v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-12-05 15:32:31    
উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের ২৮তম শীর্ষ অধিবেশন শেষ হয়েছে

cri
    দুদিনব্যাপী উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের ২৮তম শীর্ষ অধিবেশন ৪ নভেম্বর কাতারের রাজধানী দোহায় শেষ হয়েছে। অধিবেশনে 'দোহা ঘোষণা' ও চূড়ান্ত ইস্তাহার গ্রহীত হয়েছে এবং উপসাগরীয় অর্থনীতি ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার ব্যাপারে একমত হয়েছে। এখন শুনুন সিআরআই'র সাংবাদদাতা শেন স্যুই-এর কাতার থেকে পাঠানো একটি প্রতিবেদন।

    এবারের শীর্ষ অধিবেশনে উপসাগরীয় অঞ্চলের যৌথ বাজার চালু করার বিষয়টি ঘোষণা করার কথা থাকায় আলোচনায় বিভিন্ন পক্ষের গুরুত্ব পেয়েছে। সমাপনী অনুষ্ঠানে, উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের মহাসচিব আব্দুল রাহমান আল-আত্তিয়া বলেছেন—

    উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের সর্বোচ্চ পরিষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, ২০০৮ সালের ১লা জানুয়ারী থেকে উপসাগরীয় অঞ্চলে যৌথ বাজার কার্যকর হবে।

    উপসাগরীয় অঞ্চলের যৌথ বাজার চালু করার জন্য ২০০২ সালের ২৩তম শীর্ষ অধিবেশনে উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এ বাজারের লক্ষ্য হচ্ছে উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের সকল সদস্য দেশের নাগরীকদের আবাসন, চাকরি, পুঁজি বিনিয়োগ, ব্যবসা, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সবার সমতা নিশ্চিত করা। ৫ বছরের প্রচেষ্টার পর উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের বিভিন্ন সদস্য দেশ এই বাজার স্থাপনের ব্যাপারে সর্বসম্মতভাবে একমত হয়েছে। তিনি বলেছেন, উপসাগরীয় যৌথ বাজারের লক্ষ্য হচ্ছে 'একটি সুষম বাজার' সৃষ্টি করা। যাতে উপসাগরের বিভিন্ন দেশের জনগণের জন্য উপসাগরীয় অর্থনীতির অনুকূল এবং উপসাগরীয় অর্থনীতি ক্ষেত্রের অগ্রগতি অর্জন করা যায়, এ ছাড়াও উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে নিয়মিত আলোচনার ব্যবস্থা এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে তার অবস্থানকে সুসংহত করা যায়।

    ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদি নেজাদ-এর এবারের শীর্ষ অধিবেশনে অংশ নেয়ার বিষয়টি হচ্ছে উল্লেখযোগ্য। উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের সদস্য দেশগুলো ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের মাধ্যমে এ অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে ইচ্ছুক। কিন্তু পরমাণু গবেষণার কারণে ইরান-মার্কিন সম্পর্ক এখন উত্তেজনাপূর্ণ। পক্ষান্তরে উপসাগরের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমানে সুষ্ঠু কূটনৈতিক ও আর্থ-বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রয়েছে। উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে ইরান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ হামাদ বিন জাসেম আল-থানি অধিবেশনের পর এক প্রেস ব্রিফিং-এ বলেছেন—

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উপসাগরীয় দেশগুলোর সুষ্ঠু সম্পর্ক বজায় রয়েছে। এ কারণে উপসাগরীয় দেশগুলো অনেকটা সন্তুষ্ট। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের ওপর গুরুত্ব দেই। তবে তা ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে বাধার সৃষ্টি করবে না। ইরান আমাদের প্রতিবেশী। আমরা ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি যদি তাকে স্থিতিশীল করতে পারি, তাহলে তা হবে উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য অনুকূল। সুতরাং আমার মনে হয়, এক ধরনের সম্পর্কের সঙ্গে অন্য ধরনের সম্পর্ক স্থাপন করা উচিত নয়।

    এবারের শীর্ষ সম্মেলনে, উপসাগরের দেশগুলো চীনের ওপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছে। সি আর আই'র সাংবাদদাতার প্রশ্নের উত্তরে আত্তিয়া বলেছেন—

    চীনের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা দু'পক্ষের অর্থনীতি ও বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে চীনের সঙ্গে চালানো মুক্ত বাণিজ্য আলোচনা বিরাট সাফল্য লাভ করেছে। পরিসেবা ও পণ্যদ্রব্যসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে দু'পক্ষের প্রতিনিধিগণ সম্মত হয়েছেন। এ বছরের শেষ নাগাদ, আমরা চীনের সঙ্গে নতুন দফা আলোচনা শুরু করবো। আলোচনায় বাস্তব অগ্রগতি হবে বলে আশা করছি।

    কাতারের শীর্ষ নেতা শেখ হামাদ বিন খালিফা আল থানি এবারের অধিবেশনের সাফল্য সম্পর্ক বলেছেন—

    উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের সদস্য দেশগুলোর প্রচেষ্টায় এবারের অধিবেশন সাফল্য লাভ করেছে। উপসাগরের দেশগুলো আরো শক্তিশালী এবং ঘনিষ্ঠ ও স্থিতিশীল হবে। আমরা উপসাগরীয় অঞ্চলের জনগণের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য চেষ্টা চালাবো এবং বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ করবো।

    জানা গেছে, উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের ২৯তম অধিবেশন ওমানের রাজধানী মাসকাটে অনুষ্ঠিত হবে। (খোং চিয়া চিয়া)