v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-12-19 19:42:01    
সাংহাই বিশ্ব মেলার মাস্কট প্রকাশিত

cri

    ১৮ ডিসেম্বর রাতে চীনের সাংহাই নগরীতে ২০১০ সালে অনুষ্ঠেয় বিশ্বমেলার মাস্কট প্রকাশিত হয়েছে । হাইপাও নামের সমুদ্রীনীল কার্টুন মাস্কটটি সারা বিশ্বকে চীনের আন্তরিক আমন্ত্রণের প্রতীক। বর্তমানে সাংহাই বিশ্ব মেলার প্রস্তুতিমূলক কাজ একটি নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করেছে ।

    ১৮ ডিসেম্বর রাত আটটায় রঙবেরঙের বিজলি বাতি শোভিতসাংহাই স্টেডিয়াম হাজারহাজার দর্শকের উল্লাসে মুখরিত ছিল । ২০১০ সালে সাংহাই বিশ্ব মেলার মাস্কট প্রকাশের সান্ধ্যাকালীন জাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান ছিল এটি, যার শ্লোগান ছিল সৌভাগ্যের চীন । সাংহাই বিশ্ব মেলা ২০১০ সালের মে মাসে শুরু হবে এবং ১৮৪ দিন ধরে চলবে । তখন প্রায় ২০০টি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা এই মেলায় অংশ নেবে , ৭ কোটি দেশিবিদেশী দর্শক মেলা পরিদর্শন করবেন । বিশ্ব মেলার ইতিহাসে এটাই হবে সবচেয়ে বড় মেলা । মেলায় অংশগ্রহণকারী দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং দর্শকের সংখ্যাও এবারই সবচেয়ে বেশি হবে বলে অনুমাণ করা হচ্ছে ।

    সাংহাই বিশ্ব মেলা শুরু হতে আর ৮৬৫ দিন বাকি । এ দিন প্রকাশিত হাইপাও নামের মাস্কটের অর্থ হল সারা বিশ্বের মূল্যবান জিনিস । সমুদ্রীনীল রঙের কার্টুন মাস্কটটি দেখতে হানভাষার অক্ষর" রেন"এর মতো যার অর্থ মানুষ । এতে " শহর ও জীবনকে আরও সুন্দর করে তোলো" সাংহাই বিশ্বমেলার এই থীমকেধারণ করা হয়েছে ।

    মাস্কট প্রকাশের সান্ধ্যঅনুষ্ঠান শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাংহাই বিশ্বমেলা বিষয়ক সমন্বয় ব্যুরোর উপ মহা পরিচালক হু চিনজুন "হাইপাও" মাস্কটটির ডিজাইনের ব্যাখ্যা দেন । তিনি বলেন , " চীনা অক্ষর রেন"-এর আকৃতি থেকে বোঝানো হয়েছে যে , তোমাকে এবং আমাকে মিলেই সুন্দর জীবন তৈরি করতে হবে । সারা বিশ্বের মানুষের পরস্পরকে সমর্থনের মাধ্যমে মানুষ ও প্রকৃতি, মানুষ ও সমাজ, মানুষ ও মানুষের মধ্যে সুষম সহাবস্থান তৈরি করলেই কেবল শহরের জীবনযাপন আরও সুন্দর হতে পারে ।

    আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ব্যুরোর মহা সচিব ভিসেন্ট গন্জালেস লসারটেলস "হাইপাও" নামের এই আদুরে মাস্কটটির প্রশংসা করতে গিয়ে বলেন , মাস্কটটির প্রকাশ গোটা সাংহাই বিশ্বমেলার প্রস্তুতিমূলক প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক । সাংহাই বিশ্বমেলা বিষয়ক সমন্বয় ব্যুরোর মহা পরিচালক হোং হাও এক সাক্ষাত্কারে বলেন , বিশ্বমেলাটির প্রস্তুতিমূলক কাজে নতুন অগ্রগতি হয়েছে । তিনি বলেন, এ বছরের শেষ দিকে মেলা ভবনের গোটা নির্মান কাজ সার্বিকভাবে শুরু হবে এবং ২০০৯ সালের শেষ দিকে নির্মাণ কাজ শেষ হবে । যাতে ২০১০ সালের ১ মে নির্দিষ্ট সময়ে বিশ্ব মেলার উদ্বোধন করা যায় ।

    সাংহাই বিশ্বমেলার ভেন্যুটি হুয়াংপু নদীর দুপারের সাংহাই শহরের কেন্দ্র স্থলে অবস্থিত । ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৮৪টি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা মেলাটিতে অংশ নিতে রাজি হয়েছে । এ সম্পর্কে হোং হাও বলেন, ১৮৪টি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা মেলাটিতে অংশ নেবে। তার অর্থএই দাঁড়াবে যে , অংশগ্রহণকারী দেশের সংখ্যার দিক থেকে সাংহাই বিশ্বমেলা বিশ্বমেলা ইতিহাসের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করবে । উল্লেখ্য, বিশ্বমেলার ইতিহাসে ২০০০ সালের হ্যানোভার বিশ্বমেলায় অংশগ্রহণকারী দেশের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি অর্থাত মোট ১৭২টি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা অংশ নিয়েছিল । আমাদের লক্ষ্য হল , ২০০টি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার অংশ গ্রহণ।

    ২০১০ সালের সাংহাই বিশ্বমেলা প্রথমবারের মতো উন্নয়নশীল দেশে অনুষ্ঠেয় একটি বৃহত্তম বিশ্বমেলা ।যে দেশগুলো বিশ্বমেলায় অংশ ননিতে রাজি হয়েছে তার মধ্যে অনেকগুলোই চীনের মতো উন্নয়নশীল দেশ । এই সব দেশ যাতে আরও সুন্দরভাবে মেলায় অংশ নিতে পারে তার জন্য চীন সরকার ১০ কোটি মার্কিন ডলারের তহবিল দেবে । এ সম্পর্কে হোং হাও বলেন, আমরা ব্যাপকভাবে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোকে আমন্ত্রণ জানাব এবং তাদেরকে আর্থিক সাহায্য করব । নানা দিক থেকে তাদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করব । যাতে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো বিশ্বমেলায় তাদের সৌন্দর্য, মতামত এবং তাদের শহর উন্নয়নের সুন্দর ভবিষ্যত দেখাতে পারে ।---চুং শাওলি