v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-12-10 15:55:30    
পরবর্তী অনুষ্ঠানমালা --- ২০০৭/১২/১০

cri
    ৬৭ বছর বয়স্ক চাং ওয়ান ওয়েন অবসর নেয়ার আগে কানসু প্রদেশের কাননান তিব্বতী জাতির স্বায়ত্তশাসিত বিভাগে ও লানচৌ শহরে গণিতবিদ্যা শিক্ষাদানের কাজ করতেন। অবসর নেবার পর তিনি ছাত্রছাত্রীকে নিজের জ্ঞান দিতে ইচ্ছুক। বিশেষ করে, দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের প্রয়োজনীয় শিক্ষা দিতে ইচ্ছুক। চাং ওয়ান ওয়েন বিনা খরচে গৃহশিক্ষকের কাজ করা ছাড়াও সবসময় ছাত্রছাত্রীদের জন্য খাবার, বই, কলম ও রবারসহ নানা পণ্য কিনে দেন। তাঁর ছাত্রছাত্রীরা তাঁকে খুব পছন্দ করেন। ১০ ডিসেম্বর বিজ্ঞান বিচিত্রা আসরে শুনুন গৃহশিক্ষক চাং ওয়ান ওয়েন এর কাহিনী।

    ১৯৭৬ সালে থাং শান শহরে রিখটার স্কেলের ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। তখন সারা শহর ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছিল। পুনর্নির্মিত একটি নবোত্থিত শহর হিসেবে থান শান বদান্যতাকে প্রতিদান দিতে জানে এবং থান শানবাসীদের রয়েছে এ রকম একটি সরল মনোভাব। তাই থাং শান শহরের অধিবাসিরা ব্যাপক হারে স্বেচ্ছাসেবকের তত্পরতার প্রচলনকে সভ্য রীতি হিসেবে লালন-পালনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে গ্রহণ করেছে। এখানে একজন স্বেচ্ছাসেবক হওয়া এবং বিভিন্ন পাড়া ও সাহায্য প্রার্থীদের সেবা করা এখন এক রকম ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ১২ ডিসেম্বর সমাজ দর্পন আসরে শি চিং উ থাং শানের স্বেচ্ছাসেবকদে সেই কাহিনী পরিবেশন করবেন।

    সুই জাতি সৌহার্দ্যপূর্ণ ও অতিথিপরায়ন। অতিথিরা আসলে তাদেরকে গ্রামের প্রবেশ দ্বারেই মদ খেতে দিতে হয়। গ্রামবাসীরা এ পদ্ধতিতে তাদের অতিথিপরায়নতা ব্যক্ত করেন। কুইচৌ প্রদেশের সানতু সুই জাতি স্বায়ত্তশাসিত জেলা হচ্ছে চীনের একমাত্র সুই জাতি স্বায়ত্তশাসিত জেলা। সুদীর্ঘকালের ইতিহাস, অনন্য সংস্কৃতি ও মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্যের কারণে সুই জাতির গ্রামগুলো কুইচৌ প্রদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় এলাকায় পরিণত হয়েছে। ১২ ডিসেম্বর ওরা অনন্য আসরে থান ইয়াও খাং আপনাদের সুই জাতি সম্পর্কে কিছু বলবেন।

    ২০০১ সালে অন্তঃর্মঙ্গোলিয়ার সবচেয়ে পশ্চিম প্রান্ত ও বহুদূরে অবস্থিত উটের জন্মভূমি-আরাসান জেলা সরকারের কার্যালয় থেকে ৭০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরে জেলা সরকারের কার্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত একটি মহাসড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। আরাসানের পর অন্তঃর্মঙ্গোলিয়ার ১০১টি জেলার সবকটির সঙ্গে মহাসড়ক চালু হয়েছে। এ পর্যন্ত অন্তঃর্মঙ্গোলিয়ার মহাসড়কের দৈর্ঘ্য প্রায় ১.৩ লাখ কিলোমিটারে দাঁড়িয়েছে। অন্তঃর্মঙ্গোলিয়া স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল প্রতিষ্ঠার গোড়ার দিকের তুলনায় এ সংখ্যা ৬০ গুণেরও বেশি। অন্তঃর্মঙ্গোলিয়ায় মহা-সড়কের নির্মাণকাজ ও যানবাহনের ব্যাপারে লক্ষণীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। ১৪ ডিসেম্বর সেই গ্রাম এই জীবন আসরে আরাসান অঞ্চলের সড়ক নির্মাণকাজ সম্পর্কে আপনাদের কিছু জানানো হবে।

    কাজাখ একটি প্রাচীন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যবাহী জাতি। ১৫ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় কাজাখদের সম্পর্কে জানা যায়। কাজাখ জাতি বিখ্যাত তাদের চমত্কার গান ও নৃত্য নৈপুন্যে। ১৫ ডিসেম্বর সুরের ভুবন আসরে আপনারা সুললিত কাজাখ লোকসংগীতের পাশাপাশি এই জাতির সংস্কৃতি ও প্রথা জানতে পারবেন।

    বন্ধুরা, তা ছাড়া প্রতি দিন আরো রয়েছে খবর এবং অন্যান্য নিয়মিত অনুষ্ঠান। সময় মত সি আর আই এর বাংলা অনুষ্ঠানগুলো শোনার জন্য আগে থেকেই আপনাদের সবাইকে সাদর আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখছি।