v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-12-13 17:38:34    
ফিলিস্তিন-ইসরাইলের নতুন পর্যায়ের শান্তি আলোচনা নীরসভাবে শেষ হয়েছে

cri

    ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের প্রতিনিধিদের মধ্যে ১২ ডিসেম্বর জেরুজালেমে নতুন পর্যায়ের একটি শান্তি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এটি হলো ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়া ৭ বছর ধরে স্থগিত থাকার পর দু'পক্ষের নেতৃবৃন্দের গত নভেম্বরে আলোচনা পুনরায় শুরুর উদ্যোগ গ্রহণের মধ্য দিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে অনুষ্ঠিত আলোচনা ঐকমত্যহীনভাবে শেষ হয়েছে।

    এবারের আলোচনার শুরুতে কিছুটা উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আলোচনার জন্য নির্দিষ্ট জেরুজালেমের সবচে' জমকালো কিং ড্যাভিদ হোটেলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের কথা থাকলেও নিরাপত্তার কারণে অন্য একটি হোটেলে খুব গোপনে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভাটি শুধু মাত্র ৯০ মিনিট স্থায়ী হয়। ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এ্যারি মেকাল আলোচনার পর বলেছেন, আগামী দু'সপ্তাহের মধ্যে পুনরায় বৈঠক আয়োজন ছাড়া , দু'পক্ষের মধ্যে আর কোনো মতৈক্য হয়নি।

    বিশ্লেষকরা এর কারণ হিসেবে মনে করেন, প্রথমতঃ ফিলিস্তিন ও ইসরাইল উভয়েই জানে যে, জেরুজালেমের বর্তমান অবস্থা, ফিলিস্তিনী শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তন এবং চূড়ান্ত সীমানাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সমস্যায় দু'পক্ষের মতভেদ থাকার কারণে শুধু মাত্র একবারের আলোচনায় এসব সমস্যার সমাধান সম্ভব নয় । সুতরাং, আলোচনা শুরুর আগে দু'পক্ষের নির্ধারিত বিষয় আলোচনার জন্য সমস্যা নয়, বরং ভবিষ্যতে আলোচনা কিভাবে চালানো যার সেটাই বড় কথা।

    দ্বিতীয়তঃ ৪ ডিসেম্বর ইসরাইল পূর্ব জেরুজালেমে তাদের বসতি স্থাপনের জন্য দরপত্র আহ্বান করেছে। এ পরিকল্পনা অনুযায়ী, ইসরাইল জেরুজালেমের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের হার হোমা অঞ্চলে মোট ৩০৭টি বাড়ি নির্মাণ করে একটি নতুন বসতি এলাকা গড়ে তুলবে। এটি নিঃসন্দেহ ফিলিস্তিন পক্ষে কখনই গ্রহণ করা সম্ভব হবে না। এমন কি, কয়েকজন ফিলিস্তিনী কর্মকর্তা এবারের আলোচনা প্রত্যাখ্যান করার প্রস্তাব দিয়েছেন। এছাড়া, ১১ ডিসেম্বর ইসরাইল গাজা অঞ্চলে যে সামরিক তত্পরতা চালায় তাতে ৮জন ফিলিস্তিনী সশস্ত্র যোদ্ধা নিহত হয়। এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেইনা বলেন, ইসরাইল সরকারের একগুঁয়েভাবে ফিলিস্তিনের ভূ-ভাগে সামরিক অভিযান চালানো এবং ইহুদী বসতি এলাকা স্থাপনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের বৈরী মনোভাব থেকে বোঝা যাছে যে ইসরাইলের সদিচ্ছার কথা আসলে সন্দেহজনক।

    এবারের আলোচনায় কোনো ফলাফল অর্জিত হয়নি। তবে সম্মেলনে কয়েকটি বিষয় খুবই উল্লেখযোগ্য। একটি হচ্ছে ,বিশাল মতভেদের পার্থক্য থাকা সত্বেও দু'পক্ষ যথাসাধ্য সংযমশীল ছিল। ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়া অচলাবস্থায় থাকার সময় ৭ বছর একটি মোট ৪ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনী এবং ১ হাজার ১০০জনেরও বেশি ইসরাইলী বিভিন্ন সংঘর্ষে নিহত হয়। এ দু'পক্ষই এ আলোচনা চালিয়ে যেতে ইচ্ছুক। বিশেষ করে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস , তিনি ফিলিস্তিনের সকল পক্ষকে সংযমী মনোভাব নিয়ে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন।একই সঙ্গে তিনি আশা প্রকাশ করেন, দু'পক্ষের সংশ্লিষ্ট আলোচনার সময় ফিলিস্তিন সজাগ দৃষ্টি রাখলে সমস্যার ব্যাপারে ইসরাইলের প্রতিক্রিয়া জানা সম্ভব হবে । আরেকটি হচ্ছে , সর্বশেষ এক পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের অধিকাংশ জনগণই একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের প্রস্তাবের জন্য এখনও অপেক্ষমান। এছাড়াও, দু'পক্ষ এক মত হয়েছে যে, আগামী সপ্তাহে প্যারিসে অনুষ্ঠিত ফিলিস্তিনকে সাহায্য করা সংক্রান্ত একটি সম্মেলনে সংশ্লিষ্ট সমস্যাগুলো নিয়ে দু'পক্ষই আলোচনা চালিয়ে যাবে।

    বিশ্লেষকরা জোর দিয়ে বলেন, ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের বহু বছরের এ সংঘর্ষ অবসানের জন্য দু'পক্ষের উচিত সংযমের সঙ্গে চেষ্টা করা। --ওয়াং হাইমান