v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-12-27 17:05:37    
পাক ও আফগানিস্তান সন্ত্রাসদমন ক্ষেত্রের সহযোগিতা জোরদার করবে

cri
    পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশাররফ ২৬ ডিসেম্বর সফররত আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে বলেছেন, দু'দেশ সহযোগিতা জোরদার করবে এবং অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়গুলোর সমন্বয় করবে।

    বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে মুশাররফ বলেছেন, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের জনগণ চরমপন্থী ও সন্ত্রাসীদের শিকার হচ্ছে। কয়েক বছর হলো পাকিস্তান থেকে আফগানিস্তানে সন্ত্রাসীদের প্রবেশ অনেক কমে গেছে। তবে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী অভিযান বেশি হচ্ছে। দু'দেশ তথ্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করতে রাজি হয়েছে। এর ফলে সন্ত্রাসদমন ফলপ্রসু করা সম্ভব হবে।

    কারজাই বলেছেন, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান যমজ ভাইয়ের মত। দু'দেশের সম্পর্ক খুব ঘনিষ্ঠ। তিনি মুশাররফের সঙ্গে বৈঠকে দু'দেশের অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পরামর্শ করেছেন এবং সংশ্লিষ্ট সমস্যাগুলোর সমাধান সম্পর্কে সমঝোতা করেছেন।

    পাকিস্তান ও আফগানিস্তান হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসদমনের গুরুত্বপূর্ণ দুটি মিত্র দেশ। দেশ দুটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সন্ত্রাসীদের ওপর আঘাত হানার জন্য অনেক বেশি আর্থিক বরাদ্দ পেয়ে আসছে। তবে চলতি বছর দু'দেশের সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান স্পষ্টতই বেশি ছিল। ছয় বছরের মধ্যে ২০০৭ সালে আফগানিস্তানের সন্ত্রাসী সংঘর্ষ সবচেয়ে বেশি হয়েছে। ১৫ অক্টোবর জাতিসংঘ মহাসচিবের আফগানিস্তান বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি টম কোনিগস নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপিত এক রিপোর্টে বলেছেন, চলতি বছর আফগানিস্তানে হামলার সংখ্যা গত বছরের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি হয়েছে। এপি থেকে জানা গেছে, চলতি বছরে বিভিন্ন হামলা ও সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা ছয় হাজারেরও বেশি। এর পাশাপাশি চলতি বছর পাকিস্তানে সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানে প্রায় আট শোজন নিহত হয়েছে। সম্প্রতি ২১ ডিসেম্বর পাকিস্তানে ঈদ-উল আজহার সময় পাকিস্তানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের একটি মসজিদে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ৫৫জন নিহত এবং কয়েক শোজন আহত হয়।

    দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে সন্ত্রাসী অভিযান সংক্রান্ত বিবাদ অব্যাহতভাবে চলছে। আফগানিস্তানের কিছু কর্মকর্তা মনে করেন, তালিবান সশস্ত্র যোদ্ধারা পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। তারপর পাকিস্তান থেকে আফগানিস্তানে এসে আফগানিস্তান সেনাবাহিনী ও আফগানিস্তানে মোতায়েন বিদেশী বাহিনীর ওপর আঘাত হানে। তবে পাকিস্তান মনে করে, আফগানিস্তান সেনাবাহিনী ও আফগানিস্তান মোতায়েন বিদেশী বাহিনী সীমান্ত এলাকার বেআইনী সশস্ত্র ব্যক্তিদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। যার ফলে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। তবে একই ধরণের সন্ত্রাসী হামলার কারণে দু'দেশ ভালোভাবেই জানে যে , দু'দেশেরই সহযোগিতার মাধ্যমে সন্ত্রাসদমন করা প্রয়োজন।

    ২১ ডিসেম্বর পাকিস্তানের একটি মসজিদে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার পর ২২ ডিসেম্বর আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে নিন্দা করে বলেছে যে, পাকিস্তানে বোমা বিস্ফোরণে আফগানিস্তান সহানুভূতিশীল। আফগানিস্তান আশা করে, দু'দেশ সন্ত্রাসীদের ওপর যৌথভাবে আঘাত হানবে।

    চলতি বছর দু'দেশের সীমান্ত এলাকায় একের পর এক সন্ত্রাসী হামলা ঘনিষ্ঠ ঘটেছে। দু'পক্ষের সন্ত্রাসী ও চরমপন্থীদের দমনের ব্যাপারে সহযোগিতা জোরদার করার সিদ্ধান্ত খুবই সুবুদ্ধিসম্পন্ন।