v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-12-03 15:42:47    
মর্যাদার সঙ্গে কাজ করে প্রতিবন্ধীরা সমাজ উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবেন

cri
    ৩রা ডিসেম্বর হলো বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস। এই প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন আইএলও জেনিভায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রতিবন্ধীদের চাকরি নিশ্চিত করা এবং সমাজের জন্য তাদের নিজেদের অবদান রাখার সুযোগ সৃষ্টি করার আহ্বান জানিয়েছে।

    আইএলও'র প্রকাশিত "মর্যাদার সঙ্গে প্রতিবন্ধীদের কাজ করার অধিকার" শীর্ষক একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিভিন্ন দেশ আইন করে পদ্ধতিগতভাবে প্রতিবন্ধীদের ওপর থেকে বৈষম্যমূলক আচরণ কমানো সহ তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন সক্ষম হয়েছে। অনেক প্রতিবন্ধই চাকরি পেয়ে সমাজে নিজের ভূমিকা রাখতে পেরেছেন। কিন্তু অধিকাংশ প্রতিবন্ধীদের কাছেই বেকারত্ব আর দারিদ্র এখনো তাদের জীবনে প্রধান চ্যালেঞ্জ।

    রিপোর্টে বলা হয়, জরীপ থেকে দেখা গেছে, বিশ্বে এখন প্রায় ৬৫ কোটি প্রতিবন্ধী রয়েছে। এটা মোট লোকসংখ্যার দশ ভাগের প্রায় এক ভাগ। তাদের মধ্যে ৫০ কোটি লোক কাজ করতে পারেন। ৮০ শতাংশ প্রতিবন্ধী উন্নয়নমুখী দেশের গ্রামাঞ্চলে থাকেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশের অবস্থান জাতিসংঘের নির্ধারিত দারিদ্র লাইনের নিচে। এই অবস্থার উন্নয়ন করতে না পারলে সামাজিক উন্নয়নের গতি স্থবির হয়ে যেতে পারে। তাছাড়া, জাতিসংঘের সহস্রাব্দী লক্ষ্য বাস্তবায়নের বিষয়টিও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

    রিপোটে বলা হয়, প্রতিবন্ধীদের দারিদ্র বিমোচন করতে চাইলে তাদের কাজের ধরনকে পরিবর্তন করতে হবে। সামাজিভাবে সাহায্য দেয়ার পাশাপাশি প্রতিবন্ধীদের নিজের শ্রমের মাধ্যমে তাদের জীবন উন্নত করার সুযোগ দেয়া উচিত। জরীপ অনুযায়ী, কোটি কোটি প্রতিবন্ধীর কাজ করার সামর্থ রয়েছে। তারা কাজ না করলে মানব শক্তির একটি অংশ নষ্ট হয়ে যাবে। বিশ্ব ব্যাংকের জরীপ অনুযায়ী, প্রতি বছর বিশ্বের বেকার মানুষদের জন্য জিডিপি'র প্রায় ১.৩৭ থেকে ১.৯৪ ট্রিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়।

    রিপোটে আরো বলা হয়, প্রতিবন্ধীদের কাজ করার পাশা পাশি সম্মান পাওয়া উচিত। বর্তমান তাদের মধ্যে অনেকেই নিম্ন পর্যায়ের কাজ থেকে খুব কম আয় করেন। তাদের জন্য টেকনিক্যাল বা ব্যবস্থাপনার কাজ করার সুযোগ খুব কম। এই অবস্থা হওয়ার কয়েকটি কারণও আছে, যেমন প্রতিবন্ধীদের নিজেদের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের অভাব, কর্মসংস্থানের সীমা বেশি, যোগাযোগ অবকাঠামোর অসুবিধা এবং সমাজ ও সহকর্মীর বৈষম্য।

    আইএলও জানিয়েছে গত বছরের ১৩ ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৬১তম সম্মেলনে "প্রতিবন্ধীদের অধিকার চুক্তি" গৃহীত হয়েছে। তা হলো বিশ্বের প্রথম প্রতিবন্ধীদের অধিকার রক্ষার আন্তর্জাতিক চুক্তি। ৮০টি দেশ এই চুক্তিতে সই করেছে। এই চুক্তি বিভিন্ন দেশের জন্য প্রতিবন্ধীদের অধিকার রক্ষা করার আইন প্রতিষ্ঠা এবং এ ক্ষেত্রের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চালানোর জন্য খুব সহায়ক। আইএলও বিভিন্ন দেশকে আরো প্রচেষ্টা চালিয়ে প্রতিবন্ধীদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক দৃষ্টি ও আচরণ পরিবর্তন এবং তাদের মর্যাদার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ দিয়ে সমাজের জন্য নিজের অবদান রাখার আহ্বান জানিয়েছে।

    ১৯৯২ সালে জাতিসংঘ ৩রা ডিসেম্বরকে বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস হিসেবে নির্ধারণ করেছে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের সরকার, শিল্পপ্রতিষ্ঠান, প্রতিবন্ধী সংস্থা এবং সামাজিক সংগঠনগুলোকে প্রতিবন্ধীদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক অধিকারের ওপরে গুরুত্ব দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। (ইয়াং ওয়েই মিং)