v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-12-07 20:32:27    
আফ্রিকার প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের নীতি ইতিবাচক দিকে মোড় নিচ্ছে

cri
৮ ডিসেম্বর থেকে পতুর্গালরে রাজধানী লিসবনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি সদস্য দেশ ও আফ্রিকার ৫৩টি দেশের নেতা ও প্রতিনিধিদের মধ্যে দু'দিনব্যাপী দ্বিতীয় ইইউ-আফ্রো শীর্ষ সম্মেলন শুরু হবে। অনেক চড়াই উতরাই পার হয়ে অবশেষে এই শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ থেকে বোঝা যায়, আফ্রিকার প্রতি ইইউর নীতি ক্রমেই মর্যাদাপূর্ণও বাস্তবদিকে এগুচ্ছে। ২০০৪ সালের এপ্রিলে প্রথম ইইউ-আফ্রো শীর্ষ সম্মেলন মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় শীর্ষ সম্মেলন ২০০৩ সালে লিসবনে আয়োজনের কথা ছিল। কিন্তু ইইউ জিম্বাবুয়েরপ্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবেকে শীর্ষ সম্মেলনে অংশ গ্রহণ নাকচ করে দেওয়ায় আফ্রিকান দেশগুলো অসন্তোষ প্রকাশকরে এবং শীর্ষ সম্মেলনটি বারবার পিছিয়ে যেতে থাকে। পরে পর্তুগাল ফ্রান্স, স্পেন সহ কয়েকটি দেশের আহ্বানে এই শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের তারিখ নির্ধারিত হয়। আলোচ্যসূচী অনুযায়ী, এবারের শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানত শান্তি ও নিরাপত্তা, অভিবাসন, জ্বালানী সম্পদ এবং জলবায়ু পরিবর্তন সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। এক বিংশ শতাব্দী শুরুতে দু'পক্ষের কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে " ইইউ-আফ্রো যুক্ত কৌশল" ও " ২০০৮---২০১০ সালের কার্যক্রম" গৃহীত হবে। বিশ্ব সম্প্রদায়ের মতে সাত বছর আগের কায়রো শীর্ষ সম্মেলনের তুলনায় এবারের শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন প্রেক্ষাপট ও আলোচ্য বিষয়ে বিরাট পরির্বতন ঘটেছে। প্রথমতঃ আফ্রিকা মহাদেশের আত্মনির্ভরশীলতার গতি দ্রুততর হয়েছে। প্রথম ইইউ-আফ্রো শীর্ষ সম্মেলনে প্রকাশিত " কায়রো ঘোষণায়" দু'পক্ষের মধ্যে নতুন ধরনের কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তাব্যাখ্যা করা হয়। ২০০১ সালে আফ্রিকান দেশগুলোর প্রণীত " আফ্রিকা উন্নয়নের নতুন অংশীদারিত্বের কর্মসূচীতে" প্রথম বার আফ্রিকা ও পাশ্চাত্য দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক ক্যাণমূরক নতুন ধরনের অংশীদারিত্বের সম্পর্ক গড়ে তোলার প্রস্তাব উত্থাপিত হয়েছে। ২০০২ সালে আফ্রিকা ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠিত হয়। এতে প্রতিফিলিত হয় যে, আফ্রিকা আত্মনির্ভরশীলতার পথে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ পেরিয়ে গেছে। এবার পর্তুগাল জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট রবাট মুগাবেকে ইইউ-আফ্রো শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণও জানিয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বের প্রধান প্রধান শক্তিগুলোআফ্রিকার ওপর বিশেষ নজর দিয়ে আসছে । এই নতুন পরিস্থিতিতে আফ্রিকার প্রতি সম্মানজনক নীতি গ্রহণ করা এবং ইইউ-আফ্রো সম্পর্ক উন্নত করা ইইউর জরুরী প্রয়োজনেপরিণত হয়েছে। যে কোনো দিক থেকে বলতে গেলে আফ্রিকা ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্যে রাজনৈতিক প্রভাব জোরদার ও নিজেদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি অনন্য মঞ্চ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুতরাং আফ্রিকার স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভবিষ্যতের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত। ইইউ উপলদ্ধি করেছে যে, আফ্রিকার আন্তর্জাতিক মার্যাদা বাড়ানোর পাশাপাশি সন্ত্রাসের ওপর আঘাত হানা, জ্বালানীসম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা করা , রোগের প্রকোচ প্রতিরোধ করা সহ বিশ্বজুড়ে চ্যালেঞ্জের মুখে আফ্রিকার সমর্থন ও সহযোগিতা ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২০০৫ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত ইইউ শীর্ষ সম্মেলনে আফ্রিকার প্রতি ইইউর নতুন কৌশল অনুমোদিত হয়েছে। সেই শীর্ষ সম্মেলনে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বাস্তবায়ন করা ও আর্থ-বাণিজ্যিক উন্নয়ন তরান্বিত করার ব্যাপারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আফ্রিকার প্রস্তাব উত্থাপিত হয়। জনমত অনুযায়ী, ইইউ-আফ্রো নতুন ধরনের সম্পর্ক গড়ে তোলার বিষয়ে এখনো কিছুটা ভিন্ন মত করে গেছে। যদিও ইইউ মুগাবে সহ সকল আফ্রিকা ইউনিয়ন সদস্য দেশের নেতৃবৃন্দকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে, তবুও ব্রিটেনের প্রধান মন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন লিজবন শীর্ষ সম্মেলনে মুগাবেকে বর্জনের ব্যাপারে তার অবস্থান যৌক্তিক বলে ব্যাখ্যা করেছেন। এর ফলে শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তুতিমূলক কাজ কিছুটা বিঘ্নিত হয়েছে। এতক্ষণ আজকের প্রতিবেদন শুনলেন। শোনার জন্য ধন্যবাদ।