উত্তর-দক্ষিণ কোরিয়ার দ্বিতীয় শীর্ষ সম্মেলন ২ থেকে ৪ অক্টোবর পযর্ন্ত পিয়াংইয়াংএ অনুষ্ঠিত হয় ।সম্মেলনে দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যে কোরীয় উপ-দ্বীপের শান্তি, অভিন্ন সমৃদ্ধি এবং সমঝোতা ও সহযোগিতা সহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এবারের শীর্ষ সম্মেলন দু'পক্ষের সম্পর্কের উন্নতির ক্ষেত্রকে সম্প্রসারিত করা হয়। কোরীয় উপ দ্বীপের পরিস্থিতির একটি নতুন অধ্যয়ের সূচনা হয়ে যায় ।
২০০৬ সালের জুন মাসে পিয়াংইয়াংএ প্রথম শীষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। কোরীয় উপ দ্বীপের দুই পক্ষ ধীরে ধীরে স্নায়ু যুদ্ধের মনোভাব ত্যাগ করে সমঝোতা ও সহযোগিতার যুগে প্রবেশ করছে। গত সাত বছরে দু'পক্ষের মধ্যে ঘনঘন আর্থ-বাণিজ্যিক আদান-প্রদানও ঘনিষ্ঠসফর বিনিময় হয়েছে। দু'পক্ষের মধ্যে বার্ষিক বাণিজ্য মূল্য ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার হয়েছে। প্রতি বছর প্রায় ১ লাখ লোক দু'দেশের যাতায়াত করছে। দক্ষিণ কোরিয়ার একীকরণ বিভাগের একটি সূত্র জানিয়েছে , বতর্মানেদক্ষিণ কোরিয়ার বিশটিরও বেশী শিল্প-প্রতিষ্ঠান উত্তর কোরিয়ায় পুঁজি বিনিয়োগ করতে গিয়েছে। উত্তর কোরিয়ায় ভ্রমন করতে যাওয়া পর্যটকের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে।
সাত বছর পর দু'পক্ষের মধ্যে পুনরায় শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গত ৫ আগষ্ট দক্ষিন কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট রো মু হিউন এবং উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জুং ইলের মধ্যে " দক্ষিণ-উত্তর চুক্তি" স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিতে বলা হয়, শান্তিপূর্ণ সমঝোতা ও সহযোগিতার ক্ষেত্রে গত সাত বছরের অর্জিত সাফল্য পর্যালোচনার ভিত্তিতে দুই প্রেসিডেন্ট পারষ্পরিক আস্থা আরও বাড়ানো , দু'পক্ষের অর্থনৈতিক সহযোগিতা সম্প্রসারণ সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যায়। দু'পক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কোরীয় উপ দ্বীপের শান্তি, অভিন্ন সমৃদ্ধি, শান্তিপূর্ণ সমঝোতা ও একীকরণ বিষয়কে এবারের শীর্ষ সম্মেলনের প্রধান আলোচ্য বিষয় হিসেবে গণ্য করা হয়।
দু'পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েক বার যোগাযোগ হয়েছে। দু'পক্ষের মধ্যে শীর্ষ সম্মেলনের তারিখ, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধি দলের লোক সংখ্যা, সফরের স্থানসহ নানা ধরনের বিষয়ে মতৈক্য হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার তথ্য মাধ্যমগুলো মনে করে, এবারের শীর্ষ সম্মেলনের জন্যে উত্তর কোরিয়া যে প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা দিয়েছে তাতে আত্মবিশ্বাস ও নমনীয়তা ফুটে উঠেছে। উত্তর কোরিয়া দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধি দলটির সড়ক পথে উত্তর কোরিয়া সফর করতে রাজি হয়েছে এবং সফরকালে কয়েকটি কর্মসূচী সরাসরি সম্প্রচারেরঅনুমোদনও দিয়েছে। সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার একীকরণ মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার মানসিকতার অনেক ঘটেছে । তা আগের চাইতে আরও উন্মুক্ত এবং বাস্তব।
|