**চীন জাপানের সঙ্গে পারস্পরিক কল্যাণমূলক সম্পর্ক ত্বরান্বিত করতে আগ্রহী : হু চিন থাও
৭ ডিসেম্বর চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও সফররত জাপানের ডেমক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান ওজাওয়া ইচিরোর নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাত্কালে বলেন, চীন জাপানের সঙ্গে চীন-জাপান তিনটি রাজনৈতিক দলিলের নির্ধারিত নীতি অনুসরণ করে দ্বিপাক্ষিক কল্যাণমূলক সম্পর্ক ত্বরান্বিত করবে ।
হু চিন থাও চীন ও জাপানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর বিশেষ করে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতির প্রশংসা করেন । তিনি বলেন, আগামী বছর হবে চীন ও জাপানের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষরের ৩০তম বার্ষিকী । চীন জাপানের সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দু'দেশের বাস্তব সহযোগিতা ত্বরান্বিত করতে ইচ্ছুক এবং সংলাপের মাধ্যমে ভালভাবে দু'দেশের মতভেদ সমাধান করবে, অব্যাহতভাবে দু'দেশের সম্মিলিত স্বার্থ সম্প্রসারণ করবে এবং নতুন শতাব্দীতে দু'দেশের মধ্যে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক তৈরি করবে।
**চীন জ্বালানী সম্পদের উন্নয়নে স্বদেশের বাস্তব অবস্থার জন্য উপযুক্ত উপায় খুঁজে বের করবে
চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী চেং পেইইয়ান ৬ ডিসেম্বর পেইচিংয়ে বলেছেন, চীন জ্বালানী সম্পদের উন্নয়ন ক্ষেত্রে স্বদেশের বাস্তব অবস্থার জন্য উপযুক্ত উপায় খুঁজে বের করবে। পিপলস ডেইলি পত্রিকায় এ খবর জানানো হয়েছে।
এদিন অনুষ্ঠিত চীনের জাতীয় জ্বালানী সম্পদ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ কমিটির পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে চেং পেইইয়ান বলেন, বর্তমানে চীন শিল্পায়ন ও মহকুমা পর্যায়ের দ্রুত উন্নয়নের যুগে রয়েছে। জ্বালানী সম্পদের সরবরাহ এবং চাহিদার মধ্যে বৈষম, কাঠামোগত সমস্যা এবং প্রাকৃতিক সমস্যা এখনো রয়ে গেছে। তাই এসব সমস্যার ব্যাপারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সঠিকভাবে মোকাবেলা করতে হবে।
তিনি আশা করেন, পরামর্শ কমিটির বিশেষজ্ঞরা জ্বালানীর উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন, জ্বালানীর উত্পাদন ও মিতব্যয়িতা, জ্বালানীর ব্যবহার ও প্রাকৃতিক পরিবেশের সংরক্ষণ, জ্বালানী ক্ষেত্রে স্বদেশের উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার কথা বিবেচনায় রেখে জ্বালানীর দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের ক্ষেত্রে উদ্ভূত সমস্যা নিয়ে মতামত ও প্রস্তাব দিতে পারেন।
**আগামী বছর চীনের অর্থনীতিতে সামগ্রিক নিয়ন্ত্রণ জোরদার করা হবে
চীনের জাতীয় উন্নয়ন ও সংস্কার কমিশনের মহাপরিচালক মা খাই বলেছেন , আগামী বছর চীনের অর্থনীতিতে সামগ্রিক নিয়ন্ত্রণ জোরদার করা হবে , যাতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দ্রুত গতি অতি দ্রুত গতিতে পরিণত না হয় এবং পণ্য মূল্যের কাঠামোগত বৃদ্ধি থেকে লক্ষ্যণীয় মুদ্রাস্ফীতি না দেখা দেয় ।
বৃহস্পতিবার পেইচিংয়ে আয়োজিত একটি অধিবেশনে মা খাই আরো বলেন , আগামী বছরও চীন সরকার অব্যাহতভাবে স্থাবর-পরিসম্পদ বিনিয়োগের দ্রুত বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করবে এবং নতুন নতুন প্রকল্প , বিশেষ করে বেশি ক্ষয়কারী জ্বালানী ও দূষিত প্রকল্প নির্মাণ সীমিত করবে । পাশাপাশি চীন সরকার প্রধান প্রধান কৃষিজাত পণ্য উত্পাদন , সরবরাহ ও বাজার নিয়ন্ত্রণ জোরদার করবে , যাতে জনসাধারণের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ সুনিশ্চিত হয় ।
**ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের শান্তি আলোচনায় সমর্থন করুনঃ মার্ক ওটে
ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত মার্ক ওট্টে ৫ ডিসেম্বর সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর প্রতি ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের শান্তি আলোচনায় সমর্থন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। যাতে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ার সাফল্য ত্বরান্বিত হয়।
এদিন ওট্টে মিসরের টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে বলেছেন, বিভিন্ন পক্ষের অ্যানাপোলিসে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি সম্মেলনের পর ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের শান্তি আলোচনাকে সমর্থন করা উচিত, যাতে একটি স্থিতিশীল ফিলিস্তিন দেশ গড়ে তোলা যায়।
