v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-01-03 19:17:36    
চীনের সেনচেন শহরে পরিবেশ রক্ষা ব্যবস্থাজোরদার হচ্ছে

cri

     ২০০৭ সালে দক্ষিণ চীনের উপকূলীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল সেনচেন শহরে পরিবেশ রক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে । আরও কঠোরভাবে আইন কার্যকর , আরও কড়াকড়িভাবে যাচাই ও অনুমতি প্রদানএবং পরিদর্শন ও পরীক্ষা সহ ধারাবাহিক ব্যবস্থার মাধ্যমে সেনচেনের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রেরটেকসই উন্নয়ন তরান্বিত করা হচ্ছে ।

    প্রায় ৩০ বছর আগে চীন সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সেনচেনে সর্ব প্রথম উন্মুক্তকরণ নীতি চালু হয় । গত ৩০ বছরে সেনচেন একটি ছোট জেলে গ্রাম থেকে একটি আধুনিক শহর এবং চীনের সংস্কার ও উন্মুক্তকরণের জানালায় পরিণত হয়েছে । কিন্তু অর্থনীতির দ্রুতউন্নয়নের জন্য সেনচেনের পরিবেশেরও কিছুটা ক্ষতি হয়েছে । পরিবেশ ও অর্থনীতি উন্নয়নের সম্পর্কের বিষয়টি সেনচেন শহর সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে ।

    চীনের কমিউনিষ্ট পার্টির সেনচেন শাখা কমিটির সম্পাদক লি হোংচুং সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে বলেন , উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় দেখানো পরিবেশ সমস্যার সম্মুখে সেন চেন শহর কড়াকড়িভাবে পরিবেশ রক্ষার ব্যবস্থা জোরদার করবে । তিনি বলেন , আমরা মনে করি , পরিবেশ রক্ষার কাজ অত্যন্ত দুরুহ । কড়াকড়িভাবে পরিবেশ রক্ষা জোরদার করতে হবে । এক দিকে আইন কার্যকরকরতে হবে । অন্য দিকে যে প্রকল্প স্থগিত বা বাতিল করতে হয় দ্বিধাহীনভাবে সেই প্রকল্প স্থগিত বা বাতিল করতে হবে ।

    সেনচেন শহর কড়াকড়িভাবে যে পরিবেশ নীতিগুলো নিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে , পরিবেশ বিষয়ক কর্মকর্তাদের পরীক্ষা করা , যে শিল্পপ্রতিষ্ঠান আইন লংঘন করে দূষিত পদার্থ নিঃসারণ করে সেই সব শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ওপর কঠোর আর্থিক শাস্তি আরোপ করা এবং পরিবেশ রক্ষা ক্ষেত্রে আইন লংঘনকারী আচরণের জন্য শাস্তি প্রদান। এক পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে , ২০০৭ সালের জানুয়ারী থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত সময়ের মধ্যে যে সব শিল্পপ্রতিষ্ঠান আইন লংঘন করে দূষিত পদার্থনিঃসরণ করে সেনচেন শহর তাদের কাছ থেকে মোট ৪ কোটি২০ লাখ রেনমিনপির জরিমানা আদায় করেছে । ২০০৬ সালের অনুরূপ সময়ের তুলনায় এটা ৪০ শতাংশ বেশি ।

    সেনচেন শহরের তিনহাও পাঁচটি ধাতুজাত দ্রব্য তৈরী কারখানার নিঃসারণকৃত দুষিত পানি একটানা তিন মাস ধরে নির্ধারিত মানদন্ডের বাইরে থাকায় সংশ্লিষ্ট বিভাগ তার লাইসেন্স বাতিল করে এবং উত্পাদন বন্ধ করে কারখানাটির সংস্কার করার আদেশ দিয়েছে । বিগত কয়েক মাস আগে কারখানাটির ব্যবস্থাপক সিয়াও তিয়েনজুন জনসাধারণের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন এবং যততাড়াতাড়ি সম্ভব নিঃসরণ ব্যবস্থা সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন । নিজের কারখানা পরিবেশ দূষণ করায় সিয়াও তিয়েনজুনের এখনো দুঃখ হয় । এ সম্পর্কে তিনি বলেন ,আমাদের ভুল হল পানি দূষণ করা । যার ফলে পরিবেশ দূষিত হয় । আমাদের সত্যিই সংস্কার করা উচিত । শিল্পপ্রতিষ্ঠান যদি রাষ্ট্রের নীতিবিধি ও আইন অনুসরণ না করে তাহলে অবশেষে শিল্পপ্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হবেই ।

    যাতে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের নিঃসরিত দূষিত পানি রাষ্ট্রের নির্ধারিত মানদন্ডে পৌঁছতে পারে তার জন্য সিয়াও তিয়েনজুনের কারখানা দূষিত পানির পরিশোধন যন্ত্র কেনার জন্য ৫ লাখ রেনমিনপি বরাদ্দ করেছে । তিনি বলেন , এত কঠোর জরিমানার সামনে তিনি আর রাষ্ট্রের পরিবেশ ও আইন লংঘন করার দুঃসাহস দেকাবেন না ।

    শাস্তি ব্যবস্থা ছাড়াও সেনচেন শহর নিজের আওতায় মৌলিক পরিবেশ রেখা টেনে শহরের প্রায় অর্ধেক ভূমিকে পরিবেশ রক্ষার আওতাভূক্তকরেছে । এ নিয়ম অনুযায়ী যে কোনো নির্মাণ প্রকল্প এ সব ভূমিকে ব্যবহার করতে পারবে না ।

    জানা গেছে , পরিবেশ রক্ষা নীতি পালন করাকেও সেনচেন শহরের সরকারী কর্মকর্তাদের কর্মফল পরীক্ষা ব্যবস্থায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে । কার্যমেয়াদে যে কর্মকর্তা একটানা দুবছর ধরে পরিবেশ রক্ষার কাজ সম্পন্ন করতে পারেননি তাদেরকে পদোন্নতি দেয়া হবে না এবং কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজে লাগানো হবে না ।

    সেনচেন শহরের পরিবেশ রক্ষা বিষয়ক একজন কর্মকর্তা বলেন , কড়াকড়িভাবে পরিবেশ রক্ষার নীতি পালনের ফলে স্থানীয় অর্থবিনিয়োগ পরিবেশের গুণগতমান নিশ্চিত হয়েছে । সেনচেনের আর্থ-সামাজিক টেকসই উন্নয়নওতরান্বিত হয়েছে । ---চুং শাওলি