১৩ ডিসেম্বর ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি সদস্য দেশের নেতৃবৃন্দ ই'ইউ'র পালাক্রমিক সভাপতি রাষ্ট্র পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে ই'ইউ সংবিধানের সংস্কারের উদ্দেশ্য লিসবন চুক্তি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষর করেছেন। এ ই'ইউ সংবিধান প্রণয়নের প্রক্রিয়ায় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ।
এদিন দুপুরে লিসবন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান ইউনেস্কোর বিশ্বের সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারের তালিকাভুক্ত জেরোনিমস মনাস্টিতে আয়োজিত হয়েছে।
এখানে বিভিন্ন সদস্য দেশের প্রতিনিধিগণ লিসবন চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
ই'ইউ'র বিভিন্ন সদস্য দেশের নেতৃবৃন্দ চুক্তির দলিলে স্বাক্ষর করেছেন। এর পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীগণও অন্য আর একটি চুক্তির দলিলে স্বাক্ষর করেছেন। নেতৃবৃন্দ স্বাক্ষরের পর এই চুক্তি সদস্য দেশগুলোর কাছে চূড়ান্ত যাচাই বাছাই করার জন্য প্রেরণ করা হবে। ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারী এই চুক্তি আনুষ্ঠানিকভাবে বলবত্ হবে।
ই'ইউ'র পালাক্রমিক সভাপতি রাষ্ট্র পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী জোস সক্রেটিস স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এক ভাষণে বলেছেন, লিসবন চুক্তি স্বাক্ষরিত হবার পর ই'ইউ উন্নয়নের নতুন পথে চালাবে। এটি হচ্ছে ই'ইউ'র সকল সদস্য দেশের অভিন্ন রাজনৈতিক ইচ্ছা।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জোস ম্যানুয়েল বারোসো বলেছেন,
রোম চুক্তি স্বাক্ষরের ৫০তম বার্ষিকীর পর আমরা আমাদের অর্জিত সাফল্যে গর্ব বোধ করি। আজকে লিসবন চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে আমরা বিশ্বাস করি, ভবিষ্যতে আমরা আরো বেশি সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হবো।
লিসবন চুক্তি ই'ইউ'র সাংবিধানিক চুক্তির মূল বিষয়বস্তু সংরক্ষণ করছে। যেমন ই'ইউর সংস্থার সংস্কার ও নীতি নির্ধারণের কর্মক্ষমতা উন্নত করা এবং ই'ইউ'র পরিষদের স্থায়ী চেয়ারম্যান আর পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা বিষয়ক দায়িত্ব পালনকারী উর্ধ্বতন কর্মকর্তা নির্বাচন করাসহ বিভিন্ন বিষয়বস্তু সংরক্ষণ করেছে। তিনি আরো বলেন,
লিসবন চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে ই'ইউ দায়িত্ব পালন ও লক্ষ্য বাস্তবায়নের ক্ষমতাকে জোরদার করবে এবং ইউরোপের জনগণের জন্য আরো সমৃদ্ধ ভবিষ্যত সৃষ্টি করবে।
নতুন চুক্তিতে ইউরোপের পার্লামেন্টের নীতি নির্ধারণের আওতা সম্প্রসারিত হয়েছে এবং বিভিন্ন সদস্য দেশের পার্লামেন্ট নীতি নির্ধারণ প্রক্রিয়ার ভূমিকাকে জোরদার করছে। এর জন্য ইউরোপের পার্লামেন্টের স্পীকার হ্যানস গার্ট পোটারিং বলেছেন,
৫০ বছর ধরে পার্লামেন্টের গণতন্ত্র অব্যাহত উন্নয়নের ভিত্তিতে ইউরোপের একীকরণের সাফল্য অর্জিত হয়েছে। নতুন চুক্তিতে ইউরোপের পার্লামেন্ট এবং বিভিন্ন সদস্য দেশের পার্লামেন্টের ভূমিকা জোরদার করা হয়েছে। এর ফলে দু'পক্ষের সহযোগিতা আরো ঘনিষ্ঠ হবে।
তাছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বারোসো আরো বলেছেন,
আমাদের আরো বেশি একমত হওয়া প্রয়োজন। শুধু রাজনৈতিক কর্মকান্তের মাধ্যমেই কাজ করার ক্ষমতাকে জোরদার করার বিষয়টি বাস্তবায়ন করা সম্ভব।
|