ইন্দোনেশিয়া এশিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত। দেশটির আয়তন ১৯.১৩ লাখ বর্গকিলোমিটারেরও বেশি। তার উত্তর দিকে মালয়েশিয়া । দক্ষিণ পূর্ব দিকে ভারতীয় মহাসাগোর।
লোকসংখ্যা ২১৭ কোটি। সারা দেশের মোট ১০০০টিরও বেশ জাতি রয়েছে। এর মধ্যে ৯০ শতাংশ অধিবাসী বৌদ্ধ ধর্মে বিশ্বাসী। কয়েক শো বছর ধরে , থাইল্যান্ডের জীবন-যাপনের অভ্যাস, সংস্কৃতি, শিল্পকলা এবং স্থাপত্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিষয় বৌদ্ধ ধর্মের সঙ্গে সম্পর্কিত। দেশটিতে ভ্রমণ করতে গেলে, নিশ্চয়ই বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন প্যাগোডা দেখতে পারেন।
রাজধানি জাকার্তা। এ হচ্ছে সারা দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং আধুনিক ও ঐতিহ্যের সঙ্গে পরস্পরের মিলিত হওয়ার একটি বৃহত্তম শহর। প্রতিবছর বিশ্বের হাজার হাজার পর্যটক জাকার্তায় ভ্রমণ যায়।
ইন্দোনেশিয়ার প্রাকৃতিক জ্বালানি সম্পদও প্রচুর। এর মধ্যে রয়েছে লবণ, সিকিম, কয়লা এবং প্রাকৃতি গ্যাস। লবণের মজুদের পরিমাণ বিশ্বে সর্বাধিক। সিকিমের মোট মজুদের পরিমাণ হয়েছে ১২ লাখ টন। তা বিশ্বের মোট পরিমাণের ১২ শতাংশ। কয়লার মোট মজুদের পরিমাণ ২ বিলিয়ন টন। প্রাকৃতি গ্যাসের মোট মজুদের পরিমাণ প্রায় ১৬.৪ ট্রিলিয়ন কিউবিকমিটার।বনসম্পদের আয়তনের হার ২৫ শতাংশ। দেশটির মাথাপিছু জি.ডি.পির মূল্য প্রায় ২ হাজার ৫২৫ মার্কিন ডলার।
১৯৭৫ সালের ১৩ এপ্রিল ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯০ সালের ৮ আগস্ট মাসে দু'দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরায় শুরু হয়। তখন চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদের প্রধানমন্ত্রী লি ফেং ইন্দোনেশিয়ায় আনুষ্ঠানিক সফর করেন।এটি হলো দু'দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরায় শুরু হওয়ার প্রতীক। ১৯৯৪ সালের নভেম্বর মাসে চীনের সাবেক প্রেসিডেন্ট চিয়াং চে মিন ইন্দোনেশিয়ায় রাষ্ট্রীয় সফর করেন। ২০০০ সালের মে মাসে পেইচিংয়ে দু'দেশের " চীন ও ইন্দোনেশিয়ার ভবিষ্যতএর সহযোগিতামূলক যৌথ প্রস্তাব" স্বাক্ষরিত হয়।
২০০৪ সালে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের মোট পরিমাণ হয়েছে ১৩.৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
|