২৩ ডিসেম্বর ইরাকের মার্কিন রাষ্ট্রদূত রায়ান ক্রোকার বলেন, ইরাকে সহিসতা কমে যাওয়ার পরও দেশটি তিনি চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে ।এগুলো হচ্ছে শরনার্থী, জাতীয় সমঝোতা ও ইরাক পরিস্থিতির ওপর ইরানের প্রভাব ।
রায়ান ক্রোকার বলেন, ২০০৩ সালে ইরাক যুদ্ধের পর, ২০ লাখেরও বেশি ইরাকী শরনার্থী দেশ ত্যাগ করেছে । শরনার্থী সমস্যা সমাধানে সতর্কতার সাথে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, যাতে তা নতুন সহিংসতার রূপ না নেয় ।
বর্তমানে ইরাকে আল কায়েদা সংস্থাকে বিরোধিতাকারী যেসব বেসামরিক সশস্ত্র সংস্থা রয়েছে তার সদস্য সংখ্যা ৭০ হাজার এবং এরা মূলত সুন্নী সম্প্রদায়ভুক্ত । শিয়া সম্প্রদায়ের নেতৃত্বাধীন ইরাক সরকার এসব সংস্থা ভবিষ্যতে সরকার বিরোধি বেসরকারী সশস্ত্র শক্তিতে পরিণত হয় কি না সে নিয়ে উদ্বিগ্ন। রায়ান ক্রোকার বলেন, ইরাক সরকার এ সব সংস্থা থেকে ২০ হাজার সুন্নীকে ইরাকী নিরাপত্তা বাহিনীতে আত্মীকরণ করবে । এর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও ইরাক সরকার পৃথক পৃথকভাবে ১৫.৫ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয়ে অন্য সশস্ত্র যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে ,যাতে তাদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করা যায় ।
তিনি আরও বলেন, ইরান ইরাকের স্থিতিশীলতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে । ইরাকের সহিংসতা কমানোর জন্য ইরান ভূমিকা রাখলে ইরাক পরিস্থিতির জন্য তা অনেক সহায়ক হবে ।
(ছাও ইয়ান হুয়া)
|