v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-12-05 18:54:00    
বন শিল্পের সংস্কার চিং কাংশান এলাকার অর্থনীতি উন্নয়নেশক্তি যুগিয়েছে

cri
    মধ্য চীনে অবস্থিত চিয়াংসি প্রদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের চিংকাংশান চীনের বিপ্লবের দোলনা হিসেবে পরিচিত ছিল । ৮০ বছর আগে মাও সেতুঙের নেতৃত্বে গঠিত চীনের কমিউনিষ্ট পার্টিসেখানে বিপ্লবী ঘাঁটি এলাকা প্রতিষ্ঠা করে । সেখানে চীনের কমিউনিষ্ট পার্টি সশস্ত্রবাহিনী গড়ে তোলার মাধ্যমে রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের সংগ্রাম চালিয়েছে । বর্তমানে চিং কাংশান এলাকায় বন শিল্প ব্যবস্থার সংস্কার করার ফলে আগের বিপ্লবী ঘাঁটি এলাকার অর্থনীতি বিকাশ লাভ করেছে । গ্রামীন এলাকা নতুন রূপ ধারণ করেছে ।

    উঁচু উঁচু পাহাড় , ঘণ বন এবং কঠিন ভূ- প্রকৃতির কারণে সেই সময় চিং কাংশান লাল বিপ্লবের ঘাঁটি এলাকায় পরিণত হতে পেরেছিল । কিন্তু বাইরের সঙ্গে যোগাযোগের কোনো সড়কপথ ছিল না বলে এখানকার অর্থনীতি পশ্চাদপদ ছিল । চিং কাংশানের বন সম্পদ সমৃদ্ধ হলেও বন সম্পদের অনির্ধারিতঅধিকার , অতিরিক্ত কর বোঝা এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবে বহু বছর ধরে বন উত্পাদন থেকে কৃষকরা বেশি লাভবান হতে পারেননি ।

    ২০০৪ সালে চিয়াংসি প্রদেশ গোটা প্রদেশে বন সম্পদের অধিকার প্রশ্নেসংস্কার চালাতে শুরু করে । বন ও পাহাড়ের যৌথমালিকানা অপরিবর্তিত থাকার পূর্বশর্তে বাড়িতে বাড়িতে পাহাড় বন্টন , ইজারার ভিত্তিতে দায়িত্ব নির্বাহ এবং পেশাদার পরিবার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ব্যাপক কৃষক বন ও পাহাড় ব্যবহার , অধিকার হস্তান্তর , মালিকানা সহ নানা অধিকার ভোগ করতে শুরু করে । এরপর চিং কাংশান এলাকার কৃষকরা বন অধিকারের প্রমাণ পত্র পেয়েছেন । নিজদের বন ও পাহাড় পেয়ে কৃষকদের কর্মস্পৃহাদ্রুত বেড়ে যায় । এ সম্পর্কে চিং কাংশান এলাকার তালুং থানার কর্মকর্তা ফাং চিয়েনহুযা বলেন , গত কয়েক বছরে বন শিল্পের সংস্কার চালু হওয়ার পর কৃষকদের উদ্বুদ্ধ হয়েছে । আমাদের এলাকার প্রায় ৯০ শতাংশ কৃষক প্রমাণ পত্র পেয়েছেন ।

    উল্লেখ্য, চিয়াংসি প্রদেশের ৮৫ শতাংশ বন সমষ্টিগত । এবারের সংস্কারে কৃষকদের ইচ্ছানুযায়ী সমষ্টিগত বন কৃষককে বন্টন করা হয়েছে ।

    আগে বনের মালিকানা নির্ধারিত না থাকার কারণে স্থানীয় কৃষকরা শুধু গাছ কাটতেন, রক্ষা করতেন না । যার ফলে বন সম্পদের বিরাট ক্ষতিহয় । বন সংস্কারের ফলে শুধু কৃষকদের স্বার্থ রক্ষা পেয়েছে তা নয় , বন ও পাহাড়ও রক্ষা পেয়েছে ।

    কৃষক লিয়াও সিনহুয়া নিজের বন কার্ড দেখিয়ে বলেন , তার পরিবার ৪ হেক্টর পাহাড়ী বন পেয়েছে । তিনি এবং তার স্ত্রী দুজনে পাহাড়ে গিয়ে বাঁশ কেটে বিক্রি করে উপার্জন করেন । তিনি বলেন , আমরা দিনে তিনবার পাহাড়ে গিয়ে বাঁশ কাটি । এক দিনে আমরা প্রায় ৪০-৫০ ইউয়ান উপার্জন করি । বন সংস্কার হওয়ার পর আমাদের অবস্থা আরও ভাল হয়েছে । আমরা অবাধে বাঁশ কাটতে এবং বিক্রি করতে পারছি ।

    সংশ্লিষ্ট বিভাগসূত্রে জানা গেছে , বন সংস্কার কাঠের একচেটিয়া ব্যবসা ভেঙে দেয় এবং এর পর কাঠের দাম প্রতি কিউবিক মিটার ১০০ থেকে ৩০০ ইউয়ান বেড়েছে । বন সংস্কারের সঙ্গে সঙ্গে চিয়াংসি প্রদেশ বন শিল্প সম্পর্কিতবেশ কয়েকটি কর বাতিল করেছে । এজন্য প্রাদেশিক অর্থ বিভাগ প্রতি বছরে নিম্ন সংস্থারকাছে ১০০ কোটি রেনমিনপি বরাদ্দ করবে । যাতে বন সংস্কারের পর গ্রামীণ সংস্থা স্বাভাবিকভাবে চলতে পারবে ।

    এখন চিং কাংশান শহরের বন শিল্পের সংস্কারে পর্যায়ক্রমে সাফল্য অর্জিত হয়েছে । এটা কৃষকদের আয়বৃদ্ধি তরান্বিত করেছে । ২০০৬ সালে চিং কাংশান এলাকার কৃষকদের মাথা পিছু আয় ২০০০ সালের ১৯০০ ইউয়ান থেকে ৩২০০ ইউয়ানে উন্নীত হয়েছে । বার্ষিক বৃদ্ধিহার ৯শতাংশ । ---চুং শাওলি