v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2008-01-02 20:08:08    
চীনে "শ্রম চুক্তি আইন" চালু

cri

    শ্রম চুক্তিস্বাক্ষর, তা কার্যকর এবং চুক্তি স্থগিত ও বাতিল করা সহ নানা বিষয় সম্পর্কে "শ্রম চুক্তি আইন"-এ বিস্তারিত ব্যাখ্যা করা হয়েছে । আইনটিতে স্পষ্টভাষায় চুক্তির মর্ম, "অনির্দিষ্ট শ্রম চুক্তি" স্বাক্ষরের শর্ত নির্ধারিত হয়েছে । আইনটিতে আরও নির্ধারিত হয়েছে যে , সাময়িক শ্রমজীবীদের নিম্নতম বেতন ঘন্টা স্থানীয় সরকারের নির্ধারিত মানদন্ডের চেয়ে কম হতে পারবে না । কর্মীদের সঙ্গে শ্রম চুক্তি স্বাক্ষর না করলে শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে বেতন হিসেবে দ্বিগুণ পরিমান ক্ষতিপূরণ করতে হবে । অন্যান্য কর্মীদের সঙ্গে বাইরে পাঠানো শ্রমিককে একই শ্রমে একই বেতন দিতে হবে । শ্রমিক সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমিয়ে দেয়ার কমপক্ষেএক মাস আগে সকল শ্রমিকঅথবা ট্রেডইউনিয়নকে জানাতে হবে এবং সকল শ্রমিকের মতামত গ্রহণ করে সরকারি বিভাগের অনুমতি পাবার পরই কেবল শ্রমিক সংখ্যা কমাতে পারবে । এ সম্পর্কে চীনের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রম সম্পর্ক গবেষণালয়ের প্রধান ছাং খাই বলেন , শ্রমজীবীদের বৈধ অধিকার ও স্বার্থরক্ষাকে লক্ষ্য হিসেবে শিল্পপ্রতিষ্ঠানে সুষম শ্রম সম্পর্ক গড়ে তোলা , শ্রমজীবী ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানের উভয়ের বিজয় ও উন্নয়ন বাস্তবায়ন করা আইনটির একটি লক্ষ্যণীয় বৈশিষ্ট্য । বলা যায় , চীনের সমাজ ও অর্থনীতি উন্নয়নের প্রধান সমস্যা সমাধানের জন্য আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছে । ২০০৫ সালের শেষ দিকে প্রণয়ন থেকে এ বছরের প্রথমদিকে কার্যকরকরা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে" শ্রম চুক্তি আইন" দেশ বিদেশের শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও শ্রমজীবিদের তীব্র বিতর্কের সম্মুখীন হয়েছে ।

    প্রণয়নের প্রক্রিয়ায় খসড়া আইনটি বিভিন্ন পক্ষের কাছ থেকে প্রায় ২ লাখ মতামত সংগ্রহ করেছে । চীনের আইন প্রণয়নের ইতিহাসে প্রথম সংবিধান প্রণয়ন কালে যে জনমত পেয়েছে তার পর হচ্ছে এ " শ্রম চুক্তি আইন"-এর স্থান । শহরে মজুরী করতে আসা কৃষক সহ চীনের বিভিন্ন ক্ষেত্রের শ্রমজীবী, চীনে বৈদেশিক পূঁজিবিনিয়োজিত শিল্পপ্রতিষ্ঠান এবং সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক সংস্থা সকলেই আইনটি সম্পর্কে নিজদের মতামত ব্যক্ত করেছে । এদের মধ্যে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা শ্রমজীবীদের অধিকার রক্ষার জন্যে চীনের আইন প্রণয়ন সংস্থাকে সমর্থন ও প্রশংশা করেছে । পক্ষান্তরে কিছু কিছু বিদেশী শিল্পপ্রতিষ্ঠান মনে করে , চীন যে শ্রম রক্ষার মানদন্ড বাড়িয়েছে তা চীনে তাদের মোটা মুনাফার পক্ষে সঙ্গতিপূর্ণহবে না বলে আইনটির বেশ কয়েকটি ধারার বিরুদ্ধে তারা তীব্র বিরোধিতা প্রকাশ করেছে । এ সম্পর্কে নিখিল চীনের জাতিয় ট্রেড ইউনিয়নের ভাইস চেয়ারম্যান সুন ছুনলান বলেছিলেন , শ্রমজীবীদের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষা করা , চীনে প্রবেশের মানদন্ড বাড়িয়ে দেয়া , শিল্পপ্রতিষ্ঠান কাঠামোর পুনর্গঠন তরান্বিত করা, প্রতিদ্বন্দ্বিতারশক্তিবিহীনএবং আইন পালন করে না এমন কিছু শিল্পপ্রতিষ্ঠান বাতিল করা শিল্প উত্পাদন বাড়ানো এবং সুষম শ্রম সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এ আইন হল প্রয়োজনীয় স্বীকৃতি ।

    চীনের কিছু ইউনিট আইন লংঘন করে শ্রমজীবীদের অধিকার ও স্বার্থের ক্ষতি করে বটে, তবে অধিকাংশ শিল্পপ্রতিষ্ঠান সক্রিয়ভাবে আইনটিতে সাড়া দিয়েছে । চীনের শিল্প ও বাণিজ্যিকব্যাংক এদের মধ্যে একটি । চীনের শিল্প ও বাণিজ্যিক ব্যাংকের উপমহাপরিচালক চাং ফুরোং কিছু দিন আগে চীনের সর্বোচ্চ ক্ষমতা সংস্থা -- জাতীয় গণ কংগ্রেসের স্থায়ী কমিটিকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে , আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে আইনে নির্ধারিত দায়িত্ব পালন করব । শ্রমিকদের স্বার্থ ও অধিকারের সঙ্গে জড়িত সমস্যাগুলোরসমাধান করব । সক্রিয়ভাবে অধিকার ও স্বার্থ রক্ষা ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠা তরান্বিত করব । নিয়মিত , ন্যায়সংগত এবং সুষম ও স্থিতিশীল চীনের বৈশিষ্টসম্পন্ন নতুন শ্রম সম্পর্ক গড়ে তুলব ।

    নতুন বছরের প্রথম দিনে " শ্রম চুক্তি আইন"-এর সঙ্গে " কর্মসংস্থান আইন"ও কার্যকর হয়েছে । এ আইনটিকে জনপ্রিয় করে তুলতে চীনের বিভিন্ন স্থানীয় সরকার ও ট্রেডইইনিয়ন তাদের কাজ শুরু করে দিয়েছে । ---চুং শাওলি