v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-12-04 21:00:58    
চীন কৃষি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সম্প্রসারিত করছে

cri
    আন্তর্জাতিক কৃষি গবেষণা ও পরামর্শ সংস্থা বিশ্বে এমন একটি বৃহত্তম আন্তর্জাতিক সংস্থা যা বিশেষভাবে কল্যানমূলককৃষি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণা প্রসারিত করার কাজ করে । এই সংস্থার ২০০৭ সালের বার্ষিক সম্মেলনপেইচিংয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে । সম্মেলনেপাঠানো অভিনন্দন বানীতে চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী হুই লিয়াংইয়ু বলেন, চীন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মিলে কৃষি ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও বিনিময় জোরদার এবং কৃষি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উন্নয়ন তরান্বিত করার জন্য অক্লান্তপ্রচেষ্টাচালাতে ইচ্ছুক ।

    ১৯৭১ সালে ৬৫টি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার যৌথ আর্থিক সাহায্যে আন্তর্জাতিক কৃষি গবেষণা ও পরামর্শ সংস্থাপ্রতিষ্ঠিত হয়। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় তার ১৫টি কৃষি গবেষনা কেন্দ্র আছে ।

    সংস্থাটির বার্ষিক সম্মেলনের ওপর চীন সরকার খুব মনোযোগদিচ্ছে । বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চীনের কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী নিউ তুন চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী হুই লিয়াংইয়ুর অভিনন্দন বানী পড়ে শুনিয়েছেন । অভিনন্দন-বানীতে বলা হয়েছে , চীন সরকার আন্তর্জাতিক কৃষি গবেষণা ও পরামর্শ সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় । কৃষি উন্নয়ন নীতি , বীজ সম্পদ বিনিময়, নতুন জাত গবেষণা ও উন্নয়ন , প্রাণীর বহুজাতিক রক্ষা, তথ্য বিনিময় ও দক্ষ মানুষ লালনপালন সহ নানা ক্ষেত্রে দুপক্ষের সহযোগিতা ক্রমাগত জোরদার হচ্ছে এবং উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জিত হয়েছে । অভিনন্দন বানীতে আরও বলা হয়েছে , পরবর্তীকালে চীন কৃষি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা গভীরে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকবে । কৃষির উন্নয়ন এখনো লোকসংখ্যা বৃদ্ধি, ক্রমাগতখাদ্যশস্যের চাহিদা বৃদ্ধি, পানি ও ভূ সম্পদের অভাব, প্রাকৃতিক পরিবেশের অবনতি এবং ঘনঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কঠোর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে । পরবর্তীকালে চীন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মিলে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও বিনিময় জোরদার, কৃষি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতি তরান্বিত , বিজ্ঞানসম্মতভাবে পানি ও ভূ সম্পদব্যবহার , টেকসই উন্নয়ন ও খাদ্যশস্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নিরলস প্রচেষ্টা চালাতে থাকবে ।

    লোকসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের বৃহত্তম উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে কৃষি উন্নয়ন বরাবরই চীনের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সঙ্গে সম্পর্কিতএকটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত সমস্যা । সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন কৃষি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্প্রসারিত করার কাজ জোরদার করে আসছে এবং ব্যাপকভাবে গ্রামীণ শ্রম শক্তিকে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে । এ কারণে চীনের কৃষি উত্পাদন লক্ষ্যনীয়ভাবে বিকাশ লাভ করেছে , কৃষিজাতদ্রব্যের উত্পাদন পরিমাণ ও কৃষকদের আয় স্থিতিশীলভাবে বেড়ে গেছে । কৃষকদের জীবনযাপনের অবস্থা উন্নত হয়েছে , গ্রামাঞ্চলের শিক্ষা ও চিকিত্সা সহ নানা ক্ষেত্রের কাজ দ্রুততর হয়েছে ।

    ১৯৮৪ সালে চীন আন্তর্জাতিক কৃষি গবেষণা ও পরামর্শ সংস্থায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে । এখন জিন সম্পদ, শস্য বীজ ও পশুর প্রজাতি উন্নয়ন, জীব প্রযুক্তি, প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবস্থাপনা এবং কৃষি নীতি গবেষণা প্রভৃতি ক্ষেত্রেদুপক্ষ সহযোগিতা চালাচ্ছে । এ সংস্থার চেয়ারম্যান মাদাম ক্যাথারিন সিয়েরা চীনের সহযোগিতার প্রশংসা করে বলেন, চীনের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা দিন দিন জোরদার হচ্ছে । বর্তমানে সংস্থাটির ১১টি কেন্দ্র চীনের ৫০টি সংস্থার সহযোগিতায় গবেষণা করছে । এই সব সংস্থা চীনের দুই-তৃতীয়াংশ প্রদেশ , স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে ছড়িয়ে আছে । প্রায় ৭০টি প্রকল্প সম্পন্ন হয়েছে বা হচ্ছে। এই সুযোগে এখানে সম্মেলনের মাধ্যমে চীনের উন্নয়নের ফলাফল উপভোগ করতে এবং আমাদের সহযোগিতা জোরদার করতে পেরেছি বলে আমি খুব আনন্দিত ।---চুং শাওলি