংসতায় এক লাখ লোক ঘরছাড়া হয়েছে এবং কমপক্ষে ১৭৭ জন নিহত হয়েছে।
কেনিয়ার প্রধান বিরোধী দল অরেঞ্জ ডেমোক্রাটিক মুভমেন্টের ৩ জানুয়ারী রাজধানী নাইরোবিতে সমবেত হয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলের প্রতিবাদ কর্মসূচী পালনের আবেদনে পুলিশ অনুমোদন দেয়নি। এরপরও তারা সমাবেশ করতে গেলে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারীর সঙ্গে নাইরোবির কয়েকটি স্থানে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতি ও নিরাপত্তা নীতি বিষয়ক উচ্চপদস্থ প্রতিনিধি ছাভিয়ার সোলানার মুখপাত্র ৩ জানুয়ারী বলেন, এদিন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কন্ডোলিত্সা রাইসের সঙ্গে টেলিফোনে সোলানা কেনিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। তাঁরা উভয়েই মনে করেন, ই ইউ এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান ভূমিকা হলো সংলাপ চালিয়ে এবং বল প্রয়োগ বন্ধ করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সরকার গঠনের জন্য কেনিয়ার বিভিন্ন পক্ষের প্রতি আহবান জানানো।
এদিন রাইস কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট মুয়াই কিবাকির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। তিনি শান্তিপূর্ণভাবে কেনিয়ার সশস্ত্র সংঘাত নিরসনের তাগিদ দিয়েছেন।
কেনিয়ায় চীনের দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পো বলেন, দূতাবাস কেনিয়ার পরিস্থিতির ওপর দৃষ্টি রাখছে। এ পর্যন্ত দাঙ্গা-হাঙ্গামায় প্রবাসী চীনা বা চীনাবংশোদ্ভূত কোনো কেনিয়ানের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায় নি। (লিলি)
|