v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-12-21 19:41:29    
হাতে হাত---২০০৭-এর যাত্রা শুরু

cri

    চীন ও ভারতের স্থলবাহিনীর যৌথ সন্ত্রাস দমন প্রশিক্ষণ ২১ ডিসেম্বর দক্ষিণ পশ্চিম চীনের ইয়ুন্নান প্রদেশের খুনমিং শহরে শুরু হয়েছে । দুদেশের এই প্রথমবারের মতো স্থলবাহিনীর যৌথ সন্ত্রাস দমন প্রশিক্ষণ চলছে । দুদেশের কৌশলগত সহযোগিতামূলক ও অংশিদারিত্বের সম্পর্ককে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে ।

   " হাতে হাত---২০০৭" নামে চীন ও ভারতের স্থলবাহিনীর এবারের যৌথ সন্ত্রাস দমন প্রশিক্ষণে প্রতিটিপক্ষের ১০৩জন করে সৈন্য অংশ নিচ্ছে । দুদেশ যৌথভাবে পর্যবেক্ষণ দলও পাঠিয়েছে ।

    জানা গেছে , বিগত কয়েক বছরে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে চীন ও ভারতের মধ্যে ক্রমাগতবিনিময় বেড়েছে । গত বছর ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী চীন সফর করেছেন এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দুদেশের বিনিময় ও সহযোগিতা জোরদার করা সংক্রান্তস্মারক স্বাক্ষর করেছেন । দুদেশ দুদেশে পরস্পরের সামরিক পর্যবেক্ষক দল পাঠিয়েছে । এ বছরের প্রথম দিকে চীন ও ভারতের নৌবাহিনী যৌথ সামরিক মহড়াও চালিয়েছে । গত মাসে দুদেশের মধ্যে প্রথম প্রতিরক্ষা বিষয়ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে । চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক কার্যালয়ের এশিয়া ব্যুরোর উপ প্রধান সিনিয়র কর্নেল সিয়াওই বলেন , প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দুদেশ ও দুদেশের সৈন্যবাহিনীর বিনিময় ও সহযোগিতা জোরদার সম্পর্কে স্বাক্ষরিত স্বারকবাস্তবায়নের জন্য দুপক্ষ এই যৌথ সন্ত্রাস দমন প্রশিক্ষণ চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে । এবারের যৌথ সন্ত্রাস দমন প্রশিক্ষণের প্রধান উদ্দেশ্য হল চীন ও ভারতের সৈন্যবাহিনীর সমঝোতা ও পারস্পরিক আস্থা এবং সন্ত্রাস দমনে দুদেশের বাহিনীর বিনিময়জোরদার করা এবং সন্ত্রাসী , বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং উগ্রবাদী শক্তির বিরুদ্ধে আঘাত হানা । এতে দুদেশের শান্তি ও সমৃদ্ধির পাশাপাশি কৌশলগত সহযোগিতামূলক ও অংশিদারিত্বের সম্পর্ক সার্বিকভাবে সম্প্রসারিত হবে।

    ভারতের সৈন্যদল ১৯ ডিসেম্বর সামরিক বিমানে করে খুনমিং পৌঁচেছে । খাওয়া দাওয়া সহ ভারতের রীতিনীতি অনুযায়ী দলটির জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। থাকা, খাওয়া এবং প্রশিক্ষণ ব্যবস্থায় ভারতের সৈন্যরা অত্যন্ত সন্তুষ্ট হয়েছেন ।

    ভারতের কমান্ডার বৃকেডিয়াল ডি এস দাড়ওয়াল বলেন , এবারের যৌথ প্রশিক্ষণ আমাদের মধ্যেকার সমঝোতা ও সহযোগিতাকেআরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়েছে। চীনের সঙ্গে বিনিময় , যৌথ প্রশিক্ষণ এবং মহড়া চালানোর জন্য আমরা প্রতীক্ষায় আছি । আমরা বিশ্বাস করি , এবারের প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী সবাই এই যৌথ প্রশিক্ষণ থেকে উপকৃত হবেন । তিনি আরও জানান , আগামী বছর ভারত চীনের সৈন্যবাহিনীকে ভারতে যৌথ প্রশিক্ষণেআমন্ত্রণ জানাবে ।

    ২১ ডিসেম্বর যৌথ প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে চীন ও ভারতের সৈন্যরা প্রশিক্ষণের প্রথম পর্যায়অর্থাত বিনিময় পর্যায়ের প্রশিক্ষণ শুরু করেন ।

    জানা গেছে , বিনিময় পর্যায় শেষ হওয়ার পর যৌথ প্রশিক্ষণ পর্যায় শুরু হবে । তার পর দুপক্ষ পাহাড়ী এলাকায় যৌথ সন্ত্রাস দমনে প্রশিক্ষণ চালাবে ।

    চীনের কমান্ডার মেজর জেনারেল স্যুং চোমিং বলেন , দুপক্ষ বেশ কয়েকবার পরামর্শ করে এবারের যৌথ প্রশিক্ষণের বিষয়গুলো স্থির করেছে । এবারের যৌথসন্ত্রাস দমন প্রমিক্ষণের প্রধান বিষয় বুনিয়াদী বিষয় এবং বহুমুখী প্রশিক্ষণ ও মহড়ায় বিভক্ত ।

    চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ছিনকাং ২০ ডিসেম্বর এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন , চীন ও ভারতের এবারের যৌথ সন্ত্রাস দমন প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য হল দুদেশের কৌশলগত ও সহযোগিতামূলক সম্পর্ককে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া । চীন ও ভারতের মধ্যে প্রধান দিক হল বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা । এখন চীন ও ভারত সীমান্ত সমস্যা সমাধানের রাজনৈতিক পর্যালোচনা নীতি সম্পর্কে এক মত হয়েছে । চীন ভারতের সঙ্গে এব্যাপারে চেষ্টাচালাতে ইচ্ছুক এবং সীমান্ত সমস্যার পুরোপুরি সমাধানের আগে অব্যাহতভাবে দুদেশের সীমান্ত এলাকার শান্তি , স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা রক্ষা করতে ইচ্ছুক । যাতে সীমান্ত সমস্যা দুদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বাধা হয়ে না যায় । --চুং শাওলি