v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-12-24 17:46:29    
ভারত চীনের সঙ্গে সম্পর্ককে গুরুত্ব দিয়ে দেখেঃ প্রতিভা পাতিল

cri

**ভারত চীনের সঙ্গে সম্পর্ককে গুরুত্ব দিয়ে দেখেঃ প্রতিভা পাতিল

    ১৮ ডিসেম্বর ভারতের প্রেসিডেন্ট প্রতিভা পাতিল বলেন, ভারত চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নকে গুরুত্ব দিয়ে দেখে এবং আশা করে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে দু'দেশের সহযোগিতা আরো জোরদার হবে ।

    ভারতে চীনের নতুন রাষ্ট্রদূত চাং ইয়ানের পরিচয়পত্র গ্রহণ করার সময় প্রতিভা পাতিল এ কথা বলেন।

    চাং ইয়ান প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও'র পক্ষ থেকে প্রতিভা পাতিলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান এবং দেশের উন্নয়নের পথে ভারতের সাফল্যের প্রশংসা করেন। চাং ইয়ান বলেন, তিনি চীন ও ভারতের জনগণের পারস্পরিক সমঝোতা ও মৈত্রীর উন্নয়নে চেষ্টা চালাবেন, আদান-প্রদান ও সহযোগিতা সম্প্রসারণ এবং দু'দেশের কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ককেএগিয়ে নেয়ার জন্য অবদান রাখবেন ।

**ভারতে চীনা শিল্পপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো পুঁজির ভবিষ্যত উজ্জ্বলঃ ভি. প্রকাশ

    সম্প্রতি শাংহাইয়ে ভারতের কাউন্সিলর জেনারেল ভি.প্রকাশ বলেন, আগামী ৫ বছরের মধ্যে ভারত সরকার অবকাঠামোগত পুঁজির ওপর জোর দেবে এবং বিদেশী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বাজার প্রবেশের কড়াকড়ি শিথিল করবে । তিনি আশা করেন, এতে আরও বেশি চীনা শিল্পপ্রতিষ্ঠান ভারতে পুঁজি বিনিয়োগ করবে ।

    শাংহাইয়ে অনুষ্ঠিত 'ভারত অবকাঠামো নির্মাণ পুঁজি বিনিয়োগ ফোরামে' ভি.প্রকাশ আরও বলেন, ভারতের অর্থনীতি উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে অবকাঠামো নির্মাণের চাহিদা অব্যাহতভাবে বাড়ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারত সরকার বেশ কিছু ব্যবস্থা নিয়ে ব্যক্তিগত কোম্পানি আর বিদেশী পুঁজির আরও বেশি অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পে অংশ নেয়ার অনুমোদন দিয়েছে । আগামী ৫ বছরে সড়ক, বন্দর, স্থাপত্য, রেলপথ, বিমানবন্দর এবং টেলি যোগাযোগসহ বিভিন্ন অবকাঠামো ক্ষেত্রে ভারতের ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পুঁজি বিনিয়োগ দরকার পড়বে ।

**পাকিস্তান-চীন সহযোগিতায় মুশাররফের প্রশংসা

    ১৮ ডিসেম্বর পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশাররফ ইসলামাবাদে চীনের প্রতিরক্ষা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিল্প কমিশনের উপ-মহাপরিচালক ছেন ছিউফা'র সঙ্গে সাক্ষাত্কালে প্রতিরক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পাকিস্তান ও চীনের সহযোগিতার উচ্চ মূল্যায়ন করেছেন এবং দীর্ঘকাল ধরে পাকিস্তানকে চীন সরকার ও চীনা জনগণের আন্তরিক সাহায্য ও সমর্থনের প্রশংসা করেছেন ।

    পারভেজ মুশাররফ বলেন, পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন আসন্ন। তবে পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতির যে কোনো পরিবর্তন বা যে রাজনৈতিক দলই ক্ষমতায় বসুক না কেন , চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের মৈত্রীর নীতি পরিবর্তিত হবে না ।চীনের প্রতি পাকিস্তানী জনগণের ভালোবাসার অনুভূতি বদলাবে না এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে দু'দেশের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে । পাকিস্তান বাস্তব ব্যবস্থা নিয়ে সেখানে বসবাসরত চীনাদের নিরাপত্তাও সুরক্ষা করবে ।

    ছেন ছিউফা দু'দেশের সর্বকালের মৈত্রী ও সার্বিক সহযোগিতার মূল্যায়ন করে চীনের প্রতি পাকিস্তানের বন্ধুত্বপূর্ণ নীতির প্রশংসা করেন । তিনি জোর দিয়ে বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়া হবে চীন সরকারের ধারাবাহিক নীতি ।

**চীনের তিব্বত সাংস্কৃতিক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাত

    ১৯ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী ভবনে নেপালের প্রধানমন্ত্রী গিরিজা প্রসাদ কৈরালা " চীনের তিব্বত সাংস্কৃতিক--কাঠমান্ডু ফোরামে" অংশগ্রহণ করতে আসা চীনের কমিউনিষ্ট পার্টির যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী সিতা এবং তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের ভাইস চেয়ারম্যান পাসাং দন্দ্রু পের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। দুপক্ষ চীন-নেপাল সম্পর্ক এবং অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সমস্যা নিয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে মত বিনিময় করেছে ।

      কৈরালা বলেন , নেপাল সরকার দৃঢ়তার সঙ্গে এক চীন নীতি অনুসরণ করবে এবং কোনো মতেই কোনো শক্তিকে চীনের বিরোধিতা করার জন্য নেপালের ভূভাগ ব্যবহারের অনুমোদন দেবে না। তিনি আরও বলেন , জনগণের মধ্যেকার মৈত্রী দুদেশের সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়ক হবে । সাংস্কৃতিক বিনিময় জনগণের বিনিময়ের    একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তিনি আন্তরিকভাবে এবারের ফোরামের সফলতা কামনা করেন এবং বিশ্বাস করেন , এই ফোরাম দুদেশের জনগণের মৈত্রীকে জোরদার করবে।

     কৈরালা চীন-নেপাল সম্পর্কের যে মূল্যায়ন করেছেন সিতা তার সঙ্গে এক মত পোষণ করেন। তিনি বলেন, সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা এবং ভূভাগের অখন্ডতা রক্ষা এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা বাস্তবায়নের জন্য নেপাল সরকার ও জনগণ যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চীনা জনগণ দৃঢ়ভাবে তা সমর্থন করবে।

**আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার সঙ্গে ভারতের আলোচনা সুষ্ঠুভাবে চলছে

    ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারী পরমাণু শক্তি সংক্রান্ত সহযোগিতা চুক্তি নিয়ে ভারত আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার সঙ্গে সুষ্ঠুভাবে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। ১৬ ডিসেম্বর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী প্রণব মুখার্জী কলকাতায় এ কথা জানান।

    তিনি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক নেতার সঙ্গে সাক্ষাত্কালে বলেন, সংহতি ও প্রগতি লীগ এবং বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে গঠিত যৌথ কমিটি এদিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার সঙ্গে ভারতের উচিত অব্যাহতভাবে আলোচনা চালানো। আলোচনার ফলাফল যৌথ কমিটি পর্যালোচনা করার পর আবার সরকারকে পেশ করা হবে।

    গত আগস্ট মাসে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক দলিলপত্র প্রকাশিত হওয়ার পর, ভারতের প্রধান বিরোধী দল এবং বামপন্থী রাজনৈতিক পার্টিগুলো এ চুক্তির বিরোধিতা করে আসছে । তারা মনে করে , এ চুক্তি ভারতের স্বতন্ত্র কূটনৈতিক নীতিতে হস্তক্ষেপ করবে এবং দেশের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তবে প্রণব মুখার্জি বলেন, ভারত সরকার এখনো বামপন্থী রাজনৈতিক পার্টির পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি সমর্থন প্রত্যাহারের হুমকির মুখে পড়েনি।

    গত নভেম্বর থেকে ভারত সরকার আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে আসছে। ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারী পরমাণু শক্তি সহযোগিতার বিষয় অনুযায়ী, ভারত আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার সঙ্গে এ ছাড়াও পরমাণু স্থাপনার তত্ত্বাবধান সমস্যা এবং পরমাণু জ্বালানি সম্পদের সরবরাহ সমস্যা নিয়ে আলোচনা করবে।

**পাকিস্তানের মসজিদে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে শতাধিক হতাহত

    ২১ ডিসেম্বর পাকিস্তানের একটি মসজিদে ঈদের জামাতে একটি আত্মঘাতী বিস্ফোরণে ৫৫জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এর তীব্র নিন্দা করেছে।

    জানা গেছে, বিস্ফোরণটি উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের চারসাদ্দা জেলার একটি মসজিদে ঘটে। এ পর্যন্ত কোনো সংস্থা বা ব্যক্তি এই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেনি। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশাররফ এই হামলার নিন্দা করেছেন এবং সন্ত্রাস দমনে পাকিস্তানের দৃঢ়তা আরো জোরদার করা হবে বলে ঘোষণা করেছেন।

     পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই সন্ত্রাসী ঘটনার তীব্র নিন্দা ব্যক্ত করেছে। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন পাকিস্তানের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতি সন্ত্রাসী তত্পরতা বন্ধ করে আগামী বছরের পার্লামেন্ট নির্বাচনের জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করার আহ্বান জানান। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শান ম্যাক্কর্ম্যাক বলেন, বল প্রয়োগ করে রাজনৈতিক লক্ষ্য হাসিল করার প্রয়াস ঠিক নয়। ইইউ'র পালাক্রমিক চেয়ারম্যান দেশ পর্তুগাল একটি বিবৃতিতে জানায়, ইইউ পাকিস্তান সরকারের আইন ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করে চরমপন্থীদের উপর আঘাত হানার প্রচেষ্টায় সমর্থন করে। পাকিস্তান সফরের আগে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই বলেন, সন্ত্রাস শুধু পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের জন্য হুমকি নয়, গোটা মানব জাতি'র জন্যও হুমকি স্বরূপ।