v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-12-31 21:03:39    
পরবর্তী অনুষ্ঠানমালা --- ২০০৭/১২/৩১

cri

    আগের মতো এই বছরও চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও চলতি বছরের শেষ দিন অর্থাত্ ৩১ ডিসেম্বর সকল শ্রোতা বন্ধুর উদ্দেশ্যে নববর্ষের শুভেচ্ছা বাণী দেবেন। আশা করি, আপনারা তা মনোযোগ দিয়ে শুনবেন এবং শোনার পর কোন মন্তব্য থাকলে আমাদের জানাবেন। তা ছাড়া একই দিনে বাংলাদেশে চীনা রাষ্ট্রদূত চাং ছিং ডিয়েন ও চীনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমেদের দেয়া সাক্ষাত্কার ভিত্তিক অনুষ্ঠানও প্রচারিত হবে।

    ১ জানুয়ারী মঙ্গোলবার। আমার সহকর্মী ইয়াং ওয়েই মিং বিশেষ করে ২০০৮ সালের প্রথম দিনে আপনাদের জন্য বিশেষ অনুষ্ঠান পরিবেশন করবেন। ত্রিশ মিনিটের অনুষ্ঠানে তিনি বিস্তারিতভাবে তুষার সম্পর্কে চীনের প্রথা ও রীতিনীতি জানাবেন। আপনাদের ভালো লাগবে বলে আমার বিশ্বাস।

    চীনের অর্থনীতি ও সমাজের দ্রুত উন্নতি এবং রোগ নিয়ন্ত্রণ ও পরিবেশ, স্বাস্থ্য এবং জনসাধারণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে চীন ধাপে ধাপে প্রৌঢ় সমাজে প্রবেশ করেছে। কেমন করে বৃদ্ধদের অধিকার ও স্বার্থ সংরক্ষণ করা যাবে এবং কি করে তাদের সুখী ও সুন্দর জীবন নিশ্চিত করা যাবে, তার ওপর চীন সরকারসহ সমাজের বিভিন্ন মহলের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে। গত কয়েক বছরে বৃদ্ধদের কল্যাণ নিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে চীন সরকার সহায়তার কাজ জোরদার করে চলেছে। ২ জানুয়ারী সমাজ দর্পণ আসর আপনাদেরকে মধ্য চীনের আন হুই প্রদেশে নিয়ে যাবে। সেখানে আপনারা এ প্রদেশের রাজধানী হো ফেইয়ের তা সুয় মহকুমা নগরের সুখী জীবন সম্পর্কে ধারণা পাবেন।

    তুং জাতি দক্ষিণ পশ্চিম চীনের কুইচৌ ও হুনান প্রদেশে বসবাস করে। এ জাতির বয়স এক হাজারেরও বেশি। ১৯৫৮ সালের পূর্ব পর্যন্ত তুং জাতির নিজের লিখিত ভাষা ছিল না। এ গানে তুং জাতির নিজের সংস্কৃতি ও ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। গানটির গায়িকা তুং জাতির মেয়ে উ হুই। ২ জানুয়ারী ওরা অনন্য অনুষ্ঠানে উ হুই ও তার গান পরিবেশন সম্পর্কে থান ইয়াও খাং আপনাদের কিছু বলবেন।

    শেননোংচিয়া হচ্ছে মধ্য চীনের হুপেই প্রদেশে অবস্থিত একটি প্রাচীন বন। এখানে মানুষ থাকে না। প্রাকৃতিক পরিবেশ অত্যন্ত ভালোভাবে সংরক্ষিত রয়েছে। এখানে হচ্ছে চীনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্য পশুপাখি ও উদ্ভিদ ভাণ্ডার। শেননোংচিয়া এলাকার বন্য পশুপাখি ও উদ্ভিদের সংখ্যা অনেক বেশি। ৩০০০ বর্গকিলোমিটার আওতার মধ্যে নানা ধরনের পশু ও উদ্ভিদের সংখ্যা ৪৭০০টিরও বেশি এবং জাতীয় পর্যায়ের প্রাণী রয়েছে ৬০টিরও বেশি। বন্ধুরা, ৩ জানুয়ারী চলুন বেড়িয়ে আসি আসরে ছাও ইয়ান হুয়া ও আ. বাম ছালাউদ্দিনের সঙ্গে শেননোংচিয়ার সুন্দর দৃশ্য দেখার সুযোগ হারাবেন না কিন্তু।

    নুচিয়াং জেলা দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের সীমান্ত এলাকার একটি সুন্দর তবে দরিদ্রতম জায়গা। ভৌগরিক অবস্থার কারণে সেখানকার যাতায়াতের ব্যবস্থা অত্যন্ত পশ্চাতপদ। সেখান থেকে কোথাও যেতে হলে খুব অসুবিধা হয়। লোহার চেইন দিয়ে তৈরী চেন সেতু তাদের একমাত্র যাতায়াতের ব্যবস্থা। সেখানকার ছাত্রছাত্রী ছোট বেলা থেকেই লোহার চেইন দিয়ে তৈরী চেইন সেতুর মাধ্যমে স্কুলে আসা যাওয়া করে। কিন্তু এটা একটা বিপদজনক পথ। কিন্তু সেখানকার ছাত্র-ছাত্রীরা চেইনসেতু ও পাহাড়ী পথ অতিক্রম করে লেখাপড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের চেষ্টা করে। সম্প্রতি নানচিং শহরের ছাত্রী স্যুং চিয়ে ও নুচিয়াং জেলার ছাত্রী ইয়ু লি ফাং এর মৈত্রীর জন্য নানচিংয়ের শহরবাসীরা ১৪ লাখ ইউয়ান চাঁদা দিয়েছেন। তা দিয়ে নুচিয়াং নদীতে চারটি সেতু নির্মান করা যায়। ভালোবাসার সেতু সত্যি সত্যি নুচিয়াং নদীর দু'পারের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত করে দিয়েছে। ৪ জানুয়ারী কন্যা জায়া জননী আসরে চুং শাও লি এই কাহিনী আপনাদের শোনাবেন।

    বন্ধুরা, তা ছাড়া প্রতি দিন আরো রয়েছে খবর এবং অন্যান্য নিয়মিত অনুষ্ঠান। সময় মত সি আর আই এর বাংলা অনুষ্ঠানগুলো শোনার জন্য আগে থেকেই আপনাদের সবাইকে সাদর আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখছি। (ইয়ু কুয়াং ইউয়ে)