v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2007-11-30 18:41:54    
চীনে এইডস রোগের প্রকোপকিছুটা থেমেছে

cri
    ২৯ নভেম্বর চীনের সংশ্লিষ্ট বিভাগ প্রকাশিত ২০০৭ সালের " চীনের এইডস রোগ চিকিত্সা ও নিবারন সম্পর্কিত যৌথ মূল্যায়ন রির্পোটে" জানা গেছে, ২০০৭ সালে চীনে প্রায় ৫০ হাজার এইডস রোগের ভাইরাস বহনকারীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ২০০৫ সালের তুলনায় এই পরিমাণ কিছুটা কম। ২০০৫ সালে চীনে এইডস রোগের ভাইরাস বহনকারীদের সংখ্যা ছিল ৭০ হাজার। এখন শুনবেন আমাদের নিজস্ব সংবাদদাতার একটি রির্পোট।

চীনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, জাতি সংঘের সংশ্লিষ্টকর্মসূচী ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যৌথ উদ্যোগে " চীনের এইডস রোগ চিকিত্সা ও নিবারন সম্পর্কিত যৌথ মূল্যায়ন রির্পোট " তৈরী করা হয়েছে। ২০০৫ সালের পর এটা হল তিনপক্ষের মধ্যে দ্বিতীয় সহযোগিতা। রির্পোটে জানা গেছে, ২০০৭ সালের এ পযর্ন্তচীনে এইডস রোগের ভাইরাস বহনকারীর সংখ্যা প্রায় ৭ লাখ । এদের মধ্যে ৮৫ হাজার এইডস রোগীকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

চীনের স্বাস্থ্য মন্ত্রী জেন ল্যাণ বলেন, সম্প্রতি চীনে এইডস রোগের প্রকোপ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এইডসের চারটি দিক উল্লেখযোগ্য। তিনি বলেন,

    বর্তামানে চীনে এইডস রোগের প্রকোপের লক্ষণ রয়েছে চাঁটি । প্রথমতঃ এইডস রোগের প্রকোপবৃদ্ধির গতি কিছুটা কমে গেছে । দ্বিতীয়তঃ যৌন মিলন হচ্ছে এইডস রোগের ভাইরাস ছড়ানোর প্রধান পদ্ধতি। তৃতীয়তঃ বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে এইডস রোগের প্রকোপের পাথর্ক্য বিরাট। চতুর্থতঃ এইডসএর প্রকোপেরঝুঁকি বিরাজমান।

    জানা গেছে, ২০০৫ সালের তুলনায় ২০০৭ সালে চীনে ২ হাজারেরও হাজার কম নতুন এইডস রোগের ভাইরাস বহনকারীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ২০০৭ সালে নতুন ভাইকারীদের মধ্যে ৫৭ শতাংশই যৌন মিলনের মাধ্যমে আক্রান্ত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যৌন মিলনের মাধ্যমে এইডস রোগের ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। তবে চীনের বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে এ পাথর্ক্য বিরাট।

" চীনের এইডস রোগ চিকিত্সা ও নিবারন সম্পর্কিত যৌথ মূল্যায়ন রির্পোট" ২০০৭ এ ২০০৬ সালের পর চীনের এইডস রোগ চিকিত্সা ও নিবারনে অর্জিত নতুন অগ্রগতি সম্পর্কেপর্যালোচনাএবং এ ক্ষেত্রে চীন সরকারের উদ্যোগের প্রশংসা করা হয়েছে।

    ২০০৬ সালের পর চীন " এইডস রোগ চিকিত্সা ও নিবারন সংক্রান্ত বিধি" প্রকাশ করেছে। এর পাশাপাশি এইডস রোগ চিকিত্সা ও নিবারনে বেশী অর্থ বরাদ্দ করার জন্যে চীন সরকার বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জিনিয়েছে। ২০০৬ সালে এইডস রোগের চিকিত্সা ও নিবারনে চীন সরকার ৮৬ কোটি ইউয়ান রেন মিন পি বরাদ্দ করে। ২০০৭ সালে তা বেড়ে ৯৪ কোটি ইউয়ান রেন মিন পি করা হয়। তা ছাড়াও, দেশজুড়ে এইডস রোগের সার্বিক নিবারন সংক্রান্ত প্রচার ও শিক্ষা কার্যক্রমজোরদার করা হয়েছে। বিনা পয়সায় ভাইরাস দমনের চিকিত্সা আরও সম্প্রসারিত হয়েছে। ২০০৭ সালের জুলাই মাস নাগাদ প্রায় ৪০ হাজার এইডস রোগী ভাইরাস দমন কিচিত্সা গ্রহণ করেছেন। এর পাশাপাশি চীনের বিভিন্ন সামাজিক গোষ্ঠি , বে-সরকারী সংস্থা ও শিল্প-প্রতিষ্ঠানগুলোও এইডস রোগ চিকিত্সা ও নিবরনের তত্পরতায় নিয়োজিত হচ্ছে এবং তাদের ভূমিকাও ক্রমাগত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।

    চীনে জাতি সংঘের সমন্বয়কারী কর্মকর্তা মা হো লি বলেন, এইডস রোগের চিকিত্সা ও নিবারনে চীন লক্ষ্যণীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে। তিনি বলেন

    চীন সরকার এইডস রোগের চিকিত্সা ও নিবারন কাজের ওপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়। এ ক্ষেত্রেও অত্যন্ত লক্ষ্যণীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। জাতি সংঘ অব্যাহতভাবে এইডস রোগের চিকিত্সা ও নিবারন কাজে চীনের উদ্যোগকে সমর্থন করে যাবে।

    তা ছাড়া, এ রির্পোটে এইডস রোগের চিকিত্সা ও নিবারন ক্ষেত্রে চীনের সম্মুখীন চ্যালেঞ্জের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। চীনের স্বাস্থ্য মন্ত্রী জেন ল্যান বলেন, চীন সক্রিয়ভাবে এ সব চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করবে।