ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের মধ্যে পৌঁছানো বিভিন্ন ধরনের চুক্তির মধ্যে রয়েছেঃ
১. ফিলিস্তিন স্বায়ত্তশাসন 'নীতিগত ঘোষণা' বা 'অসলো চুক্তি'। ১৯৯৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটনে স্বাক্ষরিত হয়। ঘোষণায় ফিলিস্তিনীদের গাজা-জেরিকো অঞ্চলে স্বশাসন ব্যবস্থা চালুর অনুমোদন দেয়া হয় এবং ফিলিস্তিনের চূড়ান্ত মর্যাদার প্রশ্নটি ১৯৯৯ সালের ৪ মে'র আগে মীমাংসা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
২. কায়রো চুক্তিঃ ১৯৯৪ সালের ৪ মে কায়রোয় আনুষ্ঠানিকভাবে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এটা হচ্ছে গাজা-জেরিকো স্বায়ত্তশাসনের নীতিগত ঘোষণা কার্যকর সংক্রান্ত চূড়ান্ত চুক্তি। চুক্তি অনুযায়ী, ইসরাইল গাজা ও জেরিকো থেকে সরে যাওয়ার কাজ শেষ করে এবং সেখানে ফিলিস্তিনের স্বশাসন ব্যবস্থা বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়।
৩. তাবা চুক্তিঃ ১৯৯৫ সালের আগস্ট মাসে মিসরের তাবায় চুক্তিটির প্রাথমিক স্বাক্ষর হয় এবং ২৮ সেপ্টেম্বর হোয়াইট হাউসে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষরিত হয়। এটি একটি ফিলিস্তিনের স্বায়ত্তশাসনের আওতা সম্প্রসারণ সংক্রান্ত চুক্তি। চুক্তি অনুযায়ী, ইসরাইলী বাহিনীর হেবরোনসহ জর্ডান নদীর পশ্চিম তীরের ৭টি প্রধান শহর থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা।
৪. হেবরোন চুক্তিঃ ১৯৯৭ সালের ১৭ জানুয়ারি, ফিলিস্তিন ও ইসরাইল আনুষ্ঠানিকভাবে 'হেবরোন চুক্তি' স্বাক্ষর করে। একই দিনে ইসরাইলের বাহিনী হেবরোনের ৮০ শতাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ ফিলিস্তিনের পুলিশের হাত হস্তান্তর করে।
৫. উয়াই চুক্তিঃ ১৯৯৮ সালের ২৩ অক্টোবর, ফিলিস্তিন ও ইসরাইল যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের উয়াই উদ্যান কেন্দ্রে অস্থায়ী শান্তি চুক্তিতে পৌঁছে। চুক্তি অনুযায়ী, ইসরাইলের জর্ডান নদীর পশ্চিম তীরের ১৩ শতাংশ ভূমি থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা।
৬. শারম আল শেইখ স্মারকঃ ১৯৯৯ সালের ৫ সেপ্টেম্বর মিসরের শারম আল শেইখ শহরে এই স্বারক স্বাক্ষরিত হয়। এটা উয়াই চুক্তি কার্যকর সংক্রান্ত নতুন চুক্তি। এতে দু'পক্ষ ফিলিস্তিনের চূড়ান্ত মর্যাদা সংক্রান্ত আলোচনা ১৯৯৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর শুরু করা এবং ২০০০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারীর আগে জেরুজালেমের অবস্থানসহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কাঠামো চুক্তিতে পৌঁছনো এবং ২০০০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বরের আগে চূড়ান্ত চুক্তিতে পৌঁছনোর ব্যাপারে দু'পক্ষ একমত হয়।
|