ইইউ-আফ্রিকা শীর্ষ সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন ৮ ডিসেম্বর পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে শুরু হয়েছে।
ইতিহাস, সামাজিক ব্যবস্থা ও ভৌগোলিক রাজনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইউরোপ ও আফ্রিকান দেশগুলোর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। ইইউ ও আফ্রিকান দেশগুলোর যোগাযোগ ও সহযোগিতা জোরদার করার জন্য, ১৯৯৬ সালে পর্তুগাল আফ্রিকা ঐক্য সংস্থা ও ইইউ'র সদস্য দেশগুলোর শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তাব দেয়। ১৯৯৯ সালের জুলাই মাসে, আফ্রিকা ঐক্য সংস্থার ৩৫তম শীর্ষ সম্মেলন এ প্রস্তাব গ্রহণ করে। ২০০০ সালের জুলাই মাসে, ইইউ-আফ্রিকা শীর্ষ সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন মিসরের রাজধানী কায়রোয় অনুষ্ঠিত হয়। আফ্রিকা ঐক্য সংস্থা ও ইইউ'র ৬৭টি দেশের রাষ্ট্র প্রধান, সরকার প্রধান ও প্রতিনিধিগণ সম্মেলনে অংশ নেন। সম্মেলনে প্রধানত অর্থনীতি, রাজনীতি ও সমাজসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আফ্রিকা ও ইইউ'র সহযোগিতা জোরদার এবং একবিংশ শতাব্দীতে দু'পক্ষের অংশীদারিত্বের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ব্যাপার আলোচনা করা হয়।
সংলাপের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে এই শীর্ষ সম্মেলন ইইউ-আফ্রিকা সম্পর্ক ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভুমিকা পালন করে আসছে। বর্তমানে আফ্রিকার সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে ইইউ-এর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমান ২৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে, আফ্রিকার প্রতি ইইউ'র সচেতনতা বাড়ছে এবং তারা সক্রিয়ভাবে আফ্রিকা কৌশল সুবিন্যস্ত করতে শুরু করেছে এবং আফ্রিকার ওপর আরো বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। ২০০৫ সালের ডিসেম্বর মাসে, ইইউ'র শীর্ষ সম্মেলনে আগামী ১০ থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত ইইউ'র আফ্রিকা নীতির দিক নির্দেশনামূলক 'ইইউ ও আফ্রিকাঃ কৌশলগত অংশীদারিত্বের দিকে যাত্রা' শীর্ষক প্রথম অকৌশলগত দলিল গৃহীত হয়। এর প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে আফ্রিকার উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও আইন সংহত করা এবং 'আফ্রিকার সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্য' বাস্তবায়ন করা। ২০০৬ সালের শেষ দিকে, ইইউ 'ইইউ-আফ্রিকা অভিন্ন কৌশল' উত্থাপন করে। সেখানে আফ্রিকান দেশগুলোর সরকার ও জনগণের মতামত ও অনুরোধের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। ইইউ কমিটি আফ্রিকার সঙ্গে সমান অংশীদারিত্বের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত একটি দলিল প্রকাশ করেছে। এর লক্ষ্য হচ্ছে, সংলাপের মাধ্যমে ইইউ-আফ্রিকা সম্পর্কের নতুন কাঠামোকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। (খোং চিয়া চিয়া)
|