v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-12-27 16:18:47    
মধ্য-প্রাচ্য সমস্যা সংক্রান্ত বহু পাক্ষিক বৈঠক

cri
মধ্য-প্রাচ্য সমস্যা সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সম্মেলন ২৭ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের অ্যানাপলিসে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। ২০০০ সালের অক্টোবর শারম আল শেইখ মধ্য-প্রাচ্য সমস্যা সংক্রান্ত বহু পাক্ষিক শীর্ষ সম্মেলন থেকে শুরু করে প্রথম মধ্য-প্রাচ্য শান্তি বৈঠক এমনকি ১৯৯১ সালে মাদ্রিদে অনুষ্ঠিত শান্তি বৈঠকের চেয়েও এবারের সম্মেলনটি ছিল বৃহত্তর।

মধ্য-প্রাচ্য সমস্যা সংক্রান্ত বহু পাক্ষিক বৈঠকে অংশগ্রহণকারী পক্ষগুলো হচ্ছে আরব-ইসরাইল সংঘাতের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন পক্ষ, মধ্য-প্রাচ্যের অন্যান্য দেশ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও ইইউ । এর লক্ষ্য হচ্ছে আরো বড় পরিসরে মধ্য-প্রাচ্যের আঞ্চলিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা, যাতে আরব দেশগুলো ও ইসরাইলের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক শান্তিপূর্ণ বৈঠকের জন্য ক্ষেত্র প্রস্তুত করা যায়।

১৯৯২ সালের জানুয়ারি মাসে মধ্য-প্রাচ্য সমস্যা সংক্রান্ত প্রথম বহু পাক্ষিক বৈঠক মস্কোয় অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা, পানিসম্পদের ব্যবহার, শরণার্থী পুনর্বাসন, অর্থনৈতিক সহযোগিতা, পরিবেশ সংরক্ষণ এই ৫টি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক সমস্যা নিয়ে ৫টি গ্রুপ গঠন করে কখন, কোথায় এবং কিভাবে এ সব সমস্যা নিয়ে বহু পাক্ষিক বৈঠক আয়োজিত সে সম্পর্কে আলোচনা হয়।

এরপর মধ্য-প্রাচ্য সমস্যা সংক্রান্ত বহু পাক্ষিক বৈঠকের প্যানেল অধিবেশন বিভিন্ন এলাকায় বহু বার আয়োজিত হয়েছে। ১৯৯৬ সাল থেকে ফিলিস্তিন-ইসরাইল এবং সিরিয়া-ইসরাইল শান্তি বৈঠক বন্ধ হয়ে যায়, ফলে বহু পাক্ষিক বৈঠকও তখন থেকেই বন্ধ থাকে।

২০০০ সালের ফেব্রুয়ারীতে, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে মধ্য-প্রাচ্য সমস্যা সংক্রান্ত বহু পাক্ষিক বৈঠকের মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন মস্কোয় পুনরায় অনুষ্ঠিত হয়।

২০০০ সালের সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিকে ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের মধ্যে ব্যাপক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ থামানোর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যস্থতায় একই বছরের অক্টোবরে মধ্য-প্রাচ্য সমস্যা সংক্রান্ত বহু পাক্ষিক বৈঠকের শীর্ষ সম্মেলন মিসরের শারম আল শেইখে অনুষ্ঠিত হয়।

শারম আল শেইখ বহু পাক্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে নিরাপদে শান্তি প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু করা এবং ফিলিস্তিন-ইসরাইল সংঘর্ষের কারণ তদন্তে আন্তর্জাতিক তদন্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে চুক্তি হয়। তদন্ত কমিশন গঠন ছাড়া, চুক্তির অন্য কোনো অংশ আজ অবধি বাস্তবায়িত হয় নি। এরপরে, যদিও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় অনেক বার আহ্বান জানিয়েছে, তারপরও মধ্য-প্রাচ্য সমস্যা সংক্রান্ত বহুপাক্ষিক বৈঠক আর অনুষ্ঠিত হয় নি। (খোং চিয়া চিয়া)