তিনি বলেছেন, অ্যানাপোলিস সম্মেলন মোটামুটি সফল। এবারের সম্মেলনের লক্ষ্য ছিল শান্তি আলোচনা আবার শুরু করা।
**ইরান সম্পর্কিত যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্য অন্যান্য দেশের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিনিধিত্ব করে নিঃ যুবরাজ সালমান
মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রবার্ট গেটস্ মধ্য প্রাচ্যের নিরাপত্তার ওপর ইরানের তথাকথিত হুমকির কথা বলেছেন , তা শুধু যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্য । এটা অন্যান্য দেশের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিনিধিত্ব করছে না । বাহরাইনের যুবরাজ সালমান বিন হামেদ আল খালিফা ৮ ডিসেম্বর এ কথা বলেছেন ।
তিনি জোর দিয়ে বলেন , এ অঞ্চলের নিরাপত্তা বাস্তবায়ন করতে চাইলে বিভিন্ন পক্ষের সার্বিক সহযোগিতার প্রয়োজন । বরং প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে নয় । বাহরাইন উপসাগরের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার ওপর ব্যাপক গুরুত্ব দেয় এবং ইরানের সঙ্গে অব্যাহতভাবে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক উন্নয়নে ইচ্ছুক ।
এর আগে রবার্ট গেটস্ এ মত প্রকাশ করেছেন যে , ইরান অব্যাহতভাবে ইউরেনিয়াম ঘনীভূতকরণের কাজ চালাচ্ছে এবং পরমাণু অস্ত্র তৈরী করতে সক্ষম হবে । সুতরাং, ইরান এখনও যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যপ্রাচ্যের ওপর বিরাট হুমকি স্বরূপ ।
**মার্কিন-চীন কৌশলগত অর্থনৈতিক সংলাপে সফল হবে
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের চীন বিষয়ক বিশেষদূত আলান হোলমার বলেছেন , যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে কৌশলগত অর্থনৈতিক সংলাপ দুদেশের মধ্যে নতুন ধরনের সহযোগিতামূলক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করবে ।
৭ ডিসেম্বর ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত একটি সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেছেন ।
তিনি মনে করেন অনুষ্ঠেয়তৃতীয় সংলাপে সফল হবে। হোলমার আরো বলেন , আগামী সপ্তাহে পেইচিংয়ে অনুষ্ঠিতব্য তৃতীয় সংলাপে দু' পক্ষের মধ্যে পরিবেশ সংরক্ষণ , জ্বালানী সম্পদের নিরাপত্তা ও পণ্য দ্রব্যের গুণগত মান উন্নত করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে ।
তিনি আরো জানান , দু'দেশের শীর্ষ নেতাদের উদ্যোগে আয়োজিত এ সংলাপকে দু' পক্ষই গুরুত্বসহকারে দেখছে । এ সংলাপের কল্যাণে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের অর্থনৈতিক সম্পর্ক স্থিতিশীলভাবে বিকশিত হচ্ছে । তিনি বলেন , চীনের সংস্কার অভিযান দু দেশের অভিন্ন স্বার্থের অনুকূল ।
**ভারতের লক্ষ্যবস্তু বিধ্বংসী ক্ষেপনাস্ত্রেরদ্বিতীয় সফল পরীক্ষা
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা ৬ ডিসেম্বর বলেন , এ দিন ভারত পূর্ব বঙ্গোপসাগরেরআকাশে লক্ষ্যবস্তু বিধ্বংসী নতুন একটি ক্ষেপনাস্ত্রের দ্বিতীয় সফল পরীক্ষা চালিয়ে চালিয়েছে
ঐ কর্মকর্তা বলেন , সকাল ১১টার সময় শত্রুলক্ষ্যবস্তু বিধ্বংসী নতুনতম পৃথ্বীনামক ব্যালিষ্টিক ক্ষেপনাস্ত্র উড়িষ্যা রাজ্যের উপকূলে হুইলারস দ্বীপের জলসীমা থেকে উতক্ষেপন করা হয় । প্রায় ২ মিনিট পর ক্ষেপনাস্ত্রটি সাফল্যের সঙ্গে লক্ষ্যবস্তুকে বাধা দিয়ে বঙ্গোপসাগরের জলসীমার আকাশে ধ্বংস করে দেয় ।
কর্মকর্তাটি আরও বলেন , ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা বিশেষভাবে ক্ষেপনাস্ত্রটি তৈরী করেছে । বাধা দেয়ার ক্ষমতা, উড্ডয়নের উচ্চতা এবং উতক্ষেপনের পাল্লার ক্ষেত্রে এই ক্ষেপনাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রের " প্যাক-৩" ব্যালিষ্টিক ক্ষেপনাস্ত্রের চেয়ে কার্যকর।
**শ্রীলংকায় বাসে স্থল মাইন বিস্ফোরণ, নিহত ১৫
৫ ডিসেম্বর মধ্য উত্তর শ্রীলংকার আনুরাধাপুরা এলাকায় স্থল মাইন হামলায় একটি যাত্রীবাহী বাস উড়ে গেছে। এতে কমপক্ষে ১৫জন নিহত এবং ২৩জন আহত হয়েছে।
শ্রীলংকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, বিদ্রোহী এল টি টি ই'র এ হামলার দায় দায়িত্ব স্বীকার করা উচিত।
এবারের স্থল মাইন হামলাটি শ্রীলংকার রাজধানী কলোম্বোয় ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ঘটনার এক সপ্তাহের পর ঘটলো। ২৯ নভেম্বর কলোম্বোতে সংঘটিত দুটি বোমা বিস্ফোরণে ২২ জন নিহত এবং প্রায় ৪০জন আহত হয়। পরে শ্রীলংকা সরকার রাজধানী ও নিকটবর্তী এলাকায় ব্যাপক তল্লাশী অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ৫শ'রও বেশি লোককে আটক করে, যার মধ্যে অধিকাংশই তামিল।
|