v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-12-17 15:53:47    
চলতি বছর কোরীয় উপদ্বীপে পারমাণবিক সমস্যার উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জিত হয়েছে

cri
    ২০০৭ সাল ছিল কোরীয় উপদ্বীপের পারমাণবিক সমস্যার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। সংশ্লিষ্ট পক্ষের মিলিত প্রচেষ্টায় এ বছর ছ-পক্ষীয় বৈঠকের উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জিত হয়েছে। এখন শুনুন, এ সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন। পরিবেশন করছি আমি.

    "২০০৭ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগেই ইয়াংবিয়ংয়ের পরীক্ষামূলক ৫ হাজার কিলোওয়াট রিএক্টর এবং পারমাণবিক জ্বালানি নির্মাণ যন্ত্রাংশের নিষ্ক্রিয়করণের কাজ শেষ হবে। "১৩ ফ্রেব্রুয়ারির যৌথ দলিল" অনুযায়ী ২০০৭ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তার সম্পূর্ণ পারমাণবিক পরিকল্পনা জমে দিতে উত্তর কোরিয়া রাজি হয়েছে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়াকে আর সন্ত্রাস-সমর্থক দেশ হিসেবে মনে করবে না এবং তার উপরে আরোপিত "শত্রু দেশের প্রতি বাণিজ্যিক আইন" স্থগিত করবে।"

    এতক্ষণ আপনারা যা শুনলেন তা হলো গত ৩রা অক্টোবর ছ-পক্ষীয় বৈঠকের দ্বিতীয় পর্যায়ের অধিবেশন শেষ হওয়ার পর, সম্মেলনের সভাপতি চীনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী উ তা ওয়েই'র ঘোষণা"যৌথ দলিল বাস্তবায়নের দ্বিতীয় পর্যায়ের কর্মসূচী"। এই দলিল হলো ছ-পক্ষীয় বৈঠকে অগ্রগতি অর্জনের একটি প্রতীক। দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা গবেষণাকারের অধ্যাপক জুন বোং গিউন সম্প্রতি সিআরআই-এর সংবাদদাতা দেয়া সাক্ষাত্কারে বলেছেন:

    "কোরীয় উপদ্বীপরের পারমাণবিক ইসু একটি জটিল ব্যাপার। কিন্তু চলতি বছরের ছ-পক্ষীয় বৈঠকে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জিত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট পক্ষ ফেব্রুয়ারি ও অক্টোবর মাসে "১৩ ফিব্রুয়ারীর যৌথ দলিল" এবং "৩ অক্টোবরের যৌথ দলিল" সম্পর্কে একমত হয়েছে। বিভিন্ন পক্ষের প্রচেষ্টায় পরমাণু-মুক্তকরণ প্রক্রিয়ায় উল্লেযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে।"

    ছ-পক্ষীয় বৈঠকের সাফল্য বিভিন্ন পক্ষের ইতিবাচক প্রচেষ্টার সঙ্গে জড়িত। চীন হলো ছ-পক্ষীয় বৈঠকের উদ্যোক্তা দেশ। আলোচনা ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে চীন গঠনমূলক ভূমিকা পালন করে এসেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পররাষ্ট্র নিরাপত্তা গবেষণাকারের অধ্যাপক জুন বোং গিউন বলেন:

    "প্রতি বারই ছ-পক্ষীয় বৈঠক অচলাবস্থায় পড়ার সময় চীন তার সহযোগিতামূলক ভূমিকা পালন করে বৈঠক অব্যাহত রাখার জন্য চেষ্টা করে এসেছে। ভবিষ্যতে এ ক্ষেত্রে চীনের ভূমিকা আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।"

    ছ-পক্ষীয় বৈঠকের "৩ অক্টোবরের যৌথ দলিল" প্রকাশ হওয়ার পর, সংশ্লিষ্ট পক্ষ দলিলের বাস্তবায়ন শুরু করেছে। উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কেন্দ্র নিষ্ক্রিয়করণের কাজ সুষ্ঠুভাবে চলছে এবং তা ব্যাপক স্বীকৃতি পেয়েছে। মার্কিন নিষ্ক্রিয়করণ সদস্য কিম সুং বলেন:

    "খুব সন্তোষজনক, কাজটি কার্যকরভাবে চলছে। আমরা ইয়ংবিংয়ের পারমাণবিক কেন্দ্রের তত্ত্বাবধান করেছি। অনেক নিষ্ক্রিয়করণের কাজ এখন চলছে সেখানে।"

    উত্তর কোরিয়ার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন এবং সম্পূর্ণ পারমাণবিক পরিকল্পনা সম্পর্কে ঘোষণা করার সময় এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে "৩ অক্টোরের যৌথ দলিল"-এর বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করা যাবে কিনা সবাই সে দিকে দৃষ্টি রাখছে। চীনের সমাজ বিজ্ঞান একাডেমির জাপান সংক্রান্ত গবেষণাকারের উপ-পরিচালক চিন সি দে বলেন, প্রযুক্তি ও রাজনীতির কারণে চলতি বছরের শেষ দিকে পারমাণবিক পরিকল্পনা ঘোষণা ও নিষ্ক্রিয়করণের কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার বিষয়টিকে অসম্ভব বলে মনে হচ্ছে। তিনি বলেন:

    "এখন প্রযুক্তিগত সমস্যা রয়েছে। যেমন, আগে বিভিন্ন পক্ষ নিষ্ক্রিয়করণ সহজ কাজ মনে করেছিলো। কিন্তু আসলে তা অনেক সময় সাপেক্ষ ও ব্যয় বহুল। দ্বিতীয়তঃ যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে যে অবিশ্বাসের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে তা সহজভাবে বদলানো সম্ভব নয়। এতে কিছু সময় ও কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন।"

    তিনি আরো বলেন, কোরীয় উপদ্বীপের পারমাণবিক সমস্যার ব্যাপারে ধৈর্য ধারণ করা উচিত। পরমাণু-মুক্তকরণ হলো ইতিহাসের প্রবণতা। কিন্তু বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় নিশ্চয়ই কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। এটাই স্বাভাবিক।

    "এই প্রক্রিয়ায় বাধা থাকলেও তবুও এর বাস্তবায়ন এগিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মতামত হলো একটি অস্থায়ী কারণ। আগামী বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন । তাই সামনে এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু অজানা পরিবর্তনও হতে পারে বৈকি। অগ্রগতি অর্জনের জন্য শুধু সময়সূচী অনুসারে চলতে থাকাই যথেষ্ট নয়। আবার আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির দিক থেকে সুষ্ঠু পদক্ষেপ নেয়াও উচিত।" (ইয়াং ওয়েই মিং)