v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-12-26 16:37:44    
জাপান ও চীনের সম্পর্ক নতুন পর্যায়ে উন্নীত হবেঃ ফুকুদা ইয়াসুও

cri

    চীন সফরের প্রাক্কালে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুকুদা ইয়াসুও ২৫ ডিসেম্বর রাতে প্রধানমন্ত্রী ভবনে চীনের তথ্য মাধ্যমগুলোকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাত্কারে জাপান ও চীনের সম্পর্কোন্নয়ন আরো ত্বরান্বিত করার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তিনি চাইছেন, আগামী বছর জাপান-চীন সম্পর্ক দ্রুত উন্নয়নের এক বছর পূর্ণ হোক।

    ফুকুদা ইয়াসুও বলেন, জাপান-চীন কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার ৩৫তম বার্ষিকীর মতো স্মরনীয় বছরে তিনি চীন সফর করবেন বলে আনন্দিত। চীন সফরকালে তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও, প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়া পাওসহ চীনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাত্ করবেন। তাঁরা দু'দেশের পারস্পরিক কল্যাণমূলক কৌশলগত সম্পর্কের অর্থ এবং দু'পক্ষের সহযোগিতার মাধ্যমে দুটি দেশ তথা গোটা অঞ্চলের জন্য অবদান রাখার বিষয় নিয়ে সুনির্দিষ্টভাবে আলোচনা করবেন।

    ফুকুদা ইয়াসুও বলেন, এখন প্রতি বছর জাপান ও চীনের মধ্যে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ আসা-যাওয়া করে। বিনিময় সম্প্রসারণ ও পারস্পরিক সমঝোতা বাড়ানো দু'দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সুসংহত করার জন্য সহায়ক। তিনি আরো বলেন, জাপান ও চীনের সুষঠু সম্পর্ক কেবল দু'দেশের জন্য হিতকর তা নয়, বরং এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্যও খুব গুরুত্বপূর্ণ। জাপান ও চীনের জনগণ এই অঞ্চলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছে, ফলে আমাদের উচিত এই দায়িত্ব আরো ভালোভাবে পালনের জন্য যৌথভাবে চেষ্টা করা। জাপান পারস্পরিক সমঝোতা ও আস্থার ভিত্তিতে জাপান ও চীনের ভবিষ্যত মুখী সম্পর্ক স্থাপন করতে ইচ্ছুক।

    ফুকুদা আরো বলেন, জাপান লাজুক দৃষ্টিতে ইতিহাসের দিকে চোখ রেখে অভ্যাহতভাবে শান্তির পথে এগিয়ে যাবে এবং এর ভিত্তিতে ভবিষ্যতমুখী জাপান-চীন সম্পর্কের উন্নয়ন করবে, বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিভিন্ন পর্যায়ের সংলাপ ও বিনিময় ত্বরান্বিত করবে, বিশেষ করে কিশোর-কিশোরীদের বিনিময় জোরদার করবে। জাপান সরকার দু'দেশের সমঝোতা ও আস্থা বাড়ানোর জন্য আরো চেষ্টা চালিয়ে যাবে। তিনি বলেন, চলতি বছর হচ্ছে "জাপান ও চীনের সংস্কৃতি ও ক্রীড়া বিনিময় বর্ষ"। সেপ্টেম্বর মাসে পেইচিংয়ে 'চীন ও জাপানের লোক সাংস্কৃতিক উত্সব'সহ ধারাবাহিক অনুষ্ঠান হয়েছে। আগামী বছর হবে 'জাপান ও চীনের শান্তিপূর্ণ মৈত্রী চুক্তি' স্বাক্ষরের ৩০তম বার্ষিকী। দু'দেশ একমত হয়ে আগামী বছরকে 'জাপান ও চীনের কিশোর-কিশোরীদের বন্ধুত্বপূর্ণ বিনিময় বর্ষ' হিসেবে ঘোষণা করেছে। তিনি আশা করেন, আগামী বছর জাপান-চীন সম্পর্কের দ্রুত উন্নয়নের এক বছর পূর্তি হবে।

    জাপান ও চীনের পারস্পরিক কল্যাণমূলক কৌশলগত সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা প্রসঙ্গে ফুকুদা বলেন, গত বছরের অক্টোবরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী আবে সিনজোর চীন সফর ও এ বছরের এপ্রিল মাসে চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়া পাওয়ের জাপান সফরের মাধ্যমে দু'দেশের সম্পর্ক সুষ্ঠুভাবে বিকশিত হচ্ছে। পারস্পরিক কল্যাণমূলক কৌশলগত সম্পর্কের অর্থ আরো সুনির্দিষ্ট করার জন্য দু'দেশের নেতারা সফর বিনিময় অব্যাহত রাখবেন এবং পারস্পরিক আস্থার সম্পর্ক স্থাপন করবেন। তিনি চীনের নেতাদের সঙ্গে জাপান ও চীনের সম্পর্কের ভবিষ্যত সম্ভাবনা, পূর্ব সাগরের সম্পদের উন্নয়ন, উত্তর কোরিয়া সমস্যা ও জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। ফুকুদা বলেন, চীনের অর্থনৈতিক উন্নযন জাপান ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্যে একটি ভালো সুযোগ এবং জাপানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। জাপান ও চীনের পরিপূরক সম্পর্ক দিন দিন গভীর হচ্ছে। এখন চীন হচ্ছে জাপানের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার। জাপান চীনে সর্বোচ্চ পুঁজি বিনিয়োগকারী দেশ। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দু'দেশের বিনিময় ও সহযোগিতা আরো জোরদার করা দু'দেশের অর্থনীতির সুষ্ঠু উন্নয়ন এবং এশিয়া ও বিশ্বের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।

    দু'দেশের পরিবেশ সংরক্ষণ ও জ্বালানি ক্ষেত্রের সহযোগিতা প্রসঙ্গে ফুকুদা বলেন, পরিবেশ ও জ্বালানি হচ্ছে জাপান ও চীনের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতার ক্ষেত্র। জ্বালানি সম্পদের সাশ্রয় ও পরিবেশ উন্নয়নের ক্ষেত্রে জাপান নিজের প্রযুক্তি, জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সরকারী ও বেসরকারী নানা পর্যায়ের সহযোগিতা করবে। যেমন তাপ-বিদ্যুত্ কেন্দ্রের কার্যকারিতা, পানি দূষণ প্রতিরোধ ও আবর্তনশীল অর্থনীতি উন্নয়নকে সমর্থন করা ইত্যাদি।

    তিনি বলেন, চীন সফরকালে তিনি থিয়েনচিন ও কনফুসিয়াসের জন্মস্থান ছুফু সফর করবেন। (ইয়ু কুয়াং ইউয়ে